বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৩২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
কোনাবাড়িতে ঝুট গোডাউনে আগুন,নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট কারামুক্ত হলেন ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন আব্দুল আলীমের মরদেহ দীর্ঘ আড়াই বছর পর ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন অতীতে ঘরে ঘরে চাকরি দেবার নাম করে হাহাকার দিয়ে গেছে রাজনৈতিক দলগুলো কেন্দ্রীয় জাকের পার্টির নেতা রবিউল ইসলাম রবি ভাঙ্গুড়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু বেনাপোলে বিজিবি-বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত সলঙ্গায় সেচ্ছাসেবকদলের শীতবস্ত্র বিতরণ গাজীপুরে ৯ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার-১ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিসপ্লে-তে ভেসে উঠেলো ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে আদম ব্যবসায়ী শাহীন ও মশিয়ারের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা সৌদি আরবে অবৈধ অভিবাসী!

সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে কাবিননামা দিলো কাজী, আতঙ্কে গৃহবধু!

আশরাফুল হক, লালমনিরহাট: / ২২৫ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : মঙ্গলবার, ১৭ মে, ২০২২

সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে কাবিননামা (নকল) দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ী ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী ফয়সাল আহমেদের বিরুদ্ধে।

রোববার (১৫ মে) বিকেলে ভুক্তভোগী গৃহবধু আফরোজা বেগমকে নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে একাধিক কাগজে স্বাক্ষর নেন কাজী ফয়সাল আহমেদ।

এর আগে, বুধবার (১১ মে) লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক বরাবর সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) আমিনুর রহমান ও তার ছোটভাই লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে কাবিননামার (নকল) কপি উত্তোলনের জন্য ৩০ হাজার টাকা দাবি করার অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী গৃহবধু।

পরে জেলা রেজিস্ট্রারকে অভিযোগটি তদন্তের নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক। সে মোতাবেক মঙ্গলবার (১৭ মে) সকাল ১১টায় ওই অভিযোগের তদন্তের জন্য অভিযুক্ত নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী আমিনুর, তার ছোটভাই লুৎফর রহমান ও ভুক্তভোগী গৃহবধুকে স্বাক্ষ্য প্রমাণসহ তদন্তস্থলে উপস্থিতির জন্য নোটিশ প্রেরণ করা হয়।

কিন্তু ওই তদন্তের পূর্বেই রোববার (১৫ মে) বিকেলে ভুক্তভোগী গৃহবধু আফরোজা বেগমকে নিজ বাড়িতে ডেকে একাধিক কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে কাবিননামা (নকল) দেন কাজী ফয়সাল আহমেদ। এদিকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর দিয়ে আতঙ্কে ভুগছে ভুক্তভোগী পরিবারটি।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, অভিযুক্ত নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী আমিনুর রহমান এমপিওভূক্ত শিক্ষক হিসেবে পার্শ্ববর্তী একটি বিদ্যালয়ে চাকুরীর কারণে নিকাহ রেজিস্ট্রারের যাবতীয় কার্যক্রম তার ছোটভাই ও ছেলের মাধ্যমে পরিচালনা করেন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বাল্যবিবাহ নিবন্ধন করছেন লুৎফর রহমান। এর উজ্জল দৃষ্টান্ত গৃহবধু আফরোজা বেগমের বিয়ে। মাত্র ১২ বছর বয়সে বিয়ে হয় তার। ১৪ বছরে সন্তান জন্ম দেন আফরোজা। স্বামীর যৌতুকের দাবি না মানায় সন্তানকে রেখে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয় তাকে। আইনী ব্যবস্থা নিতে কাবিননামার (নকল) জন্য নিকাহ রেজিস্ট্রারের স্মরণাপন্ন হলে প্রথমে তারা বিয়ে নিবন্ধনের বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে নানা টালবাহনার পর মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। যার একটি অডিও ক্লিপ ইতোমধ্যে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এদিকে, অভিযুক্ত নিকাহ রেজিস্ট্রার কাম এমপিও শিক্ষক কাজী আমিনুর রহমানকে দায়মুক্ত করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন- আর এক এমপিও শিক্ষক কাম নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী ফয়সাল আহমেদ। যিনি তদন্তের পূর্বে ভুক্তভোগীকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে মূলত তদন্ত কার্যক্রমকে ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।

শিশু বিবাহ নিবন্ধন ও নকল কপির বিষয়ে জানতে চাইলে কাজী আমিনুর রহমান বলেন, বিয়ের এক/দুই বছর পর মেয়েদের বয়স ধর্তব্য নয়। কাবিননামা (নকল) দেয়া যায়।

আর সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়ার বিষয়ে কাজী ফয়সাল আহমেদ বলেন, জেলা রেজিস্ট্রারের নির্দেশে আফরোজা বেগমকে কাবিননামা (নকল) সরবরাহ করা হয়। সে সময় তার দুটি স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর