শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৪৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
পিঠা উৎসবের আনন্দ মেলায় মুখরিত সরোবর পার্ক এন্ড রিসোর্ট! আদম ব্যবসায়ীদের প্রতারণায় নিঃস্ব সোহেলের পরিবার কোনবাড়ীতে ইয়াবাসহ আটক-১ আদম ব্যবসায়ীদের প্রতারণায় নিঃস্ব সোহেলের পরিবার, থানায় অভিযোগ আদম ব্যবসায়ীদের প্রতারণায় নিঃস্ব সোহেলের পরিবার, থানায় অভিযোগ টঙ্গীতে বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার কোনাবাড়িতে ঝুট গোডাউনে আগুন,নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট কারামুক্ত হলেন ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন আব্দুল আলীমের মরদেহ দীর্ঘ আড়াই বছর পর ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন অতীতে ঘরে ঘরে চাকরি দেবার নাম করে হাহাকার দিয়ে গেছে রাজনৈতিক দলগুলো কেন্দ্রীয় জাকের পার্টির নেতা রবিউল ইসলাম রবি

উল্লাপাড়ায় কৃষকের ধানে পোকামাকড় দমনে আলোক ফাঁদ

নিজস্ব প্রতিবেদক : / ১৩৩ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

কীটনাশকের এই ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রোপা আমন ধান রক্ষা করতে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার কৃষকরা আলোক ফাঁদের মতো পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করতে শুরু করেছে।

গত রবিবার রাতে রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের শলী এলাকায় কৃষকরা আলোক ফাঁদ তৈরি করেছে। এসময় আলোক ফাঁদ দেখার জন্য উপস্থিত হয় রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম হিরো।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, আলোক ফাঁদ ধানের পোকা দমনের একটি পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি। এ পদ্ধতিতে সন্ধ্যার পর ধানখেত হতে ৫০ থেকে ১০০ মিটার দূরে ফাঁকা জায়গায় বাঁশের তিনটি খুঁটি ত্রিকোণাকার করে মাটিতে পুঁতে মাথার অংশ একত্রে বেঁধে দিতে হয়। এরপর মাটি থেকে আড়াই থেকে তিন ফুট ওপরে একটি বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বালিয়ে খুঁটির তিন মাথার সংযোগস্থলে রশির সাহায্যে ঝুলিয়ে দিতে হয়। এর নিচে একটি বড় আকারের প্লাস্টিকের গামলা বা পাত্রে ডিটারজেন্ট পাউডার অথবা কেরোসিন মিশ্রিত পানি রাখা হয়। সন্ধ্যার পর মাঠ জুড়ে যখন অন্ধকার নেমে আসতে থাকে তখন আলোক ফাঁদের আলোর ঝলকে আকৃষ্ট হয়ে ধানখেতের বিভিন্ন পোকামাকড় এ পাত্রে চলে আসে।

জানাযায়,সন্ধ্যার পরে ধানখেতের পাশে বিদ্যুতের আলোক ফাঁদ স্থাপন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। স্ব স্ব ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে আলোক ফাঁদ স্থাপনের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

শলী গ্রামের কৃষক জহুরুল ও পাষান বলেন,উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ধানখেতে আলোক ফাঁদ ব্যবহারের মাধ্যমে ক্ষতিকর পোকা দমন করা সহজ হচ্ছে।

উল্লাপাড়া উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুরুজ্জামান বলেন,আমার ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় কৃষকদের নিয়ে প্রতিদিন সন্ধ্যায় আলোক ফাঁদ স্থাপন করা হচ্ছে। এ ফাঁদের মাধ্যমে ধানের জমিতে বর্তমানে কী কী ক্ষতিকর ও উপকারী পোকামাকড় রয়েছে তা শনাক্ত করে ক্ষতিকারক পোকা দমনে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ধানের জমিতে ক্ষতিকর পোকামাকড়ের উপস্থিতি নির্ণয় করতে আলোক ফাঁদের বিকল্প নেই।

উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সূবর্ণা ইয়াসমিন সুমী বলেন,আলোক ফাঁদ হলো মনিটরিং টুলস, যেখানে কৃষকের ক্ষেতে পোকামাকড়ের উপস্থিতি লক্ষ্য করা হয় এবং সেই অনুযায়ী পোকা দমনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা যায়। এতে কীটনাশকের ব্যবহার কমে এবং ফসলের উৎপাদন খরচ কমানো সম্ভব হয়।সাধারণত ধানের সর্বোচ্চ কুশি স্তরে আলোক ফাঁদ স্থাপন করা হয়। সন্ধ্যায় বাসাবাড়িতে আলো জ্বলার আগেই(যাতে ক্ষেত থেকে পোকা লোকালয়ে চলে না আসে) ধানের ক্ষেতের ৫০ মিটারের মধ্যে আলোক ফাঁদের আলো জ্বালানো হয়। আলোতে আকৃষ্ট হয়ে পোকামাকড় আসলে তা দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। প্রতি রবিবার উপজেলার ৪৩ ব্লকে একযোগে আলোক ফাঁদ স্থাপন করা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর