বাতাসের গতিবেগ বেড়েছে বিষখালী তীরের মানুষ আতংক ও বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগীতে ঘূর্নিঝড় ‘ মিধিলি’ এর প্রভাবে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। গভীর রাত থেকে ভারি বৃষ্টি, সেই সাথে বাতাসের গতিবেগ বেড়েছে। আজ শুক্রবার সকাল থেকে কখনও কখনও মাঝারী ও ভারি বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। সকাল দশটার পর থেকে বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধি পেয়েছে, শো শো শব্দ হচ্ছে। এ অঞ্চলে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করেছে বরিশাল আবহাওয়া অধিদফতর।
রাত সাড়ে বারোটার পরে বাতাসে গতিবেগ পেয়েছে এবং সেই সাথে ভারি বৃষ্টিপাত । এতে বিষখালী নদীর তীরবর্তী মানুষের মাঝে আতংক বিরাজ করছে এবং নির্ঘুম রাত কাটে।
পায়রা বন্দরসহ সব সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সতর্ক সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার সমূহকে নিরাপদে থেকে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকায় বিষখালী নদীর তীরবর্তী বাসিন্দাদের আতংক বিরাজ করছে। বিষখালী নদীর তীরবর্তী কেওয়ারবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা, সোহাগ খান মুঠোফোনে বলেন,’ বিষখালী নদীর তীরবর্তী মানুষ ঘূর্ণিঝড়ের বার্তা পেয়ে গভীর রাত থেকে আতংক বিরাজ করে এবং নির্ঘুম রাত কাটে। ‘ এছাড়া বেতাগী উপজেলার অবস্থান পূর্বদিকে পায়রা ও পশ্চিম দিকে বিষখালী নদী । এতে ঘূর্নিঝড়ের বার্তা হলেই বেতাগীর মানুষ আতংকে নির্ঘুম রাত কাটে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ বলেন,’ ঘূর্নিঝড় ‘মিধিলি’ মোকাবেলায় স্বেচ্ছাসেবক দল প্রস্তুত রয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলো সকালে খুলে দেওয়া হয়েছে।’
অতীতের তথ্যানুসন্ধানে দেখা গেছে, ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর সেই ভয়াল ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশে আঘাত হেনেছিল। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সিডর নামে আরও একটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। ২০০৯ সালের ২৫ মে আইলা, ২০১৬ সালের ২১ মে রোয়াণু, ২০১৭ সালের ৩০ মে মোরা, এরপর মহাসেন, ২০১৯ সালের ২ মে ফণী, ২০২০ সালের ২০ মে আম্ফান, মোখা, হামুন সহ অতীতের ঘূর্নিঝড়ে উপকূলীয় অঞ্চলে মানুষের প্রাণহানি সহ গবাদি পশুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।