শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:১১ পূর্বাহ্ন

কোম্পানীগঞ্জে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

কামরুল হাসান রুবেল-স্টাফ রিপোর্টার: / ১২৮ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২২

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে পিতার সম্পত্তি নিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার দুপুর ১২ টার সময় বসুরহাট বাজারস্থ নির্ঝর কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শামসুল হুদা মামুন।এসময় উপস্থিত ছিলেন তার বোন হাছিনা আক্তার, বিবি নুর জাহান,রোকেয়া বেগম,পারভীন আক্তার।

বক্তব্য কালে শামসুল হুদা মামুন বলেন গত ৩১ / ০৮ / ২০২২ ইং তারিখ রোজ বুধবার ফেইসবুকে NH Nazmul নামের ব্যক্তিগত আইডি থেকে আমার ছবি সহ আমার বিরুদ্ধে বানোয়াট , মিথ্যা , ভীত্তিহীন , কুরুচিপূর্ণ , বাস্তব অবস্থার সম্পূর্ণ বিপরীত পোষ্ট করে আমার বিরুদ্ধে জঘন্য মিথ্যাচার করা হয় । আমি আজকের এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি । আমার বিরুদ্ধে আমার ভাতিজা ফেইসবুকে যে পোষ্ট করে তাতে বলা হয় যে , “ আমার দাদাকে দীর্ঘদিন ঘরে আটক রাখিয়া আমার দাদা হাতে সম্পূর্ণ সম্পত্তি আমার কাকা শামছুল হুদা মামুন লিখে নিয়েছি । আমার ভাতিজার দেওয়া এই পোষ্টের লেখাটি সম্পূর্ণ অন্যায় , মিথ্যা বলে আমি ঘোষণা করছি ।

আমরা ০২ ভাই ০৪ বোন , ১৪ নং চরহাজারী মৌজার মধ্যে আমার বাবার মালিকীয় জমির পরিমান ৭৮৩ শতাংশ , উক্ত ৭৮৩ শতাংশ জমির মধ্যে থেকে আমার বড় ভাই নুরুল হুদা দুলাল আমাকে না জানিয়ে তার শ্বশুর আবুল খায়ের আমিন কে দিয়ে বিগত ১১ / ১১ / ২০১০ ইং তারিখে ২১ নং অছিয়ত নামা দলিল সৃজনের মাধ্যমে আমার বাবা থেকে ৭০৩ শতাংশ জমি রেজিষ্ট্রি করেন । উক্ত দলিল লেখক আমার ভাইয়ের শ্বশুর আবুল খায়ের আমিন স্বয়ং । যার মাধ্যমে আমার ০৪ বোনকে বাবার সম্পত্তি হতে বঞ্চিত করা হয় । এই নেক্কার জনক , জঘন্য ঘটনার প্রকাশ ঘটলে আমার ০৪ বোনে তীব্র প্রতিবাদ করে।বিগত ০৯ / ১২ / ২০১০ ইং তারিখে ২৫ নং অছিয়ত নামা দলিল সৃজনের মাধ্যমে বাবার অবশিষ্ট থাকা মাত্র ৮০ শতাংশ ভূমি তাদের বরাবরে রেজিষ্ট্রি করিয়া দেন । দলিলে জমির পরিমান অত্যান্ত কম হওয়ায় তারা তাহা প্রত্যাখান করে। পরবর্তীতে উক্ত ৮০ শতাংশ ভূমি হইতে আবারো আমার বাবা কে দিয়ে অন্যত্র ২২ শতাংশ ভূমি আমার ভাই নুরুল হুদা দুলাল বিক্রি করে ।

বোনদের প্রতিবাদ তীব্র থেকে তীব্র হয় ।পরবর্তীতে গন্যমান্য ব্যক্তি সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে বাবার জমির হিসাব নিকাশ করে আমার ভাইকে ১৯৯ শতাংশ আমাকে আমার খরিদা সহ ২৩১ শতাংশ বোনকে ১৩০ শতাংশ সর্বমোট ৫৬০ শতাংশ জমি আমাদের ০৬ ভাই বোনের মধ্যে বন্টন করে সরজমিনে দখল বুঝ দেয় এবং বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যার যার মালিকীয় দখলীয় অংশ বাবা থেকে স্থায়ী ভাবে রেজিষ্টি করে নিয়ে বিষয়ের মিমাংশ করার সিদ্ধান্ত হয় । দু বিষয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত হওয়ার পরও আমার ভাই নুরুল হুদা দুলাল সকলের অংশ গ্রহন মূলক দলিল রেজিষ্টি করিতে বাধা সৃষ্টি করে । নানা প্রকার অজুহাত ও তালবাহান করে কাল ক্ষেপন করে সৌদি আরব পাড়ি জমায় । তাহার উদ্দেশ্য ছিল বাবার মৃত্যুর পর পূর্বের সৃষ্ট অছিয়ত নামা দলিল কার্যকর করা ও বোনদেরকে সম্পত্তি হইতে বঞ্চিত করা । ভাইয়ের এই হীন অসত উদ্দেশ্য আমরা সকলে পরিষ্কার ভাবে উপলব্ধি করিতে পারি । আমার ভাই নুরুল হুদা দুলালের নিকট হইতে কোনো রূপ সহযোগীতা মূলক আচরণ না পেয়ে । বাকী ০৫ ভাই বোন আমাদের মিমাংশীত বৈঠকের মাধ্যমে দখল বুঝ পাওয়া ও সীমানা চৌহদ্দীকৃত নিদৃষ্ট ভূমি আমার বাবা আমাদের ০৫ ভাই বোনকে নাৰ্য্য পাওয়ানাটুকু একত্রে রেজিষ্টি করে দেন । বাবার ৭৮৩ শতাংশ মধ্যে মালিকানা ভূমির মধ্যে (৩.২৫+৪+১৩.৫০+২২+৭.৫০+১=৫১.২৫ ) শতাংশ বাবার বিক্রি বাদ অবশিষ্ট ৭৩১.৭৫ শতাংশ ভূমি বাবার তহবিলে ছিল । যার মধ্যে বাবা নিজ ইচ্ছায় আমাদের ০৫ জনের মালিকীয় সঠিক অংশ ০৫ জনকে ৩৬১ শতাংশ রেজিট্রি করে দেওয়ার পরও বাবার তহবিলে আরো ৩৭০.৭৫ শতাংশ ভূমি অবশিষ্ট আছে ।

বাবার সেই তহবিল হইতে আমার ভাই নুরুল হুদা দুলাল বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তার মালিকীয় ১৯৯ শতাংশ ভূমি যে কোন সময় বাবা থেকে দলিল যারা রেজিস্ট্রি করে নিতে পারবে তাতে আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না , বাবার তহবিলে আরো ১৭১.৭৫ শতাংশ ভূমি অবশিষ্ট থাকবে ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর