বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ ২০২৫, ০৮:৩৫ অপরাহ্ন

সাংগঠনিক কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ শার্শা বিএনপির সহ-সভাপতি রুহুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদক / ১৬ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ, ২০২৫

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল লুৃটের খেসারত দিতে হলো যশোরের শার্শা উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি রুহুল কুদ্দুসকে। তার ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে ১৫৫ বস্তা চাল লুট করার ঘটনা বিএনপির ইমেজ চরমভাবে সংকটে ফেলেছে। বিষয়টি নিয়ে যখন চারদিকে তুমুল সমালোচনা তখন দলের ইমেজ ধরে রাখতে তার প্রাথমিক সদস্য পদসহ দলীয় সব পদ স্থগিত করেছে যশোর জেলা বিএনপি। এক চিঠিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন স্বাক্ষরিত এক পত্রে বুধবার এই নির্দেশ দেয়া হয়। বুধবার শার্শার বাগআঁচড়ায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫৫ বস্তা চাল লুট করে নেয়ার অভিযোগ ওঠে উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও কায়বা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস এবং তার ভাই ইবাদুল ইসলাম কালুর বিরুদ্ধে। ওইদিন সকালে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেছেন কায়বা ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের ডিলার শাহাজহান কবির।

শাহাজান কবির অভিযোগ করেন, তিনি বুধবার বাগআঁচড়া খাদ্যগুদাম থেকে কয়েকটি ট্রলিতে করে চাল নিয়ে ডিলার পয়েন্টে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বাগআঁচড়ার বকুলতলায় পৌঁছালে শার্শা উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও কায়বা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুসের নেতৃত্বে তার ভাই ইবাদুল ইসলাম কালু ট্রলি দাঁড় করিয়ে ১৫৫ বস্তা চাল নিজের গোডাউনে নামিয়ে নেন। কেন চাল নামিয়ে নিয়েছেন ফোন করে জানতে চাইলে রুহুল কুদ্দুস তাকে গালিগালাজ করে হুমকি দেন বলে দাবি করেন ডিলার শাহাজান কবির।

আর বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুসের ভাই কালুর দাবি, তিনি ডিলারের কাছে টাকা পাবেন বলে চাল আটকে ছিলেন।
বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,‘আমার বিরুদ্ধে চাল লুটের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি কোনো চাল লুট করিনি। আমার কাছেও অভিযোগ আছে অনেক ব্যক্তি এই চাল পায় না। আমি তাদের দেয়ার জন্য সরিয়ে রেখেছি। আমার ভাই ডিলারের কাছে টাকা পাবে বলে ট্রলি আটকে রাখছিল, পরে ছেড়ে দিয়েছে।’

ডিলারের প্রতিনিধি তৌহিদুর রহমান বলেন,‘বিএনপির দু’গ্রুপের বিবাদের কারণে কুদ্দুস চেয়ারম্যানের লোকজন চাল নামিয়ে নিয়েছিল। পরে ইউএনও স্যার ফোন করার পর ওরাই গাড়িতে চাল তুলে দেয়।’

শার্শা থানার ওসি রবিউল ইসলাম বলেন,‘চাল লুট হয়েছে। সেগুলোতো আমি একা উদ্ধার করবো না। উপজেলা প্রশাসন ও খাদ্যবিভাগকে থাকতে হবে।’ বুধবার দুপুর ২.৫৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন বলে জানান ওসি রবিউল ইসলাম।
এ বিষয়ে জানতে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান বলেন,‘একব্যক্তি জোর করে চাল নামিয়ে নিয়েছিলেন। পরে উদ্ধার হয়েছে। তারপরও ডিসি স্যারের নির্দেশ অপরাধীর বিরুদ্ধে মামলা হবে। শাস্তি পাবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর