সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
আন্তর্জাতিক পশ্চিমবঙ্গ ও খুলনা সড়ক সম্প্রসারণের দাবি বিজেপির, কারণ কী কাশিমপুর কারাগার থেকে পলাতক আসামি গ্রেফতার  থানার পাশে কলেজ ছাত্র হত্যা,পুলিশ সদস্য গ্রেফতার কালিয়াকৈরে শেখ হাসিনা মোজাম্মেলসহ ২১৭ জনের বিরুদ্ধে দুইটি হত্যা মামলা নরসিংদী কারাগার থেকে লুট হওয়া শটগান ও চায়নিজ রাইফেলের ম্যাগজিন উদ্ধার নরসিংদীতে অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসী গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান ঠাকুরগাঁওয়ে কৃষকদলের বর্ধিত সভা,তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি সলঙ্গায় বিএনপির সংবাদ সম্মেলন কা‌লিয়াকৈরে গভীর রাতে জ‌মি জবর দখ‌লের অ‌ভি‌যোগ চট্টগ্রামে শিপইয়ার্ডে বয়লার বিস্ফোরণ দগ্ধ ১০

সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় বাংলাদেশ

রিপোর্টারের নাম : / ১১৬ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২

সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিভুক্ত জনসংখ্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। শীর্ষে রয়েছে শ্রীলংকা। আর ভারতের অবস্থান তৃতীয়। এ ছাড়া এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ৪০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ২২তম। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

সামাজিক সুরক্ষা খাতের অন্তত একটিতে কার্যকরভাবে কত জনসংখ্যা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে- এর ভিত্তিতে আইএলও তালিকা তৈরি করেছে। ৩৬ শতাংশের বেশি মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করে শ্রীলংকা প্রথম আর ২৮ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করে বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এ তালিকায় মালদ্বীপ চতুর্থ, নেপাল পঞ্চম, পাকিস্তান ষষ্ঠ, ভুটান সপ্তম ও আফগানিস্তান অষ্টম অবস্থানে রয়েছে।

করোনাভাইরাস মহামারিকালে সামাজিক সুরক্ষা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আইএলও ৩১ আগস্ট ‘ওয়ার্ল্ড সোশ্যাল প্রটেকশন রিপোর্ট ২০২১-২২’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

এতে বলা হয়- বিশ্বজুড়ে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির বিস্তৃতি ঘটলেও কোভিড-১৯ সংক্রমণের কারণে অনেক দেশ সামাজিক সুরক্ষা পাওয়ার মতো মানবাধিকার বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। স্বাস্থ্য, চাকরি, আয় ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির প্রয়োজনীয়তাকেও সামনে আনা হয়। সুরক্ষার মধ্যে টিকাপ্রাপ্তির বিষয়টিকেও উল্লেখকরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কোভিডের কারণে অর্থনৈতিক সংকটের মুখে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতা বাড়াতে হয়েছে এবং সাময়িক কিছু কর্মসূচি হাতে নিতে হয়েছে। পাশাপাশি খাদ্য সহায়তা, নগদ অর্থ ও ভর্তুকিও দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গোলিয়ার উদাহরণ টেনে বলা হয়- সেখানে ২০২০ সালে ৬ মাসের জন্য শিশুসহায়তা ৫০০ শতাংশ বাড়ানো হয়। অতিরিক্ত ১১ লাখ শিশুকে সহায়তা দেওয়া হয়। সবচেয়ে বেশি সুরক্ষার আওতায় এসেছে বয়স্ক জনগোষ্ঠী। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বয়স্ক জনগোষ্ঠীর প্রায় ৭৪ শতাংশ সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় এসেছে। এ ছাড়া প্রায় ৪৬ শতাংশ মা ও নবজাতক, কাজ করতে গিয়ে আহত প্রায় ২৫ শতাংশ কর্মী, প্রায় ২২ শতাংশ প্রতিবন্ধী, ১৮ শতাংশ শিশু ও ১৪ শতাংশ বেকার সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় এসেছে।

বাংলাদেশে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির ৪৫ শতাংশ (৫৪টি কর্মসূচি) বাস্তবায়ন করছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ভাতা কার্যক্রম রয়েছে ২৩টি। দেশে একমাত্র প্রতিবন্ধী ভাতা সর্বজনীন। ২৩ লাখ ৬৫ হাজার প্রতিবন্ধী মাসে ৮৫০ টাকা করে ভাতা পায়। বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ৫৭ লাখ ১ হাজার বয়স্ক ব্যক্তি মাসে ৫০০ টাকা করে ভাতা পান। এ দুটি ভাতাই বিতরণ করে সমাজসেবা অধিদপ্তর।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর