সলঙ্গায় দেড় শতাধিক গাছ কেটে নিলেন বিএনপি নেতা!সাংবাদিককে মামলার হুমকি
দেড় শতাধিক সরকারি রাস্তার গাছ কেটে নিলেন স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপি নেতা। সংবাদ সংগ্রহ ও সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিককে আওয়ামীলীগের কর্মী উল্লেখ করে বিএনপি প্রভাবে মামলার হুমকি-ধামকি প্রদান করেছে এক বিএনপি নেতা। বিএনপি নেতা হুমকির কল রেকর্ডিং ইতোমধ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানার হাট-চৌবিলা গ্রামে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, সলঙ্গা-হাট চৌবিলা আঞ্চলিক সড়কের প্রায় ১৫০ শতাধিক ইউক্যালিপ্টাস গাছ কেটে নিয়ে যান সলঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি ও ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস জামান মুকুল ও তার চাচা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি হোসেন আলী হাজি।এলাকাবাসী বলেন দেড় শতাধিক গাছের আনুমানিক মুল্য প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা।
এবিষয়ে দৈনিক আজকের জনবানী পত্রিকার সলঙ্গা প্রতিনিধি শাহরিয়া মোর্শেদ গত শনিবার সরেজমিনে একটি প্রতিবেদন তৈরী করতে যান। প্রতিবেদন তৈরী করতে সরকারি গাছ কর্তনকারী সলঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ও ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস জামান মুকুল মোবাইল ফোনে বিএনপির প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে সাংবাদিককে আওয়ীমীলীগের কর্মী বানিয়ে রাজনৈতিক মামলা করার ভয়ভীতি প্রর্দশন করেন। বিএনপি নেতার এমন কলরেকর্ডটি সামাজিক যাোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এলাকাবাসী অনেকেই জানান, শুক্রবার ও শনিবার সরকারি অফিস বন্ধ থাকায় সলঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ও ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস জামান মুকুল ও তার চাচা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি হোসেন আলী হাজি বিএনপির দলীয় প্রভাব খাটিয়ে রাস্তার গাছ গুলো কেটে বিক্রি করেন।
সলঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি ও ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস জামান মুকুল বলেন, আমি বিএনপির নাম ব্যবহার করেনি।
সলঙ্গা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা খন্দকার লিপু বলেন,আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম, গাছগুলো অন্য জায়গায় বিক্রি করে দিয়েছে।
সলঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ বলেন, বিএনপির প্রভাবে সাংবাদিককে মামলা করার একটি অডিও রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে। এটা তার ব্যক্তিগত বক্তব্য, বিএনপির বক্তব্য না। থানা বিএনপির নেতৃবৃন্দ এর সাথে কথা বলে, ফেরদৌস হাসান মুকুল এর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করব।
সলঙ্গা থানা বিএনপির সভাপতি মতিয়ার রহমান মতি বলেন,সেক্রেটারীর সাথে কথা বলে বিষয়টি ব্যাপারে আপনাদের জানাচ্ছি।
উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মাদ হাসনাত বলেন, আমি বিষয়টি অবগত হয়েছি। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।