আরিফ হত্যার প্রতিবাদে সোচ্চার এলাকাবাসী
গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগন্জ উপজেলার ৬নং সর্বানন্দ ইউ, পির রামভদ্র গ্রামের মোঃ নূরন্নবী মিয়ার একমাত্রপুত্র মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফের হত্যার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠেছে এলাকা বাসী।হত্যার প্রতিবাদে এলাকাবাসী গত ১৪জুলাই ধনিয়ার কুড়া বাজারে মানববন্ধন ও মিছিল করেন।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়,মোঃ আরিফুল ইসলাম বিমান বাহিনিতে প্রায় ৫বছর যাবত মাস্টাররোলে বাবুর্চি হিসাবে কর্মরত ছিলেন।চাকুরিরত অবস্থায় উক্ত ইউনিয়নের তালুকবাজিত গ্রামের আব্দুস সালামের কন্যা মোছাঃ বিথি আক্তারের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ২বছর প্রেম করে গত ১০মাস পূর্বে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।উক্ত বিবাহ আরিফের বাবা মা মেনে নিলেও মেয়ের বাবা মা কোনমতেই মানতে পারেন নি।আরিফ ঈদের ছুটিতে বাসায় এসে গত ০৭জুলাই বিকালে স্ত্রীকে নিজের বাসায় নিয়ে আসার জন্য শ্বশুর বাড়ি যান।শ্বশুর বাড়িতে যাাওয়ার পর শ্বশুর আব্দুস সালাম, শ্বাশুড়ি মরিয়ম বেগম, মিন্টু মিয়া, সাথী আক্তার, হারুন মিয়া, মনিরা বেগম আরিফকে অবরুদ্ধ করে রাখে।তারপর শুরু হয় অমানবিক শারিরীক নির্যাতন।আরিফের গোপনাঙ্গ সহ বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি আঘাত করেন ঘাতকেরা এবং এক পর্যায়ে জোড় পূর্বক কীটনাশক খাওয়ায়।অবস্থা গুরুতর হলে পল্লী চিকিৎসক জনৈক আতাউর রহমানের সরনাপন্ন হন মেয়ে পক্ষ।রাত ১১টার দিকে জানাজানি হলে আরিফের বাবা আরো কয়েকজনকে সাথে নিয়ে ছেলেকে উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।চিকিৎসারত অবস্থায় গত ০৮জুলাই বিকাল ৪ঘটিকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে।মারা যাওয়ার আগপর্যন্ত শুধু একটি কথাই বলেছিলো ওরা আমাকে কেন মারলো,আমাকে বাচাও বাবা, আমি বাঁচতে চাই।
আরিফের বাবা নুরুন্নবী মিয়া বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এলাকাবাসীর দাবি অবিলম্বে আরিফের হত্যা কারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করা না হলে আরো বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।