মেট্রোরেলের প্রতিটি ট্রেনে একটি কোচ নারীদের জন্য সংরক্ষিত
মেট্রোরেলে নারী যাত্রীদের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে প্রতিটি ট্রেনে একটি করে কোচ শুধু নারীদের জন্যই সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চাইলে নারীরা অন্য যেকোনো কোচেও যাতায়াত করতে পারবেন। তবে নারীদের কোচে কোনো পুরুষ যাত্রী উঠতে পারবেন না।
এ ছাড়া মেট্রোরেল স্টেশনগুলোতে নারী যাত্রীদের জন্য আলাদা বাথরুমের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তাতে ছোট শিশুদের ডায়াপার পরিবর্তনের সুবিধার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা সংযোজিত রয়েছে। গর্ভবতী নারী ও বয়স্ক নারী যাত্রীদের জন্য মেট্রোরেলের কোচের ভেতরে সংরক্ষিত আসন রাখা হয়েছে। আলাদা আসন থাকছে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্যও। এ ছাড়া রাস্তা থেকে স্টেশনে প্রবেশ, টিকেট সংগ্রহ, সিঁড়ি ব্যবহার করে প্ল্যাটফর্মে পৌঁছানো পর্যন্ত আলাদা ব্যবস্থা হিসেবে লিফট রাখা হয়েছে।
বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মতো বাংলাদেশের গণপরিবহনে আগামী ২৮ ডিসেম্বর যুক্ত হতে যাচ্ছে সবচেয়ে আধুনিক বৈদ্যুতিক ট্রেন মেট্রোরেল। যা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পরদিন ২৯ ডিসেম্বর থেকে যাত্রী পরিবহন শুরু হবে। প্রকল্প ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড-ডিএমটিসিএলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সর্বশেষ আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে তৈরি করা মেট্রোরেলে যাত্রীদের জন্য নানা সুবিধা থাকবে। থাকবে নারী, শিশু এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য ভিন্ন ব্যবস্থা।
পুরোদমে চালুর পর ১০০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারবে মেট্রোরেল। ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। ছয়টি কোচ সংবলিত প্রতিটি একমুখী মেট্রোরেল প্রতিবারে মাত্র ৩৮ মিনিটে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১৬ স্টেশন থেকে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩০৮ যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। প্রাথমিকভাবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার রেলপথ যাত্রী চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে। ২৮ ডিসেম্বর উদ্বোধনের পরদিন মেট্রোরেল যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে। প্রথম দিকে সকাল ও বিকালে মোট চার ঘণ্টা করে যাত্রী পরিবহন করবে মেট্রোরেল।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাংবাদিকদের বলেন, মেট্রোরেল আমাদের দেশের মানুষের কাছে একেবারেই নতুন একটা পরিবহন। মানুষ মেট্রোতে এত দ্রুত অভ্যস্ত হতে পারবে না বলেই সময় ও ট্রিপ কম করে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে যাত্রী সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনের ট্রিপ ও গতি বাড়বে।