আসছে টিকার চতুর্থ ডোজ
করোনা সংক্রমণ রোধে সম্মুখসারির যোদ্ধা, ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি এবং গর্ভবতীদের টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার সুপারিশ করেছে জাতীয় টিকা সংক্রান্ত কারিগরি উপদেষ্টা কমিটি (নাইট্যাগ)। একই সঙ্গে আগামী ১ থেকে ৭ ডিসেম্বর বুস্টার ডোজের গণটিকা ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার রাজধানীর মহাখালীতে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির প্রধান কার্যালয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার সুপারিশ করেছে টিকা সংক্রান্ত কারিগরি উপদেষ্টা কমিটি (নাইট্যাগ)। তাদের টিকা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত টিকা আছে। সরকার সিদ্ধান্ত নিলে আমরা ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি, গর্ভবতী নারী ও সম্মুখসারির করোনা যোদ্ধাদের শিগগিরই টিকা দেওয়া শুরু করব।
ডা. শামসুল হক বলেন, টিকার দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ দেওয়ার বিশেষ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই সময়ে দেশের ১৫ হাজার ৯৮৪টি কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রায় ৯০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়ার লক্ষ্য আমাদের রয়েছে। এই কর্মসূচি চলবে ১ থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। টিকা নেওয়া থেকে বাদ পড়া ব্যক্তিদের টিকার আওতায় আনাই এ কর্মসূচির লক্ষ্য।
সদস্য সচিব বলেন, ‘প্রথম ডোজ নিয়ে যারা দ্বিতীয় ডোজের জন্য এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে বুস্টার ডোজের অপেক্ষায় আছেন- এমন ব্যক্তিদের টিকা দেব। এখনো প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষ বুস্টার ডোজের অপেক্ষায় আছেন, তারা যেন বুস্টার ডোজ পেতে পারেন, সে উদ্দেশ্যেই এই কর্মসূচি।’ দেশের প্রতিটি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন এবং মেডিকেল কলেজ ও জেলা হাসপাতালে এ কর্মসূচি চলার কথা জানিয়ে শামসুল হক বলেন, ‘সাত দিনে ছয়টি কর্মদিবস পড়বে। দুই ভাগে আমরা ভাগ করেছি। প্রথম দিন প্রচার হবে, পরের দিন ওই এলাকায় টিকা দেওয়া হবে। তিন দিন প্রচার তিন দিন টিকাদান।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী অন্তত ৭০ শতাংশ নাগরিককে টিকার আওতায় আনতে হবে। দেশে টিকার দুই ডোজ পেয়েছেন ৭৩ শতাংশ মানুষ। পাঁচ বছরের বেশি বয়সি ৯৫ শতাংশ মানুষ টিকার প্রথম ডোজ, ৮০ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। আর বুস্টার ডোজ পেয়েছেন লক্ষ্যমাত্রার ৫২ শতাংশ মানুষ। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ৩৪ কোটি ৩৪ লাখ ডোজ টিকা এসেছে। টিকা দেওয়া হয়েছে ৩৩ কোটি ২৭ লাখ ডোজ। এর মধ্যে নয়টি ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে ১৩ কোটি ডোজ টিকা।