বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
কামারখন্দে দরবার শরীফের সম্পদ আত্মসাতের চেষ্টা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উল্লাপাড়ায় ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার ভাঙ্গুড়ায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ইউনিয়ন কৃষকদলের আহব্বায়ককে অব্যাহতি কাজিপুরে আ’লীগের মশাল মিছিল; ফেসবুকে ভাইরাল  কুড়িগ্রামে চরাঞ্চল মানুষের আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে ‘সুস্বাস্থ্য’ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের যাত্রা শুরু নাটোরে বিএসটিআই’র অভিযানে তিন বেকারি কারখানাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা কুষ্টিয়া সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার নির্বাচনে নতুন নেতৃত্ব সভাপতি আবু বকর সিদ্দীক,সাধারণ সম্পাদক রনজক রিজভী কাজিপুরে সারে তিন লাখ টাকার অবৈধ জাল পুড়িয়ে ধ্বংস  কুড়িগ্রামে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের ঘোষণা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন ভাঙ্গুড়ায় গ্রামীণ কৃষকের উন্নয়ন শীর্ষক সেমিনার-২০২৫ অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশের কারণেই পূর্ব সীমান্তে শান্তি

রিপোর্টারের নাম : / ২৬১ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : রবিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২২

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, ‘ভারতের পূর্ব সীমান্তে বাংলাদেশের মতো বন্ধুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র থাকার কারণে সেখানে শান্তি ও সুস্থিতি বজায় আছে।’ শনিবার আসামের রাজধানী গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে অতুলনীয় সেবা, ত্যাগ এবং সাহসিকতার জন্য রাজ্যটির বীর যোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে রাজনাথ সিং বলেন, ‘পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে বাংলাদেশ গঠনের পর সবচেয়ে যদি কারও লাভ হয়ে থাকে তবে তা উত্তর-পূর্ব ভারত। কেননা দেশের পশ্চিমাঞ্চল সীমান্ত বরাবর আমরা যে ধরনের উত্তেজনা দেখতে পাই, ওই ধরনের উত্তেজনাময় পরিবেশ বাংলাদেশ সীমান্তে কখনই আমরা দেখতে পাই না। তার কারণ হলো বাংলাদেশ আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র। একটা সময় এই সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের সমস্যা ছিল কিন্তু সেটাও এখন প্রায় প্রায় নেই বললেই চলে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে এখন শান্তি ও সুস্থিতি দুটিই বিরাজ করছে। ভারতের কেন্দ্র-রাজ্যের মধ্যে মেলবন্ধনের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। এর ফলে আগের চেয়ে বর্তমান সময়ে উত্তর-পূর্ব ভারত অনেক বেশি উন্নয়নের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।’

সম্প্রতি উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে সেনাবাহিনীকে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া ‘আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ারস অ্যাক্ট’ (আফস্পা) প্রত্যাহার প্রসঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমি যখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলাম সে সময় মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ থেকে ওই আইন প্রত্যাহার করা হয়েছিল। সম্প্রতি আসামের ২৩টি জেলা এবং মণিপুর ও নাগাল্যান্ডের ১৫টি করে মোট ৩০টি পুলিশ থানা এলাকা থেকেও ওই আইন তুলে নেওয়া হয়েছে। ওইসব অঞ্চলগুলোতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসার কারণেই এই আইন প্রত্যাহার করা সম্ভব হয়েছে।’

তার অভিমত ‘মানুষের মধ্যে একটা ভুল ধারণা আছে যে, সেনাবাহিনী হয়তো সব সময়ের জন্য তাদের হাতে এই ক্ষমতা রেখে দিতে চায়। কিন্তু তা নয়। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা দেখাটা সেনাবাহিনীর কাজ নয়। সেটা দেখে রাজ্য পুলিশ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরা। সত্যিটা হলো এই যে, ওই অঞ্চলের পরিস্থিতির ওপর বিচার করেই এই আফস্পা আইন প্রয়োগ করা হয়। এমনকি সামরিক বাহিনী (স্থল, বিমান, নৌ) চায় যে, জম্মু-কাশ্মীর থেকেও ওই আইন প্রত্যাহার করা হোক। কিন্তু কোনো কারণে যদি ওই আইন প্রয়োগ করা হয়, তার জন্য দায়ী সেখানকার গম্ভীর পরিস্থিতি, এর জন্য সেনাবাহিনী কোনো অংশেই দায়ী নয়। দেশবাসীর এটা বোঝা উচিত।’

এদিনের ওই অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যটির রাজ্যপাল জগদীশ মুখী, মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, ভারত সরকারের ‘পদ্মশ্রী’ সম্মাননাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ জহির, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী প্রমুখ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর