শিরোনামঃ
লালমনিরহাটে মাদক কারবারে বাঁধা-শালিসি বৈঠকে ইউপি সদস্যকে মারধর! রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের হালখাতা ও ঋণ আদায় মহাক্যাম্পের উদ্বোধন! বেলকুচিতে ভাইরাল ভিডিওকে গুজব ও পুলিশের মামলাকে মিথ্যা দাবী করে সংবাদ সম্মেলন ভুল তথ্যে প্লট কেনা ও হস্তান্তরে বরাদ্দ বাতিল ‘অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সেনাবাহিনী’ রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে প্রণোদনার সুপারিশ বাংলাদেশ ব্যাংকের চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১৮ শতাংশ নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউটে যুক্ত হচ্ছে আরও ৫০০ শয্যা চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এখন দৃশ্যমান আইএমএফ ঋণের তৃতীয় কিস্তি ৭০ কোটি ডলার মিলবে জুনে সরকারিকরণ হলো জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর শার্শায় ট্রাক্টর চাপায় প্রাণ গেল গৃহবধুর, আহত ৩ শার্শা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থীর বাসভবনের সামনে গভীর রাতে বোমা বিস্ফোরণ বন্দিদের সুস্থ রাখতে নানা উদ্যোগ কারাগারে কালিয়াকৈরে ১ একর বন বিভাগের জমি উদ্ধার    জুনে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাচ্ছে দ্বিতীয় ইউনিট দক্ষিণে বাড়ল কমিউটার ট্রেন যাত্রী পরিবহন শুরু আজ বেপরোয়া তাকওয়া ময়লার গাড়িতে ধাক্কা, আহত-১ উপজেলা নির্বাচন উৎসবমুখর দেখতে চাই – প্রধানমন্ত্রী লোহার ড্রামের ভেতর কাঠের গুড়ার মধ্যে ফেন্সিডিল গ্রেফতার-১

দেশে পাঁচ বছরে বেকার ৭০ হাজার কমেছে

কলমের বার্তা / ৬৫ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৩

দেশে পাঁচ বছরে বেকারের সংখ্যা ৭০ হাজার কমেছে। বর্তমানে বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ ৩০ হাজার। এর আগে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বেকারের সংখ্যা ছিল ২৭ লাখ। এতে বেকারত্বের হার কমেছে ০.৬ শতাংশ।

গতকাল বুধবার প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) শ্রমশক্তি জরিপ-২০২২-এর প্রাথমিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

বিবিএসের মহাপরিচালক মো. মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম, শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব এহছানে এলাহী এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব শাহনাজ আরেফিন।

প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন শ্রমশক্তি জরিপের মাধ্যমে শ্রমবাজার তথ্যের উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক আজিজা রহমান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিবিএসের ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড লেবার উইংয়ের পরিচালক কবীর উদ্দিন আহমেদ এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম সচিব দীপংকর রায়।

অনুষ্ঠানে বলা হয়, দেশে করোনা মহামারির প্রভাব ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং অস্থিতিশীল অর্থনীতি থাকা সত্ত্বেও বেকারত্বের হার কমেছে। বেকার পুরুষের সংখ্যা ১৬ লাখ ৯০ হাজার ও বেকার নারী ৯ লাখ ৪০ হাজার। বেকার জনগোষ্ঠীর হার কমে ৩.৬ শতাংশ হয়েছে, যা পাঁচ বছর আগে ছিল ৪.২ শতাংশ।

শ্রমশক্তি জরিপ-২০২২-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে মোট শ্রমশক্তি সাত কোটি ৩৪ লাখ। এর মধ্যে পুরুষ চার কোটি ৭৪ লাখ ৮০ হাজার ও নারী দুই কোটি ৫৯ লাখ ৩০ হাজার। গত পাঁচ বছরে শ্রমবাজারে ৯৯ লাখ ১০ হাজার শ্রমশক্তি বেড়েছে।

প্রতিবেদনের তথ্য মতে, কর্মে নিয়োজিত জনগোষ্ঠী সাত কোটি সাত লাখ ৮০ হাজার জন। এর মধ্যে পুরুষ চার কোটি ৫৭ লাখ ৯০ হাজার ও নারী দুই কোটি ৪৯ লাখ ৯০ হাজার। গত এক দশকে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণের হারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। ২০২২ সালে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর মধ্যে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে, যা জাতীয় পর্যায়ে প্রতিফলিত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রমশক্তির বাইরে থাকা ১৫ বা তদূর্ধ্ব বয়সী মোট জনগোষ্ঠী চার কোটি ৬৯ লাখ। এর মধ্যে পুরুষ এক কোটি ২৯ লাখ ও নারী তিন কোটি ৪৮ লাখ ১০ হাজার। জরিপে দেখা যায়, শ্রমশক্তি বাইরে অবস্থান করা জনসংখ্যা ১৪ লাখ বেড়েছে।

কর্মে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর উদ্দেশ্যভিত্তিক বিভাজন সম্পর্কে বলা হয়, শ্রমশক্তি জরিপ ২০২২-এ দেখা যায়, মোট সাত কোটি ৭৮ লাখ কর্মক্ষম ব্যক্তির মধ্যে বেতন বা মুনাফার উদ্দেশ্যে নিয়োজিত পাঁচ কোটি ৬৬ লাখ ৪০ হাজার (৮০.০২ শতাংশ)। এ ছাড়া নিজস্ব ভোগের উদ্দেশ্যে পণ্য উৎপাদনে নিয়োজিত এক কোটি ৪১ লাখ ৪০ হাজার (১৯.৯৮ শতাংশ) মানুষ।

৯৮.৩৮ শতাংশ কর্মে নিয়োজিত পুরুষ বেতন বা মুনাফার উদ্দেশ্যে কাজ করে। নারীর মধ্যে এ সংখ্যা ৪৬.৩৮ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মোট কর্মক্ষম ব্যক্তিদের মধ্যে কৃষি খাতে তিন কোটি ২২ লাখ, শিল্পে এক কোটি ২০ লাখ পাঁচ হাজার এবং সেবা খাতে দুই কোটি ৬৬ লাখ ৫০ হাজার মানুষ নিয়োজিত। এতে দেখা যায়, কৃষি ও সেবা খাতে কর্মে নিয়োজিত জনগোষ্ঠী বেড়েছে এবং শিল্পে কমেছে।

শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণের হার ৪২.৬৮ শতাংশ। গ্রামাঞ্চলে ৫০.৮৯ শতাংশ ও শহরাঞ্চলে ২২.৫৯ শতাংশ। গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের তুলনায় ২০২২-এর জরিপে দেখা যায়, শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণের হার ৩৬.৩ থেকে বেড়ে ৪২.৬৮ শতাংশ হয়েছে।

প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, অর্থনীতিতে একটা রূপান্তর ঘটছে। গ্রামে গেলে বোঝা যায়। রাষ্ট্রে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা এখন মূল কাজ। অর্থাৎ শ্রমিকদের ন্যায্যতা ও মূল্য পাওয়া নিশ্চিত করতে কাজ করতে হবে। নারীদের পারিবারিক কাজ শ্রমশক্তির বাইরে—এটা দুঃখজনক। তাদেরটা যোগ করা হলে জিডিপি ৪৫০ বিলিয়ন থেকে বেড়ে ৬৫০ বিলিয়ন হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘করোনার সময় এক জরিপে দেখা যায়, ঢাকা শহরে দারিদ্র্য কমেছে এবং বেকারের সংখ্যা কমেছে। এর মূল কারণ হলো, আমরা সীমিত লকডাউন করেছি। শিল্প-কারখানা খোলা ছিল। রাস্তাঘাট খোলা ছিল। প্রধানমন্ত্রী দ্রুত প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন। ফলে করোনার সময় ঢাকায় উল্টো চিত্র বিরাজ করেছে।’

প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, করোনাকালীন শহর থেকে অনেক মানুষ গ্রামে গেছে। সেখানে তারা কৃষিতে যুক্ত হয়েছে। শস্য বহুমুখীকরণে ভূমিকা রেখেছে। তারা ফুল-ফল, মাছসহ বৈচিত্র্যময় চাষে যুক্ত হয়। যেসব জমি পড়ে ছিল, সেগুলো তাদের চাষের আওতায় চলে আসে। ফলে কৃষিতে শ্রমশক্তি বেড়েছে।

81


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর