বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিসপ্লে-তে ভেসে উঠেলো ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে আদম ব্যবসায়ী শাহীন ও মশিয়ারের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা সৌদি আরবে অবৈধ অভিবাসী! কুড়িগ্রামে এম আর বি ইকো ব্রিকসকে পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা শার্শা সরকারি টেকনিকেল স্কুল এন্ড কলেজ ২ দিনব্যাপি বিজ্ঞান মেলা নারীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা ও টেকসই উন্নয়নে টিম চিহ্নের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ কোনাবাড়ীতে টিনশেড বাসায় অগ্নিকাণ্ড,৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি ভারত যাওয়ার পথে ইডেন ছাত্রলীগ নেত্রীসহ গ্রেফতার ২ শিক্ষককে মারধোর,সেই যুবদল নেতা দল থেকে বহিষ্কার গাজীপুরে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে দিনব্যাপী দুদকের অভিযান গাজীপুরে স্কুল শিক্ষককে মারধোরের অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে

সিরাজগঞ্জের  একডালাতে বাঁশের সাঁকোতে পারপার হতে হয়  ছাত্র-ছাত্রী ও পথচারীদের 

আজিজুর রহমান মুন্না, সিরাজগঞ্জঃ / ১৮৩ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বুধবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২৩

বাসের সাঁকো তো নয় যেন মরণ ফাঁদ। ভাঙাচোরা ও জরাজীর্ণ অবয়ব নিয়ে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের একডালা ইছামতী নদীর ওপর একডালা দক্ষিণ পাড়া মাদার ভদ্রাসন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন নির্মিত দীর্ঘ দিনের বাসের সাঁকোতে চলাচল করছে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী সহ সকল পথচারীরা। এ সাঁকো টি চলাচল খুব নিরাপদ নয়। যেকোন সময়   ভেঙে পড়ে মরণ ফাঁদ হয়ে যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

জানা গেছে, সাঁকো  দিয়ে চলাচলকারী স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীসহ বগুড়া ও সিরাজগঞ্জ বিভিন্ন কাজে আসা যাওয়ার এক মাত্র রাস্তা। এমনকি এই গ্রামের মাঝখান দিয়ে এই নদীটি, বাজারে আসা হাজার হাজার মানুষের দীর্ঘ দিনের এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া সাঁকো পার হতে গিয়ে অনেকেই নিচে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন। অনেকেই এই ভাঙাচোরা ও জরাজীর্ণ  বাসের সাঁকো  পার হতে গিয়ে হাত -পা ভেঙেছে। মোটর সাইকেল, সিএনজি, অটোরিকশাসহ নদীতে পরে অনেকে ক্ষতি সাধন হয়েছে। রতন কান্দি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকিরুল ইসলাম বাবু জানান, আমরা ছোট থেকে দেখছি বর্যা মৌসুমে নদীতে পানি বেশি হলে নৌকার ম্যাধমে পারা পার হতে হয়।নদী থেকে পানি কমে গেলে বাস দিয়ে সাঁকো বানিয়ে পারাপার  হতে হয়।প্রতিনিয়ত ঘটে দূর্ঘটনা।তিনি আরও বলেন, এই মাত্র কয়েক মাস আগে আমাদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির এক ছাত্র এই সাঁকো থেকে পরে প্রাণ হারিয়েছে।

ভাঙাচোরা ও জরাজীর্ণ অবয়ব নিয়ে এই বাসের সাঁকো দীর্ঘ দিন অতিক্রম করলেও একটি সেতু তৈরির উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।
অধিকাংশ অংশ ভেঙে পড়ার পাশাপাশি পুরোটাই নিচের দিকে বাঁকা হয়ে ঝুঁকে পড়েছে।একডালা গ্রামের বাসিন্দা শাহাআলম মকুল,সুমন সরকারসহ  স্থানীয়রা বলেন, দীর্ঘ দিন থেকে আমাদের এই দূরভোগ। কয়েকটি গ্রামের মানুষের যাতায়াতে অনেক কষ্ট হয়, এই সেতুটির ওপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একডালা মহিষামুড়া, বয়ড়া,গোপাল নগর গোজিয়াবাড়ি সহ বেশ কিছু গ্রামের মানুষ  বাজার ঘাটে যেতো হয় এই সাকো দিয়ে। সাধারণ পথচারী ও স্কুল-কলেজের বাচ্চারা যাতায়াত করে। আমরা বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে যাতায়াত করতে অনেক ভয় পাই তবে আর করার কি আছে চলতেই হয়।

তারা আরও বলেন, অতি দ্রুত এই নদীতে একটি সেতু  তৈরি  করে পথচলা সুগম করার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সাঁকো দিয়ে চলাচলকারী শিক্ষার্থী ও স্থানীরা পথচারী


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর