মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০২৫, ১১:৫৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
অনবদ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে শেষ হলো ম্যানগ্রোভ হ্যাকাথনের ফাইনাল কাজিপুরে রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভ্রাম্যমাণ আদালত, ৬ জনের অর্থদন্ড  উল্লাপাড়ায় আওয়ামীলীগ নেতা আটক সুজানগরে ইউএনওর কক্ষে জামায়াত নেতাদের মারধর করলেন বিএনপির নেতারা যশোরের শার্শা মূল্য তালিকা না থাকায়’৪ দোকানদার কে জরিমানা ভাঙ্গুড়ায় মাসব্যাপী ইফতার আয়োজন গন অধিকার পরিষদের ভালুকায় পৈতৃক সম্পত্তি ভাগ বাটোয়ারার জের ধরে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে মারধর  দূর্গা মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর গাজীপুর নগরীতে গত ২৪ ঘন্টায় ডেবিল হান্ট অভিযানে গ্রেফতার-৫৮ ভাঙ্গুড়ায় ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর দাবি

কবির হাসান চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ / ১৩৮ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২২

বাংলাদেশের রহনপুর ও ভারতের সিঙ্গাবাদ রেলরুট দিয়ে বাংলাদেশের রাজশাহী থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ জেলা মালদহের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর দাবি করা হয়েছে।

গত শুক্রবার রেলপথ মন্ত্রনালয়ের সচিব ড.হুমায়ন কবীর রহনপুর রেলবন্দর পরিদর্শনে এলে রহনপুর রেলবন্দর বাস্তবায়ন পরিষদের নেতৃবৃন্দ তার নিকট এ দাবি জানান।

এ সংক্রান্ত একটি লিখিত আবেদন তার নিকট হস্তান্তর করা হয়। রহনপুর রেলবন্দর বাস্তবায়ন পরিষদের আহবায়ক নাজমুল হুদা খান রুবেল জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরে দু-দেশের রেল যোগাযোগ বৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তাতে আশান্বিত হয়ে আমরা রহনপুর- সিঙ্গাবাদ রুট দিয়ে বিভাগীয় শহর রাজশাহী থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ জেলা মালদহের মধ্যে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর বিষয়টি তুলে ধরেছি।

এতে রাজশাহী অঞ্চলের জনসাধারণ নানা ভাবে উপকৃত হবে।
এ রুট দিয়ে বর্তমানে ত্রি-দেশীয় সীমান্ত বাণিজ্যে চালু রয়েছে। এর আগে রাজশাহী সদর আসনের সাংসদ ফজলে হাসান বাদশা এ রুট দিয়ে রাজশাহী-কলকাতা যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছিলেন তা আলোর মুখ দেখেনি। এছাড়া, সম্প্রতি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের সাথে দেখা করে এ রুট দিয়ে রাজশাহী-কলকাতা রুটে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর আবারও দাবি জানান।

১৮৬২ সালে বৃটিশ আমলে এ রুট দিয়ে প্রথম অবিভক্ত পূর্ব বাংলার সাথে ভারতের রেল যোগাযোগের সূচনা হয়। ১৯৬৫ সালে পাক- ভারত যুদ্ধ শুরু হলে এ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে এ রুট দিয়ে ট্রেন চলাচল পুনরায় শুরুর উদ্যোগ নেয়া হয়। পরে ১৯৯০ সালে এ রুট দিয়ে ভারত- বাংলাদেশের মধ্যে পন্যবাহী ট্রেন চলাচল পুনরায় শুরু হয়। এছাড়া এ রুট দিয়ে ভারত, নেপালকে ট্রানজিট দেয়ায় বাংলাদেশের সাথে ভারত ও নেপালের সাথে রেল বাণিজ্য চালু হয়েছে।

বর্তমানে বাংলাদেশ- ভারতের মধ্যে যে ৫ টি রেলরুট চালু রয়েছে। তার অন্যতম প্রধান রেলরুট হচ্ছে রহনপুর-সিঙ্গাবাদ। এটি ত্রি-দেশীয় রেল যোগাযোগের ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে এ রুট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ রুট দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর বিষয়ে দু-দেশের জনপ্রতিনিধিরা কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়া এ রুট দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চালু হলে যাত্রীরা ভারতের মালদহ হয়ে সমগ্র ভারতে যাতয়াত করতে পারবে। তাছাড়া, রাজশাহী থেকে রহনপুর-সিঙ্গাবাদ হয়ে মালদহের দূরুত্ব মাত্র ৯০ কিঃমিঃ। সেখান থেকে ভারত ও নেপালের সীমান্তবর্তী স্টেশন রক্সাল ও যোগবানীর দূরত্বও অনেক কম। এছাড়া নেপালও খুলনার মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানি করা পন্যসামগ্রি এ রুট দিয়ে বাংলাদেশ থেকে নেপালে নিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি তারা এ রুট দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু করার বিষয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

রাজশাহী-মালদহ রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চালু প্রসঙ্গে এলাকার সাবেক সাংসদ গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস জানান, এ রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর উদ্যোগ নেয়া হলে সীমান্তবর্তী স্টেশন রহনপুরে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস সুবিধা নিশ্চিত করতে অবকাঠামোগত উন্নয়নে রেলওয়ের যথেষ্ট জায়গা রয়েছে। তিনি রহনপুর-সিঙ্গাবাদ রেলরুট দিয়ে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রেলমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। এ বিষয়ে পশ্চিম রেলের একজন কর্মকর্তা জানান, ভারতের সঙ্গে পন্যবাহী ট্রেনের পাশাপাশি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বৃদ্ধির বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে দেরি হচ্ছে।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর