শিরোনামঃ
ঝিকরগাছায় জমি দখলে বাধা দেয়ায় একই পরিবারের ৫ জনকে মারপিট একঘরেই তিন প্রার্থী যশোরের শার্শায় কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ যশোরে অভিযানে মাদকসহ দুইজন আটক রক্ষা পেল প্রতারক চক্রের হাত থেকে প্রায় ৩০০ অভিবাসী নারী-পুরুষ আগামীকাল অনার্স ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা শুরু গাজীপুরে বজ্রপাতে নারীর মৃত্যু উল্লাপাড়ায় মোটরসাইকেল নির্বাচনী প্রচারণায় হাজারো মানুষের ঢল বেনাপোলে দোয়াত-কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহরাবের গণজোয়ার নির্বাচন ও বৌদ্ধ পূর্ণিমার ছুটিতে টানা ৫ দিন বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ সিরাজগঞ্জে ২১৬ কে‌জি গ‌াঁজাসহ গ্রেফতার-২  উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চাচা-ভাতিজার লড়াই! সাধারণ ভোটাররা শঙ্কায় পতেঙ্গা সৈকত ঘিরে মাস্টার প্ল্যান তৈরিসহ একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত কর্মপরিধি বাড়ছে জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারের উত্তরের যোগাযোগে আসবে গতি চট্টগ্রাম বন্দরে এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে আবুধাবি পোর্ট গ্রুপ হেমায়েতপুরে হবে বহুতল টার্মিনাল চাহিদার চেয়ে ২৩ লাখের বেশি পশু প্রস্তুত দেশকে আরও এগিয়ে নিতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল একটা জাগরণ : নানক শেখ হাসিনাকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন

কবির হাসান,চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ

ধারের টাকা শোধ করে বন্ধকের স্বর্নালংকার আনতে গিয়ে মারধরের স্বীকার গৃহবধূ

কলমের বার্তা / ৭৯ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বৃহস্পতিবার, ১ জুন, ২০২৩

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ধারের টাকা পরিশোধ করে সোনার অলংকার ফিরিয়ে আনতে গিয়ে মারধর লাঞ্ছিত হয়েছেন এক গৃহবধূ। এমনকি ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়া হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই নারীর বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার লক্ষীপুর বানঝাপাড়া এলাকার মৃত মোস্তাকিম আলীর মেয়ে মোসা: স্বর্ণালী খাতুন (৩১)।

হিজড়া সাদ্দামের দৌরাত্ম বেড়েই চলেছে, কি ভাবে হলো হিজড়া, বছর ৫ এক আগে সদর স্টেশন পাউরুটি ফ্যাক্টরিতে মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন সাদ্দাম, হিজড়াদের প্রতিদিনের আয় রোজগার শুনে, যোগ দিলেন সাদ্দাম বিশেষ অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসলো সার্জারি ছাড়াই হিজড়ার খাতায় নাম প্রতিদিনের তালির, আয় রোজগার ৫ হাজারের উপর, কথিত-হিজড়া, সাদ্দামের।

ত্রিশ হাজার টাকা ধার নেয়ার বিপরীতে বন্ধক দিয়েছিলেন,১১ আনা ওজনের সোনার চেইন ও আংটি। এমনকি এই ধারের টাকা নেয়ার পর দিতে হয়েছে মাসে ৩ হাজার করে টাকা।

এনিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই নারী। সদর উপজেলার বারোঘরিয়া পুলপাড়া গ্রামের মাসুদের সন্তান সাদ্দাম ওরফে প্রার্থনা হিজলার বিরুদ্ধে এই মারধর ও ভয়ভীতি প্রদানের অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগের অনুলিপি, স্থানীয় বাসিন্দা ও হামলার শিকার নারী সূত্রে জানা যায়, গত ৭ মাস আগে সোনার ৮ আনা ওজনের পাক চেইন ও ৩ আনা ওজনের আংটি বন্ধক রেখে সাদ্দাম ওরফে প্রার্থনা হিজলার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা ধার নেন স্বর্ণালী খাতুন। চুক্তি হয় এতে মাসে ৩ হাজার টাকা করে লাভ দিতে হবে। গত ১০ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ধার ও লাভের সব টাকা ফেরত দেয় স্বর্ণালী খাতুন। পরে বন্ধক রাখা সোনার অলংকার ফেরত চাইলে অন্য জায়গায় রয়েছে জানিয়ে আগামীকাল দিব বলে জানায়।

স্বর্ণালী খাতুন বলেন, টাকা পরিশোধ করার পর সোনার অলংকার না পেয়ে পরেরদিন আসতে বললে সরল বিশ্বাসে বাড়ি ফিরে আসি। পরদিন সকাল ৭টার দিকে তার বাসায় গেলে দিব দিছি বলে নানরকম টালবাহানা শুরু করে। সেদিন দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার বাসা থেকে আসি। সর্বশেষ গত ২২ মে আবার তার বাড়িতে গিয়ে সোনার জিনিসপত্র ফেরত চাইলে একইভাবে টালবাহানা করতে থাকে। এর প্রতিবাদ করলে আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। গালিগালাজ দিতে নিষেধ করলে আমাকে বেধড়ক মারধর করে।

তিনি আরও বলেন, শুধু মারধর করে ক্ষান্ত হয়নি উল্টো আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে সাদ্দাম ওরফে প্রার্থনা হিজলা। টাকা শোধ করার পরও এমন অত্যাচার ও ভয়ভীতি দেখানোর কারনে বর্তমানে জীবন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। বাধ্য হয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। আশাকরি সুষ্ঠু বিচার পাব।

স্থানীয় বাসিন্দা সাজেদা বেগম, তরিকুল ইসলাম জানান, সাদ্দাম ওরফে প্রার্থনা হিজলা বিভিন্ন সময়ে মানুষকে টাকা ধার দেয়। কিন্তু ধার নেয়া ব্যক্তিদের সাথে সে নানাভাবে প্রতারণা করে। এমনভাবেই স্বর্ণালী খাতুন টাকা শোধ করলেও তার স্বর্ণালঙ্কার ফেরত দিচ্ছে না। তাকে মারধর ও হুমকি প্রদান করেছে, সাদ্দাম ওরফে প্রার্থনা হিজলা।

অভিযোগ অস্বীকার করে এ বিষয়ে সাদ্দাম ওরফে প্রার্থনা হিজলা বলেন, আমাকে টাকা ফেরত দেয়ার পরপরই তার গহনা ফেরত দিয়েছি। কিন্তু আমাকে হয়রানী করতেই এমন মিথ্যা অভিযোগ করছে স্বর্ণালী।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷

 

116


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর