বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
আব্দুল আলীমের মরদেহ দীর্ঘ আড়াই বছর পর ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন অতীতে ঘরে ঘরে চাকরি দেবার নাম করে হাহাকার দিয়ে গেছে রাজনৈতিক দলগুলো কেন্দ্রীয় জাকের পার্টির নেতা রবিউল ইসলাম রবি ভাঙ্গুড়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু বেনাপোলে বিজিবি-বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত সলঙ্গায় সেচ্ছাসেবকদলের শীতবস্ত্র বিতরণ গাজীপুরে ৯ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার-১ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিসপ্লে-তে ভেসে উঠেলো ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে আদম ব্যবসায়ী শাহীন ও মশিয়ারের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা সৌদি আরবে অবৈধ অভিবাসী! কুড়িগ্রামে এম আর বি ইকো ব্রিকসকে পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা শার্শা সরকারি টেকনিকেল স্কুল এন্ড কলেজ ২ দিনব্যাপি বিজ্ঞান মেলা

দেশে ১ম ‘হ্যাপলো ট্রান্সপ্লান্ট’ পদ্ধতিতে বোনম্যারো প্রতিস্থাপন

রিপোর্টারের নাম : / ১৯৯ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বৃহস্পতিবার, ১২ মে, ২০২২

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো হ্যাপলো ট্রান্সপ্লান্ট পদ্ধতিতে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত দুই বছর বয়সী রোগীর বোন ম্যারো প্রতিস্থাপন হয়েছে। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ৫ মে হ্যাপলো ট্রান্সপ্লান্ট সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়। শিশুটি বর্তমানে সুস্থ রয়েছে।

বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে হাসপাতালটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এভারকেয়ার হাসপাতালের হেমাটোলজি ও স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্ট বিভাগের কো-অর্ডিনেটর ও সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ বলেন, ‘থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রোগ। জিনগত কারণে থ্যালাসেমিয়া হয়ে থাকে। বর্তমানে এই রোগের একমাত্র নিরাময়যোগ্য চিকিৎসা বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট। এ ক্ষেত্রে বড় বাধা ছিল রক্তের গ্রুপ না মেলা। তবে হ্যাপলো ট্রান্সপ্লান্ট পদ্ধতিতে রক্তের গ্রুপ অর্ধেকটা মিললেও বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট সম্ভব।’

থ্যালাসেমিয়া চিকিৎসার প্রতিবন্ধকতার উল্লেখ করে এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, ‘এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় ডোনার না পাওয়া। কারণ থ্যালাসেমিয়া রোগীর পরিবার ছোট আকারের হওয়ায় ডোনার পাওয়ার সম্ভাবনা ১০ শতাংশের নিচে। তাই এর বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে হ্যাপলো ট্রান্সপ্লান্ট পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ এই পদ্ধতিতে অর্ধেকটা ম্যাচ করা ডোনার দ্বারা ট্রান্সপ্লান্ট করা হয়।

‘এই পদ্ধতির চিকিৎসায় পরিবারের যে কেউ ডোনার হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারে। এই প্রক্রিয়ায় থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীর ডোনার নিয়ে আর ভোগান্তি পোহাতে হয় না। আর দেশে হ্যাপলো ট্রান্সপ্লান্ট চিকিৎসা ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার মধ্যেই দেয়া সম্ভব।’

আমাদের দেশে প্রায় ৮০ লাখ মানুষ থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত, যাদের অধিকাংশই এ সম্পর্কে অবগত নয় বলে জানান ডা. আবু জাফর। তিনি বলেন, বেশিরভাগই বাহক বা ক্যারিয়ার যা সহজে ধরা পড়ে না। ফলে একে সাইলেন্ট কিলারও বলা হয়ে থাকে। এর মধ্যে ৫০ থেকে ৭০ হাজার থ্যালাসেমিয়া রোগী আছেন যাদের চিকিৎসা প্রয়োজন।

‘বাংলাদেশে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের জন্য এটি একটি বড় সুখবর এবং এর মাধ্যমে এভারকেয়ার হসপিটালের হাত ধরে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় একটি যুগান্তকারী অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে।’

এভারকেয়ারের মেডিক্যাল সার্ভিসেসের ডেপুটি ডিরেক্টর ডা. আরিফ মাহমুদ বলেন, ‘ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে সব ধরনের চিকিৎসা এই হাসপাতালে রয়েছে। তাই চিকিৎসার জন্য আর বিদেশে যেতে হবে না। এখানে আমরা আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। হ্যাপলো ট্রান্সপ্লান্ট বা হাফ ম্যাচ ট্রান্সপ্লান্ট বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবা খাতে একটি মাইলফলক।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে এভারকেয়ার হাসপাতাল, বাংলাদেশের এমডি ও সিইও ডা. রত্নদীপ চাসকার, চিকিৎসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও রোগীর স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর