খাদ্যশস্য সংরক্ষণে উচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহারের নির্দেশ
সঠিক পদ্ধতিতে খাদ্যশস্য মজুদ বাড়ানো এবং সেগুলোর সংরক্ষণে প্রয়োজনে বিদেশি উচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, মানসম্পন্ন ও পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ খাদ্যশস্য উৎপাদন করতে হবে। একই সঙ্গে তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখা এবং অপ্রয়োজনীয় সংশোধনী এড়িয়ে চলার নির্দেশ দেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের কথা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, শুধু ফসল উৎপাদন করলেই হবে না, পাশাপাশি খাদ্যশস্যের গুণগত মান ঠিক রাখতে হবে। এমনভাবে মজুদ করতে হবে, যাতে খাদ্যশস্যের পুষ্টিগুণ ঠিক থাকে। প্রয়োজনে বিদেশি টেকনোলজিও ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মানসম্পন্ন ও পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ খাদ্যশস্য উৎপাদনেও জোর দেন তিনি। সেই সঙ্গে পরিবেশের ক্ষতি করে, তেমন যেকোনো কাজ না করতেও নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, কোনোমতেই পরিবেশকে বিরক্ত (ডিস্টার্ব) করে কোনো প্রকল্পের কাজ করা যাবে না।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে যেন খালগুলো ভরাট না হয়ে যায়। যেকোনো প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেই ঢাকার খালগুলো ঠিক রাখতে হবে। এ ছাড়া প্রকল্পে অহেতুক ভূমি অধিগ্রহণ না করতেও নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। এর বাইরে বারবার প্রকল্প সংশোধন ও মেয়াদ বৃদ্ধি এড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন সরকারপ্রধান।
এ সময় আদালত চত্বর থেকে জঙ্গি পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী নিজের মতামত তুলে ধরে বলেন, ‘যেটা হয়েছে, সেটা গ্রহণযোগ্য নয়। এ ঘটনার ফলে মানুষজন এটা নিয়ে চিন্তায় আছে। এ জন্য কারাগারে প্রকল্পগুলো নিয়ে আমাদের আরো কাজ করতে হবে। ’ তিনি বলেন, ‘আজ কারাগারে নিরাপত্তাবিষয়ক একটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়। একনেক চেয়ারপারসন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তা অনুমোদন দিয়েছেন। ’
মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি এখন নিম্নমুখী, পক্ষান্তরে শ্রম মজুরির সূচক ঊর্ধ্বমুখী। যদিও এটি খুব বেশি সন্তোষজনক নয়, তবে ভালো লক্ষণ। পণ্য সরবরাহ পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, নভেম্বর মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি আরো কমে আসবে এবং ডিসেম্বর মাসে এই ধারা অব্যাহত থাকবে। আগামী জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে আরো হ্রাস পাবে এবং আগামী মার্চ মাস নাগাদ মূল্যস্ফীতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এক প্রশ্নের উত্তরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানামুখী পদক্ষেপের কারণে চলতি হিসাবের ব্যবধান ধীরে ধীরে কমে আসছে। এ ছাড়া রেমিট্যান্স ও রপ্তানির ইতিবাচক প্রবণতা রয়েছে।