এএসপি হিসেবে পদোন্নতি পেলেন সিরাজগঞ্জের নাসির উদ্দীন
বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারভুক্ত সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পদে পদোন্নতি পেয়েছেন পুলিশ পরিদর্শক ( নিরস্ত্র) নাসির উদ্দিন।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখার উপ-সচিব মো. মাহাবুর রহমান শেখের সই করা পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে নাসির উদ্দিনসহ ১৯জনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
নাসির উদ্দিন,সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চককোবদাসপাড়া গ্রামের মরহুম রওশন আলী ও মোছা: আয়েশা বেওয়া দম্পত্তির বড় ছেলে।
১৯৭১ সালে জন্ম হওয়া নাসির উদ্দিন ১৯৮৬ সালে সিরাজগঞ্জ এর স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বি এল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও সিরাজগঞ্জ সরকারি (বিএ) কলেজ থেকে এইচএসসি ও বিকম ডিগ্রি লাভ করেন।
নাসির উদ্দিন ১৯৯২ সালে আউট সাইট ক্যাডেট হিসাবে সারদায় ট্রেনিং, এক বৎসরের সারদা ট্রেনিং সম্পন্ন করে নওগাঁ জেলায় দুই বৎসর শিক্ষানবীশ হিসাবে ট্রেনিং সমাপ্ত করেন।
এরপর বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় এস আই হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৭ সালে ইন্সপেক্টর হিসাবে পদোন্নতি লাভ করেন। দেশের বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ বরগুনা জেলার বেতাগী থানা, ঢাকা মেট্রোপলিটনের ডেমরা থানা, দিনাজপুরের বীরগঞ্জ, ঘোড়াঘাট,বিরামপুর,পার্বতীপুর, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী, নাটোরের নলডাঙ্গা, সিংড়া থানা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট থানায় ওসি হিসাবে সুনাম ও সাহসিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
বর্তমানে বগুড়া জেলার পুলিশ সুপার কার্যালয়ের বিশেষ শাখায় কর্মরত রয়েছেন।
সদ্য পদোন্নতি পাওয়া নাসির উদ্দিন ছেলেবেলা থেকেই সাহিত্যের প্রতি তার অনুরাগ, ইতোমধ্যে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ” জলের সাথে জলের খেলা ” আত্মপ্রকাশ হয়েছে। দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থের কাজ চলছে।
নাসির উদ্দিনের বাকি ৩ ভাইও বাংলাদেশ পুলিশের গর্বিত সদস্য। এছাড়া তার বড় মেয়ে ডাক্তার এবং মেয়ের জামাই রাকিবুল হাসার নিলয়ও ডাক্তার। ৩৯ বিসিএস( স্বাস্থ্য)।
স্ত্রী—মারুফা খানম রুনা ও চার আত্মজা
নিয়ে তার চলমান জীবন।