কাজিপুরে তাপ প্রবাহ ও লোড সেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন: তথ্য দিতে অপারগ পল্লী বিদ্যুৎ
কাজিপুরে চলমান তাপ প্রবাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে, নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাহিরে যাতায়াত করছেনা কেউ, হাট,বাজার, রাস্তা, ঘাট, মাঠে মানুষের উপস্থিতি কমেছে, বিরম্বনা বাড়িয়েছে ঘন্টায় ঘন্টায় লোড সেডিং, সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর সেবা প্রত্যাশীরা এখন ১ ঘন্টা পর ১ ঘন্টা লোড সেডিংয়ের কবলে পড়েছেন। বিড়ম্বনায় পড়েছেন দিনমজুর, নারী শিশু, অসুস্থ ও বয়স্করাসহ সকল পেশাজীবীরা। স্থানীয়দের দাবি গত বছর বিদ্যুৎ সংকটেও কাজিপুরে এতোটা লোড সেডিং ছিলো না। লোড সেডিংয়ের তথ্য দিতে অপারগ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের গত ১০ এপ্রিল প্রকাশিত সতর্কীকরণ বার্তা অনুযায়ী সারা দেশের চলমান মৃদু তাপ প্রবাহ রাজশাহী, খুলনা ও ঢাকা বিভাগের কোনো কোনো স্থানে তীব্র আকার ধারণ করে ৪০-৪২ ডিগ্ৰি পর্যন্ত তাপ প্রবাহ বয়ে যেতে পারে। ওয়েদার ডটকমের তথ্য অনুযায়ী গত ১৭ এপ্রিল দুপুর ৩ টায় কাজিপুরের কবিহার, গান্ধাইল এলাকায় ৪১ডিগ্ৰি তাপমাত্রা অনুভুত হয়। চরাঞ্চলের নৌ-যাত্রী ফাতহাতুজ্জাহান জানান, ছই বিহীন নৌকায় ছোট বাচ্চাদের নিয়ে ভ্রমন অসম্ভব হয়ে পড়েছে, অতিরিক্ত গরমে অনেক যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ছে। উপজেলার সিমান্তবাজারের মুদি দোকানী আব্দুর রাজ্জাক বলেন গরমের কারনে বাজারে লোকসমাগম কমেছে, বেচা বিক্রি নাই বললে চলে। এবিষয়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের অনুরোধ জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা মোমেনা পারভিন পারুল, তিনি জনসাধারণের উদ্দেশ্য বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের তাপ প্রবাহের সতর্কবার্তা অনুযায়ী বিশেষত দুপুর ১২- টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্ৰি পর্যন্ত হতে পারে যা নিদারুণ স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ, হিট স্ট্রোকের আশংকায় থাকবে জনগণ, এই সময় যতদূর সম্ভব বাহিরের কাজ পরিহার করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে, বাহিরে যেতেই হলে সাদা ছাতা/সাদা ক্যাপ প্রভৃতি ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য ব্যবহার করতে অনুরোধ করা যাচ্ছে। ইফতারের পর থেকে কমপক্ষে ২ লিটার পানি পান করতে বলা হচ্ছে, যদি কেউ ক্ষেতে খামার বা বাহিরে কাজ করবার সময় হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যায় তাহলে বিলম্ব না করে সারা দেহ ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিকটতম স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসবার জন্য অনুরোধ করেন তিনি। এসময় তিনি লোড সেডিংয়ের কারনে বিরম্বনার কথা উল্লেখ করেন। সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর ডিজিএম সানোয়ার হোসেন জেলা শহরে মিটিংয়ে থাকায় সহকারী প্রকৌশলী হযরত আলী উপজেলার বর্তমান বিদ্যুৎ সরবরাহ, চাহিদা, এবং লোড সেডিংয়ের তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।