উদ্বোধনের এক বছরের মাথায় রাস্তার বিভিন্ন অংশে খানা খন্দে ভরে যায়। এর পরে বেশ কয়েকবার নামে মাত্র সংস্কার করা হয়। কিন্তু যে লাউ সেই কদু।
মানুষের দূর্ভোগের যেন শেষ নেই এই সড়কটিতে। দেখা গেছে কোনাবাড়ী থানার সামনে,অনন্ত গার্মেন্টস সামনে ,যমুনার গার্মেন্টস সামনে, স্বপন প্লাস্টিক কারখানা সামনে,বৃষ্টি হোটেল সামনে,জরুন বাজার,ডেল্টা মোড়ে,নয়াপাড়া,মাইমুন এর সামনে বড় বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। সামন্য বৃষ্টিতে জমে হাঁটু পানি। আর প্রতিদিনিই ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা।
ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের কোনাবাড়ী কাশিমপুর
সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসড়ক দিয়েই ঢাকার
যে কোন জায়গা থেকে আসা যাওয়া করা যায়।
কোনাবাড়ী কাশিমপুর এলাকায় গড়ে উঠেছে শতশত তৈরি পোশাক কারখানা। প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে গার্মেন্টস শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। এছাড়াও চলাচল করে হাজার গাড়ী। বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জমে হাঁটু পানি। ফলে যানবাহন চলাচলে বিগ্ন ঘটছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব খানা খন্দের উপর দিয়েই গাড়ী নিয়ে যাচ্ছেন চালকরা। মাঝে মধ্যেই উল্টে যাচ্ছে রিক্সা, ইজিবাইকসহ অনান্য যানবাহন।
কোনাবাড়ী কাশিমপুর সড়কটি দিয়ে চলে ব্যাটারিত চালিত রিক্সা, ইজিবাইক, অটো রিক্সা, প্রাইভেটকার,মাইক্রো,নছিমন,সিএনজি,বাস-ট্রাক
কাভার্ডভ্যান,এম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন যানবাহন। দীর্ঘদিনের এই ভোগান্তি কবে শেষ হবে এমন প্রশ্ন এলাকাবাসীর।
কিরণ মালা বাসের চালক লালচাঁন বলেন, কোনাবাড়ী থেকে নরসিংহপুর পর্যন্ত পুরো রাস্তায় খানা খন্দে ভরা ২০ মিনিটের রাস্তা একঘন্টা সময় লাগে। তিনি বলেন, অনেক ঝুঁকি নিয়ে গাড়ী চালাতে হয়। রাস্তা ভাঙা থাকার কারণে যাত্রী ও আগের মতো হয়না।
জরুনে বিসমিল্লাহ স্পেশাল বিরিয়ানি হাউজ এর
মালিক মিজান বলেন,হোটেলের সামনেই পানি কাঁদা কাস্টমার আসতে চায়না। হেঁটে চলাচল করা
খুবই দুর্বিসহ লাগে। এখন আর আগের মতো বেচাকেনা হয়না। আল্লাই জানে কবে ঠিক হবে এই রাস্তা। আব্দুল কাদের নামে এক যাত্রী বলেন,এই
রাস্তা দিয়ে কোন রোগী নিয়ে কোনাবাড়ী যাওয়া যায়না। ডেলিভারি রোগী হলেতো কোন কথাই নেই রাস্তায় খালাস।
এবিষয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৬ নং জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম শামসুর রহমান মাহমুদ সকালের সময় প্রতিবেদকে জানান,কোনাবাড়ী কাশিমপুর রাস্তার টেন্ডার হয়েছে। আশা করছি অল্প কিছু দিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে।