আগামী অক্টোবরে চালু হবে থার্ড টার্মিনাল
দেশের অন্যতম মেগাপ্রকল্প হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে দ্রুত গতিতে। এখন পর্যন্ত এ প্রকল্পের ৫১ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী বছর অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই টার্মিনাল উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।
গতকাল রাজধানীর কুর্মিটোলায় নিজ দফতরে এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্টস ফোরাম অব বাংলাদেশের (এটিজেএফবি) নব নির্বাচিত কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বেবিচকের চেয়ারম্যান। এ সময় এটিজেএফবির নবনির্বাচিত কমিটিকে শুভেচ্ছা জানান তিনি।
থার্ড টার্মিনালের অগ্রগতি প্রসঙ্গে মফিদুর রহমান বলেন, ‘আগামী এক বছরে কাজের গতি আরও বাড়বে। এখন অবকাঠামো কাজের শেষে যেসব যন্ত্রপাতি প্রয়োজন সেগুলো স্থাপন করা হবে।’ এটিজেএফবি সভাপতি তানজিম আনোয়ার বেবিচক চেয়ারম্যানকে এভিয়েশন খাতের সাংবাদিকদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে কর্মশালা আয়োজনের উদ্যোগ নিতে অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, ‘এটিজেএফবি সব সময় এ খাতের সাংবাদিকদের কর্মশালাসহ দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে। বেবিচকের সহায়তা পেলে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ আরও সহজ হবে।’ মতবিনিময় সভায় এটিজেএফবির নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে বর্তমানে যে দুটি টার্মিনাল রয়েছে, তার যাত্রী ধারণক্ষমতা বছরে প্রায় ৭০ লাখ। তৃতীয় টার্মিনাল তৈরি হলে এ সংখ্যা দাঁড়াবে ২ কোটির কাছাকাছি। ৫ লাখ ৪২ হাজার বর্গমিটারের এ টার্মিনালে এক সঙ্গে ৩৭টি প্লেন রাখার অ্যাপ্রোন (প্লেন পার্ক করার জায়গা) নির্মাণ করা হচ্ছে। টার্মিনাল ভবন হবে ২ লাখ ৩০ হাজার স্কয়ার মিটারের। ভবনের ভেতরে থাকবে পৃথিবীর উল্লেখযোগ্য ও অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তির ছোঁয়া। নির্মাণাধীন টার্মিনালটিতে কয়েকটি স্ট্রেইট এস্কেলেটর লাগানো হবে। যারা বিমানবন্দরের ভেতরে দীর্ঘপথ হাঁটতে পারবেন না, তাদের জন্য এ ব্যবস্থা। সিঙ্গাপুর, ব্যাংককসহ বিশ্বের অত্যাধুনিক বিমানবন্দরে বেশি যাত্রী প্রবাহের জায়গায় এ এস্কেলেটরগুলো ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এটি যাত্রীদের মসৃণ যাত্রার অভিজ্ঞতা দেবে। বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে মেট্রোরেল। তৈরি হবে পৃথক একটি স্টেশনও। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে আসা যাত্রীরা বিমানবন্দর থেকে বের না হয়েই মেট্রোরেলে নিজেদের গন্তব্যে যেতে পারবেন।