বশেমুরকৃবি’তে অ্যাক্রেডিটেশন বিষয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত
![](https://kolomerbatra.com/wp-content/uploads/2025/02/00011-1-700x390.jpg)
আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠান কীভাবে তার প্রাতিষ্ঠানিক মানোন্নয়ন ও গুণগত দিকগুলোর মূল্যায়ন করবে সে লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরকৃবি) ‘প্রিপারেশন ফর অ্যাক্রেডিটেশন: ডকুমেন্টেশন
এন্ড এভিডেন্স’ শিরোনামে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল (বিএসি) এবং বশেমুরকৃবি’র ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর যৌথ আয়োজনে গেল ৯ ফেব্রুয়ারি, সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন অডিটোরিয়ামে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় অ্যাক্রেডিটেশন সংক্রান্ত মূল ডকুমেন্টগুলো কী কী এবং সেগুলো কীভাবে প্রস্তুত করতে হয় তৎসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের কার্যক্রমের প্রমাণ সংগ্রহ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বশেমুরকৃবি’র ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বশেমুরকৃবি’র ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ সফিউল ইসলাম আফ্রাদ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের সদস্য প্রফেসর ড. এসএম কবির । মানসম্পন্ন শিক্ষা কার্যক্রমে করণীয় নির্ধারণের জন্য অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন বশেমুরকৃবি’র বিভিন্ন অনুষদীয় ডিন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক ও অধ্যাপকবৃন্দ।
কর্মশালায় বক্তব্য প্রদান করেন আইকিউএসি’র পরিচালক প্রফেসর ড. নাসরীন আক্তার আইভী, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের সেক্রেটারি প্রফেসর একেএম মুনিরুল ইসলাম ও পরিচালক প্রফেসর নাসির উদ্দীন আহাম্মেদ।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর বলেন, বশেমুরকৃবি একটি ব্যতিক্রমধর্মী প্রতিষ্ঠান। এখানে পরিপূর্ণরূপে একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উৎকর্ষ সাধনের জন্য অ্যাক্রেডিটেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া তাই কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের এ বিষয়ে সম্যক ধারণা রাখার জন্য বিশেষ আহ্বান জানান উপাচার্য। অনুষ্ঠিত কর্মশালার মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে স্বীকৃতি পেতে সহায়ক হবে বলেও ভাইস-চ্যান্সেলর বক্তৃতায় তুলে ধরেন। উল্লেখ্য, অ্যাক্রেডিটেশন একটি প্রতিষ্ঠানের মান যাচাই ও উন্নতির একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া যা একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাগত, প্রশাসনিক ও অন্যান্য কার্যক্রমের মান নিশ্চিত করে।