শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৪৪ পূর্বাহ্ন

লালমনিরহাটে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আ’লীগ নেতার সম্পদ ক্রোক

আশরাফুল হক লালমনিরহাটঃ / ৫ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫

আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন খানের সম্পদ বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি ) ক্রোক করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের একটি টিম সুমন খানের কয়েকটি ভবন বুঝে নিয়ে সেখানে সরকারি ব্যানার ঝুলিয়ে দিয়েছে।

জানা গেছে, সুমন খানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতসহ একাধিক মামলা রয়েছে। আদালতের আদেশ অনুযায়ী সম্পদগুলো ক্রোক করা হয়।

উল্লেখ্য গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ার পরে লালমনিরহাট সদর থানায় অর্থপাচারসহ তিনটি মামলা, ঢাকার বিভিন্ন থানায় হত্যাসহ ছয়টি ও রংপুরের একটি হত্যা মামলায় পলাতক ছিলেন সাখাওয়াত হোসেন সুমন খান। কুড়িগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী এসএন পরিবহনের একটি স্লিপার নৈশ্যকোচে ঢাকা যাচ্ছেন এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানার পুলিশ তিস্তা সড়ক সেতু টোল প্লাজায় বাসটি আটক করে। পরে বাসটিতে অভিযান চালিয়ে সাখাওয়াত হোসেন সুমন খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত ৩১ অক্টোবর রাতে সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল হাই সরকার বাদী হয়ে লালমনিরহাট সদর থানায় সুমন খান, তার স্ত্রী নাহিদা আক্তার রুমা ও কর্মচারী তৌকির আহমেদ মাসুমের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার আইনে মামলা দায়ের করেন

উক্ত মামলায় সিআইডি দাবি করেন, সুমন খানের ব্যাংকে ২৩৭,৪৯,৪৮,৭৬০/- (দুইশত সাঁইত্রিশ কোটি উনপঞ্চাশ লাখ আটচল্লিশ হাজার সাতশত ষাট) টাকা, তার স্ত্রী মোছা. নাহিদা আক্তার রুমার (৪৩) ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৪,৩৯,৩৫,৩১০/-(চার কোটি উনচল্লিশ লাখ পঁয়ত্রিশ হাজার তিনশ দশ) টাকার সন্ধান মেলে। সুমন খানের কর্মচারী সদর উপজেলার পুরান বাজার এলাকার বাসিন্দা হারুনের ছেলে তৌকির আহমেদ মাসুমের (৩৮) ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৮৬,৯৫,৬২,১২৭/- (একশ ছিয়াশি কোটি পঁচানব্বই লাখ একষট্টি হাজার একশ সাতাশ) টাকা পাওয়া গেছে। বৈধ আয়ের উৎস না থাকলেও তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা, স্থানান্তর ও রুপান্তর করা হয়। সিআইডির এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে গ্রেপ্তার হওয়া আওয়ামী লীগ নেতা সাখাওয়াত হোসেন সুমন খানকে।

এ বিষয়ে লালমনিরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জি আর সারোয়ার জানান, আমরা আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বর্তমান বাড়ি, নির্মাণাধীন বাড়ি ও একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভবনগুলো বুঝে নিয়েছি এবং সেগুলোকে সরকারি মালিকানাধীন হিসেবে চিহ্নিত করেছি। তবে একজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশিত একটি কমিটির মাধ্যমে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর