মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:০৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম শিক্ষা কার্যক্রম উদ্বধোন  সিংড়ায় সহপাঠীর আঘাতে স্কুলছাত্র নিহত নাটোরের বড়াইগ্রামে বিএসটিআইয়ের অভিযানে দুই বেকারি কারখানাকে জরিমানা লালমনিরহাটে কলেজের অধ্যক্ষ পদ নিয়ে সংঘর্ষ; যুবলীগ নেতা আটক! লালমনিরহাটে ডাকাত দল গ্রেফতার! কাজিপুরে ডেইরি ফার্মে দুর্ধর্ষ ডাকাতি; পুলিশের গড়িমসিতে ভিন্নখাতে প্রবাহিত হওয়ার শংকা সলঙ্গায় খড়ের পালায় আগুন থানায় অভিযোগ ভাষা শহিদদের স্মরণে বেনাপোল বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচি যশোরের নাভারন থেকে ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকার ভারতীয় রুপার অলংকারসহ আটক-০২ প্রান্তিক পর্যায়ের পঞ্চাশ হাজার অসহায় মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে ভয়েস অব কাজিপুর 

এই ভোগান্তির শেষ কোথায়!

রিপোর্টারের নাম : / ৩৬ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৪

মাসুদ রানা, পটুয়াখালীঃ কবে শেষ হবে এই সড়কে ভোগান্তির? এবারে সংস্কারের দুই সপ্তাহের মধ্যেই ৪র্থ দফা ধসে পড়লো পটুয়াখালীর বাউফলের আলগী নদী পাড়ের সেই আঞ্চলিক মহাসড়ক। গতবছরের ফেব্রুয়ারিতে উপজেলা সদর থেকে বানিজ্যিক এলাকা কালিশুরি পর্যন্ত এই সড়কের পুননির্মাণ কাজ শেষ হয়। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে সড়কটি নির্মাণ কাজে দুইদফায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছিলো ১০০ কোটি টাকা।

পুননির্মাণের আগেও আলগী নদীর পারের গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের গাজীমাঝি এলাকায় ২০০ মিটার অংশে ধ্বস হয়েছে। পুননির্মাণের ৯ মাসের ব্যবধানে অক্টোবরেই সেই স্থান দ্বিতীয় দফায় ধ্বসে যায়। বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রচারের পরে ধ্বসে যাওয়া স্থানে সংস্কারের উদ্যোগ নেয় সড়ক বিভাগ। কিন্তু সংস্কারের মাস না পেড়োতেই তৃতীয় দফায় একই স্থান ধ্বসে পড়েছিলো।

বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রচারের পর সেখানে সংস্কার কাজ শুরু হয়। কিন্তু এবারে সংস্কারের দুই সপ্তাহ না যেতেই চতুর্থ দফায় ধ্বসে পড়েছে সড়কের সেই স্থান।

বানিজ্যিক কাজে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মালামাল নিয়ে ভাড়ি ট্রাক ও পিকাপ এই সড়ক দিয়ে কালিশুরি চলাচল করে। এছাড়াও বাকেরগঞ্জ হয়ে বরিশাল জেলা শহরেও যাতায়াত করতে পথটি ব্যবহার করে বহু মানুষ। প্রতিদিন এই সড়কে ছোট বড় সহস্রাধিক যাত্রীবাহি যানবাহন চলাচল করে।তাছাড়া ঢাকা টু কালিশুরীগামী যাত্রীবাহী পরিবহনগুলো চলাচল করে এই পথে যা মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ। সড়কের এই সরু স্থানে ব্যহত হয় চলাচল। থাকে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রাকৃতিক ভাবেই এখানে আলগী নদীর জোয়ার ভাটার স্রোত নদীর এই স্থানে আঘাত করে৷ এখানেই নদীর সবথেকে বড় বাক৷ প্রথম থেকেই সার্ভে করে, প্রয়োজন অনুযায়ী কাজ করেনি সড়ক বিভাগ। কাজে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগও করেছেন তারা।

এদিকে কলমের বার্তা’র প্রশ্নে পটুয়াখালী সড়ক বিভাগের নবাগত নির্বাহী প্রকৌশলী জামিল আক্তার বলেন, ‘স্থানীয়রা না বুঝে নিম্ন মানের কাজের অভিযোগ করেন। আমরা চেষ্টা করেছি সড়কটি সংস্কার করে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার৷ সড়ক রক্ষায় কিছু জিও ব্যাগও ফেলা হয়েছে। নদী শাসন করে স্থায়ী কাজ করতে হবে। তাছাড়া এই স্থানের সড়ক রক্ষা করা সম্ভব না।’ তিনি বলেন, সড়কের পুননির্মাণ কাজের সময় আমি অন্য কর্মস্থলে ছিলাম। তাই তখনকার সার্ভে রিপোর্ট সম্পর্কে আমার জানা নেই। এবারে সময় নিয়ে টেকনিক্যাল টিমের মাধ্যমে পরীক্ষা নীরিক্ষা শেষে আলগী নদী পাড়ের সড়কের সংস্কার কাজ করা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর