শিরোনামঃ
রাজশাহীতে দৈনিক মানবিক বাংলাদেশ পত্রিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন তাপদাহ উপেক্ষা করে ফসল কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত কৃষকরা এপ্রিলে রেমিট্যান্স এলো ১৯০ কোটি ৮০ লাখ ডলার ফিলিপাইনে যাচ্ছে বাংলাদেশের হাইব্রিড ধানবীজ বেতাগীতে তীব্র গরমে তৃষ্ণার্তদের মাঝে ঠান্ডা পানি ও শরবত বিতরণ  হজ ব্যবস্থাপনায় অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে : ধর্মমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার ছিলেন: খাদ্যমন্ত্রী ঢাকাকে পরিবেশ বান্ধব সুন্দর শহরে রূপান্তরিত করা হবে : রাজউক চেয়ারম্যান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিকজোট বাংলাদেশ এর র‍্যালী ও আলোচনাসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখতে আ. লীগকে আমন্ত্রণ বিজেপির ধান উৎপাদনে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হবে: পরিবেশমন্ত্রী দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে আজ আইপিডিআই ফাউন্ডেশন হৃদরোগের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে : স্পিকার যতবার সরকারে এসেছি শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছি: প্রধানমন্ত্রী বেসিস নিয়ে আব্দুল আজিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কাজিপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো প্রকার কারচুপি বরদাস্ত করবে না প্রশাসন শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষক প্রশিক্ষণ অপরিহার্য -উপাচার্য ড. মশিউর রহমান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মেজবাহ্ উদ্দিন টঙ্গীতে পরিবহনে চাঁদাবাজীর অভিযোগে গ্রেফতার-৮ চতুর্থ দিনেও ঢাকার জনগণের মাঝে হাবিব হাসান

কালোটাকা সাদা করার ঢালাও সুযোগ শেষ

কলমের বার্তা / ১৫৫ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : সোমবার, ১৩ জুন, ২০২২

কালোটাকা সাদা করার সুযোগ নিয়ে এবার আর লুকোচুরি করা হয়নি। ৩০ জুন ঢালাও কালোটাকা সাদা করার সুযোগের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এই সুবিধায় নগদ টাকা, ব্যাংকে রাখা টাকা, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ এবং জমি-ফ্ল্যাট কিনে কালোটাকা সাদা করা যাচ্ছে। প্রতিবার এই ধরনের সুযোগের মেয়াদ শেষ হলে কিছু বলা হয়নি। এবার বাজেট ঘোষণার সময় বলে দেওয়া হলো, এই সুযোগ আর থাকছে না।

কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়াসংক্রান্ত দুটি ধারা সম্পর্কে অর্থবিলে বলা হয়েছে, ১৯ এএএএ ও ১৯ এএএএএ ধারা বিলোপ হবে। কালোটাকা ঢালাওভাবে সাদা করার সুযোগ আর না দেওয়ার অন্যতম কারণ, খুব বেশি মানুষ এই সুযোগ নেননি। ২৫ শতাংশ কর ও এর ওপর ৫ শতাংশ জরিমানা দিয়ে কালোটাকা সাদা করায় উৎসাহ দেখা যায় না। করহার কম থাকায় গতবার ১২ হাজার কালোটাকার মালিক এই সুযোগ নিলেও এবার ৯ মাসে মাত্র আড়াই হাজার ব্যক্তি এই সুযোগ নিয়েছেন।

কালোটাকার ঢালাও সুযোগ শেষ হলেও আয়কর অধ্যাদেশে অপ্রদর্শিত আয় দেখানোর সুযোগ ঠিকই রাখা আছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের অর্থ আইনে দেখা গেছে, ১৯ বিবিবিবিবি নামে একটি ধারা সংযোজন করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এই অধ্যাদেশে যা-ই থাকুক না কেন, এলাকাভেদে ও আয়তনভেদে নির্দিষ্ট পরিমাণ কর দিয়ে ফ্ল্যাট কিনলে ওই বিনিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে বলে ধরে নেবে এনবিআর।

পরোক্ষভাবে অপ্রদর্শিত টাকায় ফ্ল্যাট কেনার সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে আয়ের উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে কি না, তা পরিষ্কার করা হয়নি। ২০২০-২১ অর্থবছরেও ১০ শতাংশ কর দিয়ে নগদ টাকা, ব্যাংকে রাখা টাকা এবং শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। অবশ্য সব সরকারের আমলেই কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়, দু-একবার ছাড়া কোনোবারই তেমন সাড়া মেলেনি।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সর্বশেষ হিসাবে, চলতি অর্থবছরের গত জুলাই থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত সব মিলিয়ে ২ হাজার ৫৮১ জন কালোটাকা সাদা করেছেন। এর মধ্যে ২ হাজার ৪৯৮ জন কালোটাকায় ফ্ল্যাট ও জমি কিনেছেন কিংবা নগদ টাকা কিংবা সঞ্চয়পত্র, এফডিআরের টাকার উৎস বৈধ নয় বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে কালোটাকা নিয়ে শেয়ারবাজারে গেছেন ৭৪ জন বিনিয়োগকারী। ফ্ল্যাট ও জমি ছাড়া ৩০০ কোটি টাকার মতো কালোটাকা সাদা হয়েছে।

এ বিষয়ে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, এ ধরনের সুযোগ দেওয়া নৈতিকভাবে সমর্থনযোগ্য নয়। বছর বছর এই সুযোগ দিলেও আগ্রহ কমে যায়। কারণ, কালোটাকার মালিকেরা মনে করেন, এই সুযোগ বারবার আসবে। যতক্ষণ চাপে না পড়বেন, ততক্ষণ এই সুযোগ নেবেন না।

এদিকে শিল্প খাতে কালোটাকা সাদা করার সুযোগের মেয়াদও ৩০ জুন শেষ হচ্ছে। কয়েক বছর ধরেই সুযোগ দেওয়া হলেও মাত্র নয়জন উদ্যোক্তা তাঁদের নতুন শিল্পকারখানা বানানোয় কালোটাকা ব্যবহার করেছেন বলে এনবিআর সূত্রে জানা গেছে।

দেশি কালোটাকার মালিকদের জন্য এটি খারাপ খবর হলেও বিদেশে টাকা পাচারকারীদের জন্য বিরাট সুযোগ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। ৭ শতাংশ কর দিয়ে পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা যাবে। তাহলে এনবিআরসহ অন্য সরকারি সংস্থা এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন করবে না। শুধু আয়কর নথিতে উল্লেখ করলেই হবে। এ ছাড়া বিদেশি অর্থ দেশে না আনলে এবং বাড়িঘরসহ স্থাবর সম্পদ দেশে না আনলেও যথাক্রমে ১০ ও ১৫ শতাংশ কর দিলেই চলবে।

এ বিষয়ে আহসান এইচ মনসুর মনে করেন, যাঁরা এই দেশ থেকে টাকা চুরি করে বিদেশে নিয়ে গেছেন, তাঁরা মূলত দুটি আইন ভঙ্গ করেছেন। প্রথমত এটি তাঁদের অপ্রদর্শিত আয়, যার বিপরীতে কর দেওয়া হয়নি। দ্বিতীয়ত, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনও ভাঙা হয়েছে। এই দুটি আইন ভঙ্গকারীদের বিচারের পরিবর্তে পুরস্কৃত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

93


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর