বুধবার, ০৫ মার্চ ২০২৫, ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
অনবদ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে শেষ হলো ম্যানগ্রোভ হ্যাকাথনের ফাইনাল কাজিপুরে রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভ্রাম্যমাণ আদালত, ৬ জনের অর্থদন্ড  উল্লাপাড়ায় আওয়ামীলীগ নেতা আটক সুজানগরে ইউএনওর কক্ষে জামায়াত নেতাদের মারধর করলেন বিএনপির নেতারা যশোরের শার্শা মূল্য তালিকা না থাকায়’৪ দোকানদার কে জরিমানা ভাঙ্গুড়ায় মাসব্যাপী ইফতার আয়োজন গন অধিকার পরিষদের ভালুকায় পৈতৃক সম্পত্তি ভাগ বাটোয়ারার জের ধরে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে মারধর  দূর্গা মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর গাজীপুর নগরীতে গত ২৪ ঘন্টায় ডেবিল হান্ট অভিযানে গ্রেফতার-৫৮ ভাঙ্গুড়ায় ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে জোর প্রধানমন্ত্রীর

রিপোর্টারের নাম : / ১৩১ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শুক্রবার, ৭ অক্টোবর, ২০২২

সাইবার জগতে ভালো অনেক কিছুর পাশপাশি খারাপ দিকও যে আছে, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতের ওপর গুরুতারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার গণভবনে জাতীয় ডিজিটাল নিরাপত্তা কাউন্সিলের সভায় তিনি সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পরিকল্পনাতেই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার কথা মনে করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাবিশ্ব এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে চলে। এর সুফলটা করোনাভাইরাসের সময় যেমন আমরা পেয়েছি, আবার এর কতগুলো খারাপ দিকও আছে। সাইবার অপরাধ যে সব দেশেই মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে, সে কথা তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, এটা একটা বিরাট সমস্যা। এখানে নানা ধরনের সামাজিক সমস্যা অথবা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের বিকাশ নানা ধরনের ঘটনা ঘটে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এ বিষয়ে আমাদের নিরাপত্তার দিকটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব এখন একটি ‘গেøাবাল ভিলেজে’ পরিণত হয়েছে এবং এখানে কেউ একা চলতে পারবে না। সবাই একে অপরের ওপর নির্ভরশীল, সেটা আমরা খুব ভালোভাবে টের পেয়েছি। প্রথমে করোনার সময়, দ্বিতীয়টি হল ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। এই যুদ্ধ বিশ্বের উন্নত দেশগুলোকেও আর্থসামাজিকভাবে প্রভাবিত করেছে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদেরকে চলতে হচ্ছে খুব কঠিন একটা সময়ের মধ্য দিয়ে। হয়ত ভবিষ্যতে আরো খারাপ সময় আসতে পারে। তবে আমাদের যেটা সব থেকে বেশি প্রয়োজন, সেটা হচ্ছে নিরাপত্তা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে যখন চারদিকে সন্ত্রাসের একটা প্রভাব শুরু হয়েছিল, আমরা কিন্তু খুব সফলভাবে সেটা দমন করে রাখতে পেরেছিলাম। আমরা সেটাকে জিরো টলারেন্স ঘোষণা দিয়ে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে, মানুষকে সম্পৃক্ত করে করতে পেরেছি। কিন্তু তারপরও প্রযুক্তির প্রভাব এখন এত বেশি এর যেমন ভালো দিক আছে, খারাপ দিকও আছে। সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই এই ডিজিটাল নিরাপত্তা কাউন্সিলটা গঠন করা হয়েছে। দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যারা কাজ করেন, তাদেরও এ বিষয় সম্পর্কে আরো জানা প্রয়োজন আছে এবং ভবিষ্যতে আমাদের কী করণীয়, আর এ ক্ষেত্রে কাদের সঙ্গে আমরা সমঝোতা করতে পারি, সম্পৃক্ত থাকতে পারি বা কাদের কাছ থেকে আমরা অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারি বা কীভাবে আমরা তা কাজে লাগাতে পারি সেই বিষয়গুলোও আমাদের ভাবতে হবে।

দেশের মানুষের মাঝেও সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে সরকার প্রধান বলেন, সাইবার ক্রাইম করাটা যে কতটা ক্ষতিকর, একটা সমাজের জন্য, ব্যক্তি জীবন থেকে নিয়ে পরিবার, সমাজ এবং

রাষ্ট্র- সকলের জন্যই যে ক্ষতিকারক, সেই সম্পর্কে সচেতনতা কীভাবে সৃষ্টি করতে পারি সেই দিকটাও আমাদের দেখতে হবে। পাশাপাশি বিজ্ঞান গবেষণার গুরুত্ব তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বিজ্ঞান এবং তথ্য প্রযুক্তি, বিজ্ঞানের ওপর গবেষণা এগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর গবেষণা ছাড়া আসলে কোনো জাতি কিন্তু উন্নত হতে পারে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর