বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫, ০৫:২৪ পূর্বাহ্ন

ভাঙ্গুড়ায় ভাইয়ের ঘর নির্মাণে বোনদের বাধা,চাঁদাবাজির অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট

রিপোর্টারের নাম : / ৫১ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : সোমবার, ২৬ মে, ২০২৫

মোঃ আব্দুল আজিজ,ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি: পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা জাতীয়তাবাদী পৌর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মোতালেব হোসেনসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ৭০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে ভাঙ্গুড়া থানায় একটি মিথ্যা ও বানোয়াট লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে, এটা মুলত ভাইয়ের ঘর নির্মাণে মা বোনদের বাধা।

অভিযোগে উল্লেখ করেন,সোমবার (১৯ মে ) সকালে আরিফের দোকানে গিয়ে বিএনপি নেতা মোঃ আলিমুদ্দিন ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন, না দিলে বাড়ির কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি প্রদান করেন। এর আগে মানিক হোসেন গত ৫ই মে আশরাফুল ইসলাম আরিফের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে আসেন। যার প্রমাণ সিসিটিভি ফুটেজে সংরক্ষিত আছে বলে অভিযোগ করেন। ২০ হাজার টাকার বিষয়ে মানিক হোসেন বলেন, আরিফের মা বোনদের ম্যানেজ করতেই আরিফ আমাকে ডেকে ১০ হাজার টাকা দেয় আর বলে তুই আমার ভাতিজা যে ভাবেই হোক তুই আমার মা বোনদের ম্যানেজ কর। মানিক আরিফের কথা মত আরিফের বোন অর্থাৎ মানিকের ফুফুর বাড়ি ঝি-কলকতিতে বিভিন্ন ফল- মুল কিনে নিয়ে যাই,যাহা আরিফের বোন সালমার সাথে মুঠো ফোনে কথা বলে এর সত্যতা পাওয়া যায়। মানিক আরো বলেন,পৌর বিএনপির সভাপতি মোঃ রফিকুল হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মোতালেব হোসেনসহ আমাকে জড়িয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে চাঁদা বাজির অভিযোগ করা হয়েছে, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

অপর দিকে পৌর বিএনপির সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মোতালেব হোসেনের দাবি আমরা তাদের কাছে চাঁদা দাবি করেছি এমন প্রমান তারা দেখাতে পারবে না। বরং ৩০/০৪/২০২৫ইং তারিখের মা বোনের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে ০৫/০৫/২০২৫ইং তারিখে ও পরে ২০/০৫/২০২৫ইং তারিখে দুই বার আরিফের বাড়ির কাজ বন্ধ করে দেন পৌর প্রশাসক নাজমুন নাহার।

বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম ও মোতালেব হোসেন জানান, আরিফের বোন ছালমা খাতুন,আফরোজা খাতুন,আলফা খাতুন,হোসনেয়ারা খাতুন ও মাতা আয়শা খাতুন আরিফকে বিবাদি করে পৌর প্রশাসক বরাবর ৩০/০৪/২০২৫ইং তারিখে অমিমাংশিত যাওগায় ঘর নির্মাণ করা নিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন, এবিষয়ে আরিফের আত্মীয় মানিক ভাই বোনের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আমার কাছে নিয়ে আসে। আমি পৌর প্রশাসক মোছাঃ নাজমুন নাহার স্যারের কাছ থেকে একটু সময় নিয়ে দেই এবং আমি আমার পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মোতালেব হোসেনকেও বিষয়টি অবগত করে, ভাই বোনের বিরোধ নিষ্পত্তির কথা বলি । কিন্তু আরিফ পৌর প্রশাসকের নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না করে বাড়ির নির্মাণ কাজ শুরু করলে আরিফের বোন সালমা খাতুন আবারও আমার কাছে মানিককে পাঠায়, আমি মোতালেবকে বিষয়টা ফোন করে বললে মোতালেব বাস স্ট্যান্ডের কাজ শেষে বাড়ি যাওয়ার পথে আরিফের দোকানের সামনে রাস্তা থেকেই পৌর সভার নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি অবগত করে চলে যান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরিফের স্ত্রী মাকসুদা পারভীন মুন আমাদের মান সম্মান ক্ষুণ্য করতে ভাঙ্গুড়া থানায় একটি মিথ্যা ও বানোয়াট লিখিত অভিযোগ করেন, চাঁদাবাজির ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে তারা দাবি করেন,কারণ মানিক আরিফের নিকটতম আত্মীয় তাকে কি জন্য টাকাটা দিয়েছে আমরা জানিনা।
ভাঙ্গুড়া পৌর বিএনপির সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম আরো বলেন, একটি মহল বিএনপিকে বিতর্কিত করার উদ্দেশ্যে চাঁদাবাজির অভিযোগ দিয়েছে। আমি ও আমার পৌর বিএনপি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর