বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
কামারখন্দে দরবার শরীফের সম্পদ আত্মসাতের চেষ্টা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উল্লাপাড়ায় ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার ভাঙ্গুড়ায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ইউনিয়ন কৃষকদলের আহব্বায়ককে অব্যাহতি কাজিপুরে আ’লীগের মশাল মিছিল; ফেসবুকে ভাইরাল  কুড়িগ্রামে চরাঞ্চল মানুষের আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে ‘সুস্বাস্থ্য’ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের যাত্রা শুরু নাটোরে বিএসটিআই’র অভিযানে তিন বেকারি কারখানাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা কুষ্টিয়া সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার নির্বাচনে নতুন নেতৃত্ব সভাপতি আবু বকর সিদ্দীক,সাধারণ সম্পাদক রনজক রিজভী কাজিপুরে সারে তিন লাখ টাকার অবৈধ জাল পুড়িয়ে ধ্বংস  কুড়িগ্রামে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের ঘোষণা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন ভাঙ্গুড়ায় গ্রামীণ কৃষকের উন্নয়ন শীর্ষক সেমিনার-২০২৫ অনুষ্ঠিত

সরকারী বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ লাইনে চলছে সহকারী শিক্ষিকার বাড়ির বৈদ্যুতিক সকল কার্যক্রম

মোঃ বুলবুল ইসলাম,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ / ৯৮ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৩

সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ লাইনে চলছে একই বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকার বাড়ির বৈদ্যুতিক সকল কার্যক্রম। ১৪ মাসের বকেয়া বিলের দায়ে পল্লীবিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন হওয়ায় পর থেকে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন একই বিদ্যালয়ের রওশন আরা বেগম নামের এক সহকারী শিক্ষিকা। গত মে মাস থেকে প্রকাশ্যে বিদ্যালয়ের মিটারের বিদ্যুৎ লাইন থেকে লাইন টেনে নিয়ে নিজ বাড়িতে ব্যবহার করলেও নির্বিকার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ পরিচালনা কমিটির সভাপতিও।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের পরমালী সরকারী বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রওশন আরা বেগম এ কাজ করেছে।

এ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ মোট ৫ জন শিক্ষক থাকলেও রওশন আরা বেগম ছাড়া বাকী শিক্ষকরা বাস করেন জেলা শহরে। একই বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা হওয়ায় ও বাড়ির পাশে বিদ্যালয় থাকায় স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে রওশন আরা বেগম অবৈধভাবে বিদ্যালয় থেকে তার দিয়ে লাইন টেনে বাড়িতে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। অথচ বিদ্যুৎবিল বহন করতে হচ্ছে বিদ্যালয়কে।

পরমালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: সিদ্দিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমার বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ লাইন এক সহকারী শিক্ষক বাড়িতে নিয়ে ব্যবহার করছেন। আমি বহুবার লাইন কাটতে বলেছি কিন্তু তারা শুনছেন না।

একই বিদ্যালয়ের আরেক সহকারী শিক্ষিকা ছফুরা পারভিন জানান, আমাদের বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রওশন আরা বেগম গত মে মাস থেকে আমাদের না জানিয়ে বিদ্যালয়ে সংযোগ দেয়া বিদ্যুতের লাইন ব্যবহার করছে। আমরা নিষেধ করলেও ক্ষমতা বলে সরকারী বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে।

বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো: আব্দুর রাকিব জানান, আমি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হলেও আমাকে এবং প্রধান শিক্ষককে না জানিয়ে বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা তার নিজ বাড়িতে বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন। বিষয়টি জানান পর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে বললে তারা বাড়িতে অসুস্থ মেয়ের অজুহাত দিয়ে লাইন চালাচ্ছে। সহকারী শিক্ষিকা রওশন আরা বেগমের স্বামী বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি এবং জমিদাতা। এ কারনে তারা প্রভাব খাটিয়ে কাউকে না জানিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে। আমরা নিষেধ করলেও তা মানেননি।

বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী অভিযুক্ত শিক্ষিকা রওশন আরা বেগমের সাথে মোবাইলে কথা হলে জানান, বাড়ির বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন থাকায় সাময়িক ভাবে বিদ্যালয়ের লাইন ব্যবহার করছি। পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে মিটারের জন্য আবেদন করেছি। মিটার পেলে লাইন খুলে দেয়া হবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ বাড়িতে ব্যবহার করে এক সহকারী শিক্ষিকা বিষয়টি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর