বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩৫ অপরাহ্ন

ই-জিপিতে বছরে আয় ৪৫০ কোটি টাকা

রিপোর্টারের নাম : / ১২৮ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২

সরকারি কেনাকাটায় ডিজিটাল পদ্ধতি ই-গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট পোর্টাল (ই-জিপি) ব্যবহারের ফলে বছরে ৪৫০ কোটি টাকা আয় করেছে সরকার। একই সঙ্গে ৬০ কোটি ডলার বা ছয় হাজার কোটি টাকার মতো সাশ্রয় হচ্ছে। পরিবেশ সুরক্ষা থেকেও বড় ধরনের সাশ্রয়ী সুবিধা পাওয়া গেছে। সব হিসাব আমলে নিলে ই-জিপির আর্থিক অবদান আরও অনেক বেশি।

বৃহস্পতিবার বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীর সঙ্গে মতবিনিময়ে ই-জিপির মাধ্যমে এসব সাশ্রয় এবং অন্যান্য সুবিধার কথা তুলে ধরেন পরিকল্পনা কমিশনের সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) মহাপরিচালক মোহাম্মাদ সোহেলার রহমান চৌধুরী। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিপিটিইউ সভাকক্ষে এ আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) বিদায়ী সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান প্রধান অতিথি ছিলেন। তিনি বলেন, ই-জিপির মাধ্যমে সরকারি কেনাকাটায় গুণগত পরিবর্তন এসেছে। গোটা প্রক্রিয়াই এখন কাগজবিহীন। ইতোমধ্যে আইএসও সনদ ও ডিরেক্টর অ্যাওয়ার্ড এর বড় অর্জন। পৃথিবীর অনেক দেশকে বাংলাদেশের ই-জিপি কার্যক্রম অনুসরণের পরামর্শ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। তবে করোনার মতো সংকটকালে ই-জিপি প্রক্রিয়া আরও কীভাবে মসৃণরূপে কাজ করতে পারে, সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা করতে সিপিটিইউ কর্মকর্তাদের পরামর্শ দেন তিনি।

ই-জিপির অন্যান্য সুবিধার কথায় সিপিটিইউ মহাপরিচালক বলেন, বর্তমানে ই-জিপি মাধ্যমে টেন্ডার প্রক্রিয়া ১০০ দিনের পরিবর্তে মাত্র ৫৮ দিনে করা সম্ভব হচ্ছে। দরদাতাদের ৪৯৭ মিলিয়ন কিলোমিটার ভ্রমণ দূরত্ব কমেছে; ১ হাজার ৫৩ মিলিয়ন পাতা কাগজ সাশ্রয় হয়েছে এবং ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৫৯ টন কার্বন নিঃসরণ কম হয়েছে। এ সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য এবং সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরেন তিনি। সিপিটিইউর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মতবিনিময়ে অংশ নেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর