অভিযোগের প্রতিটি উত্তর আমার কাছে আছে : উই প্রতিষ্ঠাতা নিশা
আমার বিরুদ্ধে যত অভিযোগ এসেছে তা ভিত্তিহীন। আমি এর প্রতিবাদ জনাচ্ছি। অভিযোগের প্রতিটি উত্তর আমার কাছে আছে। আইসিটি মন্ত্রণালয় থেকে আমি উইয়ের নামে কোন অনুদান নিয়েছি কিনা তা মন্ত্রণালয়ে গেলেই জানা যাবে এবং প্রমাণ পাওয়া যাবে। এভাবেই নিজের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরামের (উই) প্রতিষ্ঠাতা নাসিমা আক্তার নিশা।
সাম্প্রতি নিশা’র বিরুদ্ধে নারী উদ্যোক্তাদের অনুপ্রেরণার জন্য অনুদানের নামে সরকারের ১১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) বাস্তবায়নাধীন ‘আইডিয়া’ প্রকল্প থেকে অর্থ লোপাট করা হয়। আর এর সাথে জড়িত রয়েছেন উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরামের (উই) প্রতিষ্ঠাতা নাসিমা আক্তার নিশা।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাসিমা আক্তার নিশা বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যত অভিযোগ এসেছে তা ভিত্তিহীন। আমি এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অভিযোগের প্রতিটি উত্তর আমার কাছে রয়েছে। আমি চাই যারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তারা আমার সাথে বসুন,আলোচনা করুন। আমি আপনাদের কথা শুনতে চাই। আমার নামে সঠিক অভিযোগ থাকলে তা মাথা পেতে নিবো।
তিনি আরো বলেন, আইসিটি মন্ত্রণালয় থেকে আমি উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরামের (উই) নামে কোন অনুদান নিয়েছি কিনা তা মন্ত্রণালয়ে গেলেই জানা যাবে এবং প্রমাণ পাওয়া যাবে। আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। একটি স্বার্থলোভী মহল আমার এবং উই’র সম্মান ক্ষুণ্য করার জন্য মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করছে। আমি সবাইকে অনুরোধ করবো আপনারা কোন তথ্য বা মন্তব্য প্রকাশ করার আগে আমার সাথে যোগাযোগ করুন।”
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের আগস্টে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর উপহারের নামে নারী উদ্যোক্তাদের অনুপ্রেরণার জন্য ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া শুরু করে আইডিয়া প্রকল্প। তখন থেকেই নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে এই অর্থ বিতরণ করা হয়।
ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-ক্যাব, ওয়েব, আনন্দ আলো’র মতো সংগঠনকেও এতে যুক্ত করা হয়। তবে সবসময়ই শুধু উই এর সিংহভাগ সদস্যদের এই অনুদান দেওয়া হতো। অনুদান পাওয়া সংগঠনের তালিকায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্থানে ছিল ই-ক্যাব।