শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫২ অপরাহ্ন

শার্শা উপজেলা পাটখড়ির দাম বৃদ্ধি লাভবান কৃষকেরা

মনির হোসেন, বেনাপোল প্রতিনিধি: / ৩১ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

যশোরের শার্শা উপজেলায় চলতি মৌসুমে পাট খড়ি শুকাচ্ছে, দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় লাভবান হচ্ছে কৃষকেরা। এবারে সোনালী আঁশ পাটের ভালো ফলন হয়েছে। ইতিমধ্যে পাট ধোয়ার পাশাপাশি নতুন পাট হাট-বাজারে বিক্রি শুরু হয়েছে। পাটের সঙ্গে এ মৌসুমে পাট খড়ির বেশ কদরও বেড়েছে। পাট চাষিদের বাড়ি থেকে পাটখড়ি কিনে নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। বাজারে ব্যাপক চাহিদা ও দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকটাই খুশি বলে জানান কৃষকেরা।

উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের ১নং কলোনি পাড়া (বড়) গ্রামের পাটচাষি আলতাব হোসেন জানান, এবার তিনি ৫ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলেন। জমির পাট থেকে যে পাট খড়ি পেয়েছেন তা ভাল ভাবে শুকিয়ে বিক্রি করতে পারলে তা থেকে ২০-২৫ হাজার টাকা বাড়তি আয় হবে তার।

লক্ষণপুর ইউনিয়নের মান্দারতলা গ্রামের কৃষক আলী আজগর বলেন , এবার পাটের দামও ভালো পাশাপাশি প্রতি আঁটি (হাতা) পাট খড়ি (শোলা) আকার ভেদে ১০ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি করি। আর পাইকারি ১০০ আঁটি পাটখড়ি ৯০০ থেকে ১৯০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে কৃষকেরা জ্বালানী চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি অর্থ ঘরে তুলতে পারছেন। গত বছরের চেয়ে এবার পাট খড়ি দ্বিগুন দামে বিক্রি হচ্ছে। উল্লেখ্য,উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাট খড়িকে আজও জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে গ্রাম বাংলার দরিদ্র মানুষেরা।এই জ্বালানি বারো মাস চলে শীতকালও বর্ষাকালে বেশি ব্যবহার হয়।

উপজেলার পুটখালী ইউনিয়নের, বারোপোতাগ্রামের এলাকার ব্যবসায়ী নুর ইসলামও করিম গাজী জানায়, আমরা প্রতিটি গ্রামের কৃষকের বাড়ি বাড়ি থেকে পাট খড়ি কিনে শহরে বিক্রি করি। এই পাট খড়ির পৌরসভা ও ১১ টি ইউনিয়নের বেশ চাহিদা রয়েছে। উল্লেখিত উপজেলা গুলোতে পাট খড়ি দিয়ে বাড়ি ঘরে বেড়া, সবজি খেতের বেড়া, মাচায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাছাড়াও অনেক কৃষক পাট খড়ি পুড়িয়ে সার হিসেবে ছাই ব্যবহার করে ফসলী মাঠে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার সাহা জানান, এবার এই উপজেলা সবচেয়ে বেশি পাট চাষ হয়েছে। এগুলোর মধ্যে, তোষা, দেশি, মেছতা,কেনাফ জাতের পাট, গত ২০২২-২৩ অর্থ বছরে শার্শা উপজেলায় ৫৪৬০ হেক্টর জমিতে পাট আবাদ করা হয়। ,২০২৩-২৪ এ ৫৪৬৫ হেক্টর জমিতে পাট আবাদ হয়। যা গত বছরের চেয়ে ৫ হেক্টর বেশি। জমিতে পাট চাষ হয়েছে। ইতিমধ্যেই পাট বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রতিমন পাট জাত ভেদে ২৫ শত থেকে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে । পাটের পাশাপাশি পাট খড়ি বিক্রি করেও বাড়তি উপার্জন করছে কৃষকেরা।
তিনি আরো বলেন, সোনালী আশ পাটের পাশাপাশি পাট খড়ি (শোলা) জ্বালানী হিসাবে ব্যাবহার ছাড়াও পার্টিক্যাল বোর্ড ও পাট খড়ি পুড়ে এর ছাই কম্পিউটরের কালি হিসাবে ব্যবহার হয়। ফলে এই উপজেলায় পাটের পাশাপাশি পাট খড়ির দাম ও এবার ভাল। যে কারণে কৃষকেরা পাট খড়ি বিক্রি করে বেশ লাভবান হচ্ছেন।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর