বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
গাজীপুরে ৯ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার-১ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিসপ্লে-তে ভেসে উঠেলো ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে আদম ব্যবসায়ী শাহীন ও মশিয়ারের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা সৌদি আরবে অবৈধ অভিবাসী! কুড়িগ্রামে এম আর বি ইকো ব্রিকসকে পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা শার্শা সরকারি টেকনিকেল স্কুল এন্ড কলেজ ২ দিনব্যাপি বিজ্ঞান মেলা নারীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা ও টেকসই উন্নয়নে টিম চিহ্নের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ কোনাবাড়ীতে টিনশেড বাসায় অগ্নিকাণ্ড,৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি ভারত যাওয়ার পথে ইডেন ছাত্রলীগ নেত্রীসহ গ্রেফতার ২ শিক্ষককে মারধোর,সেই যুবদল নেতা দল থেকে বহিষ্কার গাজীপুরে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে দিনব্যাপী দুদকের অভিযান

স্থলবন্দর বেনাপোলে দুই উপপরিচালক বরখাস্ত

রিপোর্টারের নাম : / ৩৮ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

মনির হোসেন , বেনাপোল প্রতিনিধি :বেনাপোল স্থলবন্দরের দুই উপপরিচালককে বরখাস্ত করা হয়েছে। দুর্নীতি ও অনিয়ম এবং স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, দপ্তরের শৃঙ্খলা ভঙ্গ, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার প্রভৃতি কারণে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বিষয়টি সোমবার ২সেপ্টেম্বর জানাজানি হয়।

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরের ওজনে ডিজিটাল কারসাজি করে শুল্ক পরিশোধ ছাড়াই আমদানিকারকদের পণ্য আনার সুযোগ করে কোটি কোটি টাকা কামাই করেছেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মো. মনিরুল ইসলাম এবং উপ-পরিচালক মো. কবির খান গং।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, মনিরুল ইসলাম ছাত্রাবস্থায় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন- মর্মে তিনি নিজেকে পরিচয় দিতেন। এই পরিচয়ে তিনি লাগামহীন দুর্নীতি করে বারবার পার পেয়ে যান। তার অত্যাচারে অফিসে সবাই তটস্থ থাকতেন।

বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, মো. মনিরুল ইসলাম ২০২২ সালের ১ অক্টোবর যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে যোগ দেন। সেই সময় থেকেই তিনি ভারত থেকে বাংলাদেশে আমদানিকৃত প্যারিশেবল (পচনশীল) পণ্য ওজনে ডিজিটাল কারচুপি শুরু করেন। ভারত থেকে সেই সময় প্রতিদিন গড়ে একশ থেকে দেড়শ ট্রাক ওই পচনশীল পণ্য যেমন– মাছ, ফল, কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ, টমেটো, আলু ইত্যাদি আসত।

কাস্টমসের কতিপয় কর্মকর্তা ও কতিপয় অসাধু সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ীর যোগসাজশে ওজন স্কেলে ডিজিটালি কারচুপি করে (ওজন স্কেলের সফটওয়্যারের আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে) প্রতি ট্রাকে প্রতিদিন দুই থেকে তিন টন পণ্যের ওজন কম দেখানো হতো।

প্রতি টন পণ্যের শুল্কায়ন ৮০ থেকে এক লাখ টাকা। সেই হিসেবে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিত ওই চক্র। আর ফাঁকি দেওয়া সেই রাজস্ব তিনটি জায়গায় আনুপাতিক হারে বণ্টন হতো। এভাবে প্রতি মাসে ৬০ থেকে ৭০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় ওই অসাধু চক্র।

সূত্র জানায়, মো. মনিরুল ইসলাম বেনাপোল থেকে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া টাকার একটি অংশ পৌঁছে দিতেন উপ-পরিচালক কবির খানের কাছে। তাদের যোগসাজশে এই চক্র ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল; কিন্তু তাদের সেই অপকর্ম প্রকাশ হয়ে পড়লে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয় সংশ্লিষ্ট দফতর।

গত ২১ আগস্ট বাংলাদেশ স্থলবন্দরের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক পত্রে জানানো হয়, ওজন স্কেলে কারচুপির মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন, দুর্নীতি, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে গ্রুপিং, অফিসিয়াল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার ইত্যাদির কারণে উপপরিচালক (ট্রাফিক) মো. মনিরুল ইসলাম এবং উপপরিচালক (প্লানিং) মো. কবির খানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ স্থলবন্দরের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তাদের দুইজনকে সাময়িক বরখাস্ত এবং বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের সবারই উচিত বেনাপোল স্থলবন্দরকে বাঁচানো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর