ভাঙ্গুড়ায় গরু-ছাগলের জমজমাট পশুর হাট শরৎনগর বাজার
আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে পাবনার ভাঙ্গুড়া শরৎ বাজারে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। শনিবার (২ জুলাই) সকাল থেকে উত্তরবঙ্গের বৃহত্তর ভাঙ্গুড়ার শরৎনগর বাজার হাটে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গরু আসতে শুরু করে। দুপুরে হাট কোরবানির পশুতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে।
হাটে বড়, মাঝারি ও ছোট সাইজের প্রচুর গরু উঠলেও দাম চড়া থাকায় অনেক ক্রেতা গরু না কিনেই বাড়ি ফিরেছেন। ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার পাইকার থাকায় স্থানীয় ক্রেতারা পছন্দমতো গরু কিনতে পারেননি। ঢাকা টুঙ্গি থেকে আসা মোঃ জাকির হোসেন ও মোঃ সফিক বলেন গরুর দাম মোটামুটি স্বাভাবিক থাকায় কিছু গরু কিনেছি।
জানা গেছে, পাবনা ভাঙ্গুড়া পৌর এলাকায় অবস্থিত শরৎনগর হাট বৃহত্তম হাট হিসেবে পরিচিত। সপ্তাহে বুধবার ও শনিবার হাট বসলেও শুধু শনিবার গবাদি পশু কেনাবেচা হয়ে থাকে।
শনিবার বিকালে হাটে গিয়ে দেখা গেছে, প্রচুর কোরবানির পশু হাটে উঠেছে। মোটামুটি কেনাবেচা হয়েছে বলে, ক্রেতা-বিক্রেতারা জানিয়েছেন। তবে হাটে দেশীয় মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা বেশি ছিল। তাই এ জাতের গরুর দাম তুলনামূলক বেশি ছিল। হাটে সবচেয়ে বড় গরুর দাম হাঁকানো হয়েছে ৪ লক্ষ টাকা।
কথা হয় হাটে গরু নিয়ে আসা মৃত্তিকা ক্যাটল ফার্ম মালিক মোঃ কাদের খানের সঙ্গে তিনি বলেন ভাঙ্গুড়ায় আমরাই সর্বপ্রথম মিটর স্কেল লাইভ ওয়েটে কোরবানির পশু বিক্রয় করছি এবং এবারের ঈদুল আযহা উপলক্ষে প্রায় দুই শতাধিক ব্রাহামা,সিন্ধি,পাকিস্তানী, শাহীওয়াল,দেশাল ফ্রিজিয়ান জাতের ছোট,বড়,মাঝারি ষাঁড় গরু প্রাকৃতিক ভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন শাহীওয়াল জাতের একটি বড় ষাঁড়ের দাম হেঁকেছেন চার লাখ টাকা। ক্রেতারা ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা বলেছেন।
ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের সুলতান পুর গ্রামের মোঃ শহিদুল ইসলাম ও ভবানিপুর গ্রামের মোঃ মন্টু খাঁ জানান, তারা কোরবানির জন্য দেশি জাতের মাঝারি গরু কিনতে এসেছেন। কিন্তু বড় গরুর তুলনায় এ ধরনের গরুর দাম বেশি। তাই তাদের মতো অনেক ক্রেতাই ফিরে যাচ্ছেন। আগামী দিন অন্য কোনও হাটে যাবেন।
হাটের ইজারাদার জানিয়েছেন, হাটের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ক্রেতা ও বিক্রেতারা যাতে প্রতারিত না হন সে জন্য মাইকে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
এবিষয়ে পৌরসভার মেয়র ও ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ গোলাম হাসনাইন রাসেল বলেন,হাটের নিরাপত্তার জন্য থানা পুলিশ টহলে আছেন এবং পৌরসভার কাউন্সিলরাসহ ছাত্র লীগের সভাপতি মোঃ আতিকুল ইসলাম বিপ্লব এর নেতৃত্বে হাটের চতুর্দিকে যান চলাচলের যাহাতে কোন অসুবিধা না হয় সে জন্য সেচ্ছাসেবী রয়েছেন।