সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
কারামুক্ত হলেন সা’দ পন্থী আলেম মুফতি জিয়া বিন কাশেম সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় হত্যার চেষ্টা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার কোনাবাড়ীতে বিভিন্ন দাবি নিয়ে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ, কর্মবিরতী সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় এরান্দহ পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু শ্রমিকের আত্মহত্যা কারখানা কর্তৃপক্ষের শোক দুই কর্মকর্তা অব্যাহতি ডা. শফিকুর রহমান যারা দেশকে ভালবাসে তারা কখনও দেশ ছেড়ে পালায় না! যশোরে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগে কলেজ ছাত্র আটক ভাঙ্গুড়ায় ৯ম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার উল্লাপাড়ায় ট্রাক ও মাইক্রোবাস সংর্ঘষে নিহত ২ জন আহত ১ চরবাসীর দুঃখ ঘোচাতে অনবদ্য ছুটে চলছেন কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা

সিরাজগঞ্জের  একডালাতে বাঁশের সাঁকোতে পারপার হতে হয়  ছাত্র-ছাত্রী ও পথচারীদের 

আজিজুর রহমান মুন্না, সিরাজগঞ্জঃ / ২০৯ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বুধবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২৩

বাসের সাঁকো তো নয় যেন মরণ ফাঁদ। ভাঙাচোরা ও জরাজীর্ণ অবয়ব নিয়ে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের একডালা ইছামতী নদীর ওপর একডালা দক্ষিণ পাড়া মাদার ভদ্রাসন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন নির্মিত দীর্ঘ দিনের বাসের সাঁকোতে চলাচল করছে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী সহ সকল পথচারীরা। এ সাঁকো টি চলাচল খুব নিরাপদ নয়। যেকোন সময়   ভেঙে পড়ে মরণ ফাঁদ হয়ে যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

জানা গেছে, সাঁকো  দিয়ে চলাচলকারী স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীসহ বগুড়া ও সিরাজগঞ্জ বিভিন্ন কাজে আসা যাওয়ার এক মাত্র রাস্তা। এমনকি এই গ্রামের মাঝখান দিয়ে এই নদীটি, বাজারে আসা হাজার হাজার মানুষের দীর্ঘ দিনের এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া সাঁকো পার হতে গিয়ে অনেকেই নিচে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন। অনেকেই এই ভাঙাচোরা ও জরাজীর্ণ  বাসের সাঁকো  পার হতে গিয়ে হাত -পা ভেঙেছে। মোটর সাইকেল, সিএনজি, অটোরিকশাসহ নদীতে পরে অনেকে ক্ষতি সাধন হয়েছে। রতন কান্দি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকিরুল ইসলাম বাবু জানান, আমরা ছোট থেকে দেখছি বর্যা মৌসুমে নদীতে পানি বেশি হলে নৌকার ম্যাধমে পারা পার হতে হয়।নদী থেকে পানি কমে গেলে বাস দিয়ে সাঁকো বানিয়ে পারাপার  হতে হয়।প্রতিনিয়ত ঘটে দূর্ঘটনা।তিনি আরও বলেন, এই মাত্র কয়েক মাস আগে আমাদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির এক ছাত্র এই সাঁকো থেকে পরে প্রাণ হারিয়েছে।

ভাঙাচোরা ও জরাজীর্ণ অবয়ব নিয়ে এই বাসের সাঁকো দীর্ঘ দিন অতিক্রম করলেও একটি সেতু তৈরির উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।
অধিকাংশ অংশ ভেঙে পড়ার পাশাপাশি পুরোটাই নিচের দিকে বাঁকা হয়ে ঝুঁকে পড়েছে।একডালা গ্রামের বাসিন্দা শাহাআলম মকুল,সুমন সরকারসহ  স্থানীয়রা বলেন, দীর্ঘ দিন থেকে আমাদের এই দূরভোগ। কয়েকটি গ্রামের মানুষের যাতায়াতে অনেক কষ্ট হয়, এই সেতুটির ওপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একডালা মহিষামুড়া, বয়ড়া,গোপাল নগর গোজিয়াবাড়ি সহ বেশ কিছু গ্রামের মানুষ  বাজার ঘাটে যেতো হয় এই সাকো দিয়ে। সাধারণ পথচারী ও স্কুল-কলেজের বাচ্চারা যাতায়াত করে। আমরা বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে যাতায়াত করতে অনেক ভয় পাই তবে আর করার কি আছে চলতেই হয়।

তারা আরও বলেন, অতি দ্রুত এই নদীতে একটি সেতু  তৈরি  করে পথচলা সুগম করার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সাঁকো দিয়ে চলাচলকারী শিক্ষার্থী ও স্থানীরা পথচারী


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর