নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে আসছে একগুচ্ছ নির্দেশনা
নতুন সরকারের প্রথম ‘সচিব সভা’ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী সোমবার। সভা হবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। এতে নির্বাচনের ইশতেহার বাস্তবায়নে সচিবদের উদ্দেশে সরকারপ্রধান একগুচ্ছ নির্দেশনা দেবেন বলে জানা গেছে; নির্দেশনা দেবেন দুর্নীতি মোকাবিলার বিষয়েও।
অন্যদিকে সভায় সচিবরা সরকারপ্রধানকে আনুষ্ঠানিক অভিনন্দন জানাতে পারেন। কথা হতে পারে সরকারি কর্মকর্তাদের সুযোগ-সুবিধা নিয়েও।
আগামী সোমবার মন্ত্রিসভার সাধারণ বৈঠক হওয়ার কথা। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বৈঠকের নোটিশ পায়নি কোনো মন্ত্রণালয়। মন্ত্রিসভা বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে, এ দিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ‘সচিব সভা’ অনুষ্ঠিত হবে।
সভার আলোচ্যবিষয় প্রসঙ্গে একাধিক মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার কীভাবে বাস্তবায়ন হবে, সেসব বিষয়ে শেখ হাসিনার নির্দেশনা আসতে পারে। আবার পৃথকভাবে সচিবদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যোগাযোগ থাকলেও আগামী সোমবার সবাইকে একসঙ্গে দিকনির্দেশনা দেবেন সরকারপ্রধান। কথা হতে পারে সরকারি কর্মকর্তাদের সুযোগ-সুবিধা নিয়েও।
একজন জ্যেষ্ঠ সচিব জানান, ইশতেহার বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে করণীয় নির্ধারণ করে সে অনুযায়ী কাজ করতে বলেছেন শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে সচিবদেরও নির্দেশ দেবেন তিনি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করার কথাও আসতে পারে। মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস এবং দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার বিষয়েও কথা হবে।
ওই সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর চাওয়া হচ্ছে, স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ করা। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট জনগণÑ এই চার স্তম্ভকে ভিত্তি করে যে মন্ত্রণালয় যে অংশের সঙ্গে জড়িত, সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা নিয়ে বাস্তবায়ন করতে নির্দেশনা দিয়েছেন সরকারপ্রধান।
সূত্র বলছে, প্রকল্প থেকে জনগণ সরাসরি উপকার পাবেÑ এমন প্রকল্প গ্রহণ এবং নতুন প্রকল্প নেওয়ার আগে সেটি কীভাবে জনগণের কল্যাণে লাগবে, তা যাচাইয়ে গুরুত্ব থাকবে আলোচনায়। একই সঙ্গে সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির কথা প্রধানমন্ত্রী বারবার বলেছেন। তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণে গুরুত্ব দিতে পারেন সচিবদের সঙ্গে আলোচনায়। যুবসমাজকে কর্মমুখী করতে ফিল্যান্সিংয়ের প্রতি গুরুত্ব থাকবে।
সূত্র আরও জানায়, অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতা সমন্বিতভাবে মোকাবিলার কথা আগেও জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। এসব বিষয় এবারও আলোচনায় আসতে পারে। মন্ত্রিপরিষদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। তবে এখনো সচিবগণ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতে পারেননি। হয়তো এই সভায় সচিবরা অভিনন্দন জানাতে পারেন।
গত ১১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে।