বৈশ্বিক সংকটের পর বাংলাদেশের অর্জন হবে ঈর্ষণীয়: জাপানি দূত
চলমান বৈশ্বিক সংকট কেটে গেলে দেশের ঈর্ষণীয় অর্থনৈতিক অর্জন বিশ্বকে চমকে দেবে বলে আশা করছেন বাংলাদেশে বিদায়ী জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মঙ্গলবার বিকেলে মন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ আশাব্যক্ত করেন জাপানি দূত।
ইতো নাওকি এ সময় তার তিন বছরের ঢাকার কূটনীতিক জীবনের কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘যখন এসেছিলাম, তখন ছিলো প্যান্ডামিক চ্যালেঞ্জ। সেটা কাটাতে যথেষ্ট করেছি। কতটকু সফল হয়েছি, জানি না।
‘তবে আমি সব সময় দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে গুরুত্ব দিয়েছি। ইকোনমিক ক্লাইমেট প্রসারে কাজ করেছি। বাংলাদেশে জাপানি অর্থায়নে চলা মেগা প্রকল্পগুলো যেমন মেট্রোরেল, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর, বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিমানবন্দর থার্ড টার্মিনালের কাজ মহামারিতে চালু রাখা ছিল চ্যালেঞ্জের।’
এতে তিনি সফল কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে দূত বলেন, ‘আমি হয়ত সফল নই। তবে কাজ করতে চেষ্টা করেছি। আড়াইহাজারে একটা জাপানি অর্থনৈতিক জোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ (মঙ্গলবার) উদ্বোধন করেছেন। এটা হবে জাপানি বিনিয়োগের গেমচেঞ্জার। এসব প্রকল্পের সুফল বৈশ্বিক ডামাডোল কেটে গেলে পেতে শুরু করবে বাংলাদেশ। তখন তা হবে ঈর্ষণীয় অর্থনৈতিক অর্জন।’
এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, “বিদায়ী সাক্ষাৎ-এ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বাংলাদেশ-জাপান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদারে রাষ্ট্রদূত নাওকির প্রচেষ্টা ও অবদানের প্রশংসা করেছেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগের জন্য রাষ্ট্রদূতের প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির জন্য জাপানের উন্নয়ন সহায়তা, জাপানি উৎপাদন দক্ষতা ও কর্মসংস্কৃতির সঙ্গে বাংলাদেশে মানবসম্পদ উন্নয়ন, অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন বিষয়ে আন্তরিকভাবে মতবিনিময় করেছে দুইপক্ষ।
জাতিসংঘসহ বিভিন্ন বহুপাক্ষিক ফোরামে দুই দেশ পরস্পরকে সহযোগিতা করতেও রাজি হয়েছে। রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকিকে তার ভবিষ্যত দায়িত্বের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।”