আ.লীগ নেতা কতৃক মিথ্যা মামলা দায়ের চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ সভা

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও আওয়ামীলীগ নেতা গোলবার শেখ কর্তৃক মিথ্যা হয়রানী মূলক অপপ্রচার ও মামলা প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করেছেন একই গ্রামের মৃত আসমত আলীর ছেলে ভুক্তভোগী আলহাজ কবির।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে সলঙ্গা ইউনিয়নের বড়গোঁজা মাঝিপাড়া গ্রামে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী আলহাজ কবির বলেন, আমার পৈত্রিক সম্পত্তি ৭৩ শতাংশ জমি দীর্ঘ ৫৭ বছর যাবত আমাদের গ্রামের মৃত দছের শেখের ছেলে আওয়ামীলীগ নেতা গোলবার হোসেন আওয়ামীলীগের দাপটে অবৈধ ভাবে জোরপূর্বক ভোগ দখল করে আসছিল। পরে আমাদের জামির দলিল ও কাগজপত্র দেখে আমাদের জমিতে গেলে। আমাদের পরিবারসহ গ্রামের মাতব্বর ও নেতা কর্মীদের নামে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে এবং মিথ্যা মামলা দায়ের করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমি মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে সংবাদে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা সম্পূর্ন ভাবে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন । সেই সাথে আমার পরিবার ও বিএনপি নেতাকর্মী এবং গ্রামের মাতব্বরা এই ঘটনার সাথে জরিত নাই। তারা সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদটি পরিবেশন করেছেন। এমন কোন ঘটনা আদোও ঘটেনি। আমি সাংবাদিক ভাইদের মধ্যমে প্রশাসনের কাছে দাবি করছি আমার পৈত্রিক সম্পত্তির কাগজপত্র দেখে আমাদের দাবিকৃত জমি ন্যায় বিচারের মাধ্যমে জমিটি আমাদের বুঝিয়ে দিতে সহযোগিতা করবেন।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সলঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ বলেন, ভুক্তভোগী আলহাজ কবিরের জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে কয়েক মাস হলো যে বিরাজমান অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে সেটি গ্রামের প্রধানরা শান্তিপূর্ণ ভাবে সমাধানের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তার ছেলে পুলিশের চাকরি করার সুবাধে উনার এই ক্ষমতার দাম্ভিকতা দেখিয়ে গ্রামের প্রধানদের কোন বিচার মানেননি।
সর্বশেষ জমি দখলকে কেন্দ্র করে বিএনপির যে নেতাকর্মীদের নাম জরানো হয়ে তা সম্পুর্ণ উদ্দেশ্য প্রনোদিত। আমার নামসহ নেতাকর্মী ও গ্রামের মাতব্বরের নামে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় যে অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে তা সম্পুর্ণ মিথ্যা। এটি পরিকল্পিত ভাবে বিএনপির বিরুদ্ধে মিডিয়া টায়াল। আমি এর তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে সাবেক ইউপি সদস্য ফরিদুল ইসলাম বলেন, জমি দখলকে কেন্দ্র করে আমাকে জরিয়ে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা সম্পুর্ণ ভিত্তিহীন এ ঘটনার আমিসহ বিএনপির কোন নেতাকর্মী সম্পৃক্ত নেই। এবং জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আদালত যে রায় দিবে সেটিই মেনেনিতে হবে। আদলতের আদেশের বাইরে কোন কথা বলার এক্তিয়ার কারো নেই।
সময় সলঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য হাবিবুর রহমান হবি, সলঙ্গা অনার্স কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি কাবলু মিয়াসহ গ্রামের নারী- পুরুষসহ প্রায় দুই শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।