শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৪৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
পিঠা উৎসবের আনন্দ মেলায় মুখরিত সরোবর পার্ক এন্ড রিসোর্ট! আদম ব্যবসায়ীদের প্রতারণায় নিঃস্ব সোহেলের পরিবার কোনবাড়ীতে ইয়াবাসহ আটক-১ আদম ব্যবসায়ীদের প্রতারণায় নিঃস্ব সোহেলের পরিবার, থানায় অভিযোগ আদম ব্যবসায়ীদের প্রতারণায় নিঃস্ব সোহেলের পরিবার, থানায় অভিযোগ টঙ্গীতে বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার কোনাবাড়িতে ঝুট গোডাউনে আগুন,নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট কারামুক্ত হলেন ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন আব্দুল আলীমের মরদেহ দীর্ঘ আড়াই বছর পর ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন অতীতে ঘরে ঘরে চাকরি দেবার নাম করে হাহাকার দিয়ে গেছে রাজনৈতিক দলগুলো কেন্দ্রীয় জাকের পার্টির নেতা রবিউল ইসলাম রবি

শাহজাদপুর এবারও বোরো মৌসুমে ধান সংগ্রহের অভিযান ব্যর্থ

রিপোর্টারের নাম : / ৮৪ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

নুপুর কুমার রায়,শাহজাদপুর(সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বোরো মৌসুমে সরকারিভাবে এবার চাল সংগ্রহে সফলতা এলেও ব্যর্থ হয়েছে ধান সংগ্রহ অভিযান। গত বছর চাল ও ধান সংগ্রহে ব্যর্থ হওয়ায় এবছর গত বছরের তুলনায় প্রায় অর্ধেক চাল ও ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল এবং এবছর চাল কেজিতে ৩ টাকা ও ধান কেজিতে ৪ টাকা বৃদ্ধি করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

এরপরেও উপজেলায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ধান সংগ্রহ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৭ শতাংশ। গত বৃহস্পতিবার(৩১ আগষ্ট) পর্যন্ত মাত্র ১৩২ মেট্রিক টন ধান ক্রয় করতে পেরেছে উপজেলার সরকারি খাদ্যগুদাম। যদিও বোরো মৌসুমে এবছর ২২৬০০ হেক্টর জমিতে প্রায় ১ লাখ ৪২ হাজার ৩৬৪ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়েছে। তবে লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৯৮ শতাংশ চাল সংগ্রহ করতে পেরেছে উপজেলা খাদ্য অধিদপ্তর।

তবে খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ আলাওল কবির এর দাবি, গুদাম ও খোলাবাজারে ধানের দাম কাছাকাছি হওয়ায় সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করতে কৃষকদের আগ্রহ নেই। যে কারণে কৃষকেরা এবার ধান বাজারে বিক্রি করেছেন। টানা কয়েক বছর যাবৎ প্রায় মৌসুম ধরেই সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ অভিযান ব্যর্থ হয়েছে। কারণ জানতে চাইলে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ আলাওল কবির বলেন, শুধু দরদামের তারতম্যের জন্য ধান সংগ্রহ আশানুরূপ হয়নি। বিগত কয়েক বছর যাবৎ ধানের বাজার মূল্য অনেক বেশি। এবারও ধানের বাজার মূল্য বেশি থাকায় সরকারি গুদামে ধান সরবরাহ করতে আগ্রহী হচ্ছে না কৃষক।

শাহজাদপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই মৌসুমে ১ মে থেকে ৩১ আগস্টের মধ্যে ৩০ টাকা কেজি দরে ধান এবং ৪৪ টাকা কেজি দরে চাল সংগ্রহের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল খাদ্য মন্ত্রণালয়। উপজেলায় এবারের ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৭’শ ৮১ মেট্রিক টন। সংগৃহীত হয়েছে মাত্র ১৩২ মেট্রিক টন।

শতাংশের হিসাবে মাত্র ৭ দশমিক ৪১ শতাংশ। অপদিকে ৯টি মিলার এর মাধ্যমে সেদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ২৪৮ মেট্রিক টন। এর মধ্যে সংগৃহীত হয়েছে ১ হাজার ২২৭ মেট্রিক টন। সেদ্ধ চালের ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে প্রায় ৯৮ দশমিক ৩১ শতাংশ।

উপজেলার গ্রামীণ হাটবাজার ও বিভিন্ন গ্রামে কৃষকদের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা জানান, এবারের মৌসুমে জুরে ধান মণপ্রতি ১২০০ থেকে ১৩৫০ টাকার ওপরেই বিক্রি হয়েছে বা হচ্ছে। এ জন্য ধানের বর্তমান বাজারদরকেই প্রধান কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ধান-চাল ব্যবসায়ীরা।
অপরদিকে স্থানীয় কৃষক ও উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গুদাম ও খোলাবাজারে ধানের দাম কাছাকাছি হওয়ায় সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করতে কৃষকদের আগ্রহ নেই।

এ ছাড়াও আর্দ্রতার কথা বলে অনেক সময় ধান ফেরতও দেওয়া হয় কৃষকদের। স্থানীয় বাজারে এসব ঝক্কি-ঝামেলা নেই। তাছাড়াও গ্রেডিং, শুষ্কতা, পরিবহন খরচ, মজুরি খরচের হিসাব বিবেচনা করে কৃষকেরা বাড়ি থেকে পাইকারের কাছে অথবা পার্শ্ববর্তী বাজারে বিক্রি করাকেই সুবিধাজনক মনে করায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
ধান সংগ্রহের ব্যর্থতার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জেরিন আহম্মেদ কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে মাঠ পর্যায় থেকে ধান সংগ্রহ করলে লক্ষ্যমাত্রায় চেয়েও বেশি ধান সংগ্রহ করতে পারবে বলে মনে করেন এ কর্মকর্তা।
এ মৌসুমে ধান সংগ্রহে কাংক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ কেন সম্ভব হলো না, জানতে চাইলে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ আলাওল কবির বলেন, কৃষক ধান না দিলে আমরা কি করতে পারি। তবে আমাদের পক্ষ থেকে উপজেলাজুরে মাইকিংসহ লিফলেট বিতারণ করা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর