শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৩৩ অপরাহ্ন

বেনাপোলে ঘুস লেনদেনের অভিযোগ কাস্টমস কর্মকর্তা ও সহযোগীর জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ

রিপোর্টারের নাম : / ৫১ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৫

বেনাপোল প্রতিনিধি : বেনাপোল কাস্টমস হাউজে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া কাস্টমস হাউজের রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তার ও তার সহযোগী হাসিব উদ্দীনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে হাজির করে জামিন আবেদন জানালে ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. সালেহুজ্জামান জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। বিষয়কটি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর আসাদুর রহমান খান সেলিম।

আদালত সূত্র জানায়, গত সোমবার বেনাপোল কাস্টমস হাউজে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের অভিযানে দুই লাখ ৭৬ হাজার টাকাসহ আটক হন হাসিব উদ্দীন। প্রাথমিক তদন্তে ওই ঘুষের সাথে সংশ্লিষ্টতার তথ্য মেলায় মঙ্গলবার গ্রেফতার হন রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তার। মঙ্গলবার দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। গ্রেফতারের পর দুজনকে বিকেলে যশোরের সিনিয়র স্পেশাল জেলা জজ আদালতে হাজির করা হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক সালেহুজ্জামান তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বৃহস্পতিবার আদালতে রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তার ও তার সহযোগী হাসিব উদ্দীনের জামিন আবেদন করেন তাদের আইনজীবী। অন্যদিকে, জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজনে জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেন দুদকের আইনজীবী। পরে আদালতের বিচারক ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. সালেহুজ্জামান তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। একইসাথে আগামী ২৮ অক্টোবর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

দুদকের মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, বেনাপোল কাস্টম হাউসের কিছু কর্মকর্তা আমদানি পণ্যে সঠিকভাবে শুল্কায়ন করছেন না, ঘুষ নিয়ে আমদানি পণ্যে শুল্কায়ন করা হয়-এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার বিকেলে দুদক যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি দল বেনাপোল কাস্টম হাউসে অভিযান চালায়। দুদক কর্মকর্তারা বিকেল চারটার দিকে বেনাপোল কাস্টম হাউসের প্রধান ফটক থেকে হাসিবুর রহমান নামের এক জনকে আটক করেন। এ সময় তার কাছ থেকে ২ লাখ ৭৬ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে হাসিবুর রহমান ওই টাকা বেনাপোল কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তারের ঘুষের বলে জানান। তাকে নিয়ে কাস্টম হাউসের চতুর্থ তলায় শামীমা আক্তারের কক্ষে যান দুদক কর্মকর্তারা। শামীমা আক্তারকে ওই টাকা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি দুদককে জানান যে, হাসিবুর রহমানের সাথে তার নিয়মিত যোগাযোগ হয় এবং হাসিবুর রহমানকে টাকা তার দপ্তরে আনতে বলেছেন। পরবর্তীতে টিম কর্তৃক হাসিবুর রহমানের কাছ থেকে উদ্ধার করা দুই লাখ ৭৬ হাজার টাকা জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করা হয়। যশোর থেকে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তারকে গ্রেপ্তার করেন দুদকের সদস্যরা।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর