বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:০৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
আব্দুল আলীমের মরদেহ দীর্ঘ আড়াই বছর পর ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন অতীতে ঘরে ঘরে চাকরি দেবার নাম করে হাহাকার দিয়ে গেছে রাজনৈতিক দলগুলো কেন্দ্রীয় জাকের পার্টির নেতা রবিউল ইসলাম রবি ভাঙ্গুড়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু বেনাপোলে বিজিবি-বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত সলঙ্গায় সেচ্ছাসেবকদলের শীতবস্ত্র বিতরণ গাজীপুরে ৯ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার-১ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিসপ্লে-তে ভেসে উঠেলো ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে আদম ব্যবসায়ী শাহীন ও মশিয়ারের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা সৌদি আরবে অবৈধ অভিবাসী! কুড়িগ্রামে এম আর বি ইকো ব্রিকসকে পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা শার্শা সরকারি টেকনিকেল স্কুল এন্ড কলেজ ২ দিনব্যাপি বিজ্ঞান মেলা

মুন্সীগঞ্জ-চাঁদপুর-আশুগঞ্জ নৌপথ খননে চুক্তি

রিপোর্টারের নাম : / ১৬৯ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : রবিবার, ১৫ মে, ২০২২

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে মুন্সীগঞ্জ, চাঁদপুর থেকে আশুগঞ্জ পর্যন্ত ৪৮৭ কিলোমিটার নদী খননে দুই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

এ চুক্তির আওতায় ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত ক্যাপিটাল ও রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে এ নৌপথ পণ্য ও যাত্রীবাহী নৌযান চলাচলের উপযোগী রাখবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।

এজন্য প্রতিষ্ঠান দুটির সঙ্গে রাজধানীর একটি হোটেলে শনিবার ৪২৯ কোটি ৮৭ লাখ ৩২ হাজার টাকার চুক্তি সই হয়। এ সময় নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও নৌসচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, চুক্তির আওতায় নৌপথ খনন ও নৌপথের নির্দেশক চিহ্ন বসানো হবে। ফলে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে নৌপথে পণ্য পরিবহণের প্রতিবন্ধকতা অনেকটাই দূর হবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, নতুন দুটি চুক্তির মাধ্যমে ওই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে দেশের নৌপথ ব্যবহারকারী পণ্যবাহী যান ও যাত্রীরা আরও স্বচ্ছন্দ্যে নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে দেশের নৌপথ পুনরায় উদ্ধার ও উন্নয়নে হাত দেন। এরই ধারাবাহিকতায় এসব নদী খনন করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশ আঞ্চলিক অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন প্রকল্প-১ এর আওতায় এ দুটি লটে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হয়।

চুক্তিতে প্রকল্প পরিচালক ও বিআইডব্লিউটিএ’র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আইউব আলী এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গালফ কবলা-কর্ণফুলী যৌথ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রশিদ ও অপর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ধারতি-বঙ্গ যৌথ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মো. আইনুল ইসলাম সই করেন।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক প্রমুখ।

চুক্তি অনুযায়ী, ১৩টি নৌরুটের উন্নয়ন ও সংরক্ষণ খনন কাজ করবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দুটি। এছাড়া এ প্রকল্পের আওতায় ৬টি স্থানে নৌযানসমূহের ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, ৩টি ফেরি ক্রসিং এলাকায় সংরক্ষণ ড্রেজিং, ৪টি প্যাসেঞ্জার ও ২টি কার্গো টার্মিনাল ও ১৫টি ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণ এবং ২টি মাল্টিপারপাস ভেসেল সংগ্রহ করা হবে।

প্রকল্পের মোট ব্যয় তিন হাজার ৩৪৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক দিচ্ছে তিন হাজার ৫২ কোটি ও বাংলাদেশে সরকারের ২৯৬ কোটি টাকা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর