বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:০৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
কুড়িগ্রামে কমিউনিটি নেতা ও যুব ফোরাম এবং স্থানীয় স্টেকহোল্ডারদের সাথে ওরিয়েন্টেশন সভা অনুষ্ঠিত কোনাবাড়ীতে ঝুট গোডাউনে লাগা আগুন দেড় ঘন্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে কোনাবাড়িতে প্রতিবন্ধী ও অসহায়দের মাঝে কম্বল বিতরণ কোনাবাড়ীতে ঝুট গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৩ ইউনিট নাগেশ্বরীতে ওয়ার্ল্ড ভিশনের উদ্যোগে ওরিয়েন্টেশন সভা অনুষ্ঠিত গাজীপুরে কারখানা খোলার দাবিতে গণ সমাবেশ শুরু  ভূরুঙ্গামারীতে ৩ ইটভাটার ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা সুন্দরগঞ্জে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড! গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলায় আওয়ামিলীগ নেতা গ্রেফতার কুড়িগ্রামে বিএনপির ৯টি উপজেলা ও ৩টি পৌরসভা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা

বেনাপোলে সংকট ছাড়াই ডিমের বাড়তি দাম

রিপোর্টারের নাম : / ৩৯ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শুক্রবার, ৩১ মে, ২০২৪

মনির হোসেন বেনাপোল প্রতিনিধি: বেনাপোল বাজারে ডিমের কোনো সংকট না থাকলেও দাম কমার লক্ষণ নেই। দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে ডিম সাধারণের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। ক্রেতারা চাইছেন বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন সক্রিয় হোক।

আমিষ কিংবা নিরামিষ কোনটিতেই নেই স্বস্তি। এরই মাঝে দিন দিন মাছ, মাংস ও ডিমের ক্রমাগত দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে আমিষ বর্তমানে বিলাসিতার নাম। মাছ, মাংস জোটানো যখন দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে তখন ডিমের উপর নির্ভরশীলতা তৈরি হয়েছিল সাধারণ মানুষের। তবে বর্তমানে তাতেও স্বস্তি নেই। ডিমের দাম ক্রমাগত বেড়ে যাওয়ায় তা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। দরদাম ওঠানামার মধ্যই রয়েছে ডিমের। জানুয়ারি মাসে ডিম বিক্রি হয় ৩৮/ ৪০ টাকা হালি। ফেব্রুয়ারি মাসে এ দর অপরিবর্তিত ছিল। মার্চ মাসের শুরুতে দুই টাকা বেড়ে ডিমের দাম গিয়ে দাঁড়ায় ৪২ টাকায়। মার্চ মাসের মাঝামাঝিতে দাম আরও খানিকটা কমে বিক্রি হয় ৩৮ টাকা হালিতে। মাস জুড়ে এ দামেই বিক্রি হয়। এপ্রিল মাসে খানিকটা বেড়ে ডিম বিক্রি হয় ৪০ টাকা হালিতে। মে মাসের শুরুতেও এ দামেই বিক্রি হয় ডিম। মাসের প্রথম সপ্তাহ পেরিয়ে দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে অস্থির হতে থাকে ডিমের বাজার। সপ্তাহের ব্যবধানেই বিক্রি হতে থাকে ৪৮ টাকা হালি দরে। ধাপে ধাপে বেড়ে গিয়ে বর্তমানে ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা (বড়) হালিতে।

বেনাপোল বাজারে ডিমের যোগান থাকা সত্বেও ডিমের দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই। কারণ ছাড়াই বাড়ছে ডিমের দাম। বাজারে কোনো সংকট না থাকলে ও ডিমের এ অস্বাভাবিক দামে অস্বস্তিতে সাধারণ মানুষ। ক্রেতারা চান বাজার নিয়ন্ত্রণ করুক প্রশাসন।

ভবারবেড় এলাকার মোঃ আলী হোসেন বলেন, ‘কিছুদিন ডিমের দাম একটু কম থাকায় স্বস্তিতে ছিলাম। আবারও ডিম বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। প্রশাসনের উচিত বাজার নিয়ন্ত্রণ করা।

বড় আচড়া গ্রামের মোঃ জসীমউদ্দীন বলেন, ‘আগে মাঝে মাঝে একটি দুটি নিত্যপণ্যের দাম বাড়তো। কিন্তু এখন কোনো পণ্যতেই স্বস্তি নেই। সবকিছুর দাম একসাথে বাড়লে মানুষ যাবে কোথায়? এখন সারা বছর সিন্ডিকেটগুলো সক্রিয় থাকছে। প্রশাসনের উচিত জনস্বার্থে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা।

ডিম বিক্রেতা বেনাপোলে দোকানদার আব্দুল সালাম বলেন, কোনো সংকট না থাকলেও ডিমের দাম বাড়ছে।আমরা যশোর থেকে ডিম নিয়ে আশা হয়। জেল রোড এলাকার ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজের আড়ৎদার সিরাজুল ইসলাম বলেন, যশোরের অভ্যন্তরে যে ডিম উৎপাদন হয়, স্থানীয় চাহিদা পূরনে তা কম নয়। এর পাশাপাশি খুলনা এবং পাবনা থেকেও পর্যাপ্ত ডিম আসছে বাজারে। তবুও ডিমের দাম কেন বাড়ছে তা তারাও জানেন না। একই কথা জানান বড় বাজারের ডিমের আড়ৎদার আব্দুস সালাম।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর