সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় কর্মসূচির শ্রমিক দিয়ে ধান কাটাচ্ছে মেম্বর
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার সলঙ্গাথানার ঘুড়কা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও প্যানেল চেয়াম্যান জুয়েল রানা হতদরিদ্রের জন্য কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিক দিয়ে নিজ জমির ধান কাটিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সলঙ্গা থানার বাসুদেবকোল মৌজায় বুধবার ভোর থেকে প্রায় দুপুর পর্যন্ত ২৭ জন শ্রমিকে নিজ মালিকানা জমির ধান কাটতে বাধ্য কেরন ইউপি সদস্য জুয়েল রানা। বেলা ১১ টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বাসুদেবকোল ব্রীজ থেকে মকবুলের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামত প্রকল্পের স্থানে কোন শ্রমিক নেই। তবে প্রকল্পের ২৭ জন শ্রমিক ১৫ জন পুরুষ ও ১২ জন নারী জুয়েল মেম্বরের জমিতে ধান কাটছে। খোজ নিয়ে জানা যায় তারা হতদরিদ্রের জন্য কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিক।
শ্রমিকেরা বলেন- মঙ্গলবার কাজ শেষে মেম্বর হুকুম করেছে আজ (বুধবার) যেন আমরা কাচি(কাস্তে) নিয়ে আসি। সকালে আসার পর আমাগারে এই জমির ধান কাটতে দিছে। মেম্বর কইছে ধান না কাটলে নাম কাটা পইরবো। তাই কাটছি।
ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান জুয়েল রানার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- প্রকল্পের কাজের স্থানে প্যাক(কাদা) থাকায় কাজ করা যায়নি। তাই ধান কাটাচ্ছি ।
ঘুড়কা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জিল্লুর রহমানের সাথে এবিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন সামান্য বিষয় নিয়ে ঝামেলা করে কি লাভ।
রায়গঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা গোলাম রব্বানি জানান, ধান কাটার জন্য কোন শ্রকিম দেওয়া হয়নি। এমন কাজ করালে সব শ্রমিককে হাজিরা খাতায় অনুপস্থিত দেখানো হবে। তারা ওই দিনের কোন টাকা পাবে না।
রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৃপ্তি কণা মন্ডলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।