ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাইনিং-ক্যানটিন তদারকি করবে ভোক্তা অধিদপ্তর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ক্যানটিন ও ডাইনিংগুলোর খাবারের মান নিয়ে প্রায়ই অসন্তোষ জানান শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীতঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ক্যানটিন ও ডাইনিংগুলোর খাবারের মান নিয়ে প্রায়ই অসন্তোষ জানান শিক্ষার্থীরা। জরিমানা নয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসের ডাইনিং ও ক্যানটিনগুলো তদারকি করতে চায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে।
আজ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ অডিটোরিয়াম হলে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ বিষয়ক একটি সেমিনারে এ নিয়ে আলোচনা হয়। এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাইনিং এ ক্যানটিনগুলোতে খাবারের মান নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন ওঠে। সেখানে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে খাবার রান্না ও পরিবেশন হয় কি না তা তদারকি করতে চান তারা। সাধারণ শিক্ষার্থী ও উপস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যসহ সবাই বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সঙ্গে কথা বলে এবং তাঁদের সঙ্গে নিয়েই সেখানে তদারকি করা হবে বলে জানান ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
সেমিনারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যানটিন ও ডাইনিংগুলোতে সাধারণ তদারকি করার আগ্রহের কথা জানান। মহাপরিচালক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) করার প্রস্তাব দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল এতে সম্মত হন। তাঁরা একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনের খাবারে কোনো মূল্য তালিকা নেই। আগামীকাল মঙ্গলবারের মধ্যে সেখানে মূল্য তালিকা টানানোরও সিদ্ধান্ত হয় সেমিনারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ অডিটোরিয়াম হলে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন নিয়ে সেমিনার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ অডিটোরিয়াম হলে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন নিয়ে সেমিনার।
ভোক্তা অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন। তিনি ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। উপস্থিত শিক্ষার্থীদের নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। আইনটি ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণে কীভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে সে বিষয়ে একটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন তিনি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের খাবার: দেখে আর শুঁকেই ভরে ছাত্রদের পেটচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের খাবার: দেখে আর শুঁকেই ভরে ছাত্রদের পেট
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, বিশেষ অতিথি ছিলেন মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, মুখ্য আলোচক ছিলেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এবিএম শহিদুল ইসলাম। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন ভোক্তা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালকেরা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
সেমিনারে মুক্ত আলোচনায় ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অংশগ্রহণকারীদের ভোক্তা-অধিকার আইন সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। পরে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।