শিরোনামঃ
উৎসব মুখর পরিবেশে রাত পোহালেই বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সী মালিক সমিতি’র ভোট শার্শার নাভারন সিটি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু বৃদ্ধ বাবা মায়ের জন্য সম্মানজনক যত্নশীল পরিবেশ জরুরি- ডা. দিপু মনি, মন্ত্রী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন যশোরর শার্শা উপজেলায় প্রতীক বরাদ্দ সংবাদ প্রকাশের পর দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগকারী মমিনুর দম্পতির শোকজের ঘটনায় তদন্ত শুরু! গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ আহত-৪ গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ আহত-৪ অবশেষে কারা মুক্ত হলেন মাওলানা মামুনুল হক সেনা সদস্যদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব রাজশাহীতে দৈনিক মানবিক বাংলাদেশ পত্রিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন তাপদাহ উপেক্ষা করে ফসল কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত কৃষকরা এপ্রিলে রেমিট্যান্স এলো ১৯০ কোটি ৮০ লাখ ডলার ফিলিপাইনে যাচ্ছে বাংলাদেশের হাইব্রিড ধানবীজ বেতাগীতে তীব্র গরমে তৃষ্ণার্তদের মাঝে ঠান্ডা পানি ও শরবত বিতরণ  হজ ব্যবস্থাপনায় অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে : ধর্মমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার ছিলেন: খাদ্যমন্ত্রী ঢাকাকে পরিবেশ বান্ধব সুন্দর শহরে রূপান্তরিত করা হবে : রাজউক চেয়ারম্যান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিকজোট বাংলাদেশ এর র‍্যালী ও আলোচনাসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখতে আ. লীগকে আমন্ত্রণ বিজেপির ধান উৎপাদনে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হবে: পরিবেশমন্ত্রী

একমাসে ২৭ লাখ কিলোওয়াট আওয়ার বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে

কলমের বার্তা / ৫৬ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : রবিবার, ২৫ জুন, ২০২৩

কক্সবাজারের খুরুশকুলে পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদন শুরু করেছে দেশের প্রথম ও বৃহত্তম বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র। এর মাধ্যমে এখন প্রতিদিনই জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। আর গেলো একমাসে ২৭ লাখ কিলোওয়াট আওয়ার বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। সেপ্টেম্বর বা নভেম্বরে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হলে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে মোট ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

সরেজমিনে দেখা যায়, একটি-দুটি নয়; এক সঙ্গে দাঁড়িয়ে গেছে ১০টি টারবাইন। যা স্থাপন করা হয়েছে কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীর খুরুশকুল উপকূলে। বেসরকারি উদ্যোগে নির্মাণ করা হচ্ছে ৬০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার দেশের প্রথম ও বৃহত্তম বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।বাতাসের শক্তিতে ঘুরছে ব্লেড বা পাখা। একসঙ্গে ঘুরছে ৭টি টারবাইনের পাখা। আর এমন করেই বাতাসের শক্তি থেকেই উৎপাদন হচ্ছে বিদ্যুৎ। যা যুক্ত হয়েছে জাতীয় গ্রিডে। পরীক্ষামূলকভাবে বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদন করে সুবিধা দেয়া হচ্ছে গ্রাহকদের ঘরে।

চীনের অর্থায়নে বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ইউএস-ডিকে গ্রিন এনার্জি বাংলাদেশ লিমিটেড। আর ৯০০ কোটি টাকার এ প্রকল্পের সব যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে চীন থেকে।ইউএস-ডিকে গ্রিন এনার্জি লিমিটেডের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ইঞ্জিনিয়ার মুকিত আলম খান বলেন,

কক্সবাজারে স্থাপিত ৬০ মেগাওয়াট বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্পটি গত ২৫ মে জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে। এটি ২৬ মে থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে। গত একমাসে ২৭ লাখ কিলোওয়াট আওয়ার বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। আশা করছি, এ প্রকল্পের বাকি কাজ দ্রুত সম্পন্ন হবে এবং এটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে যাবে।

পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ ক্ষেত্র সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় উপকূলবর্তী ৩টি ইউনিয়নে নির্মাণ করা হচ্ছে ২২টি টারবাইন। এরইমধ্যে শেষ হয়েছে ১০টি। যার প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা ৩ মেগাওয়াট। চীন থেকে আনা ১০০ টন ধারণক্ষমতার ক্রেনের মাধ্যমে যা স্থাপন করা হয়েছে ৯০ মিটার লম্বা টাওয়ারের ওপর। আর প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্পের কারণে কৃষি অর্থনীতি বা পরিবেশের ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে না।ইউএস-ডিকে গ্রিন এনার্জি লিমিটেডের পরিচালক সাজিদ রহমান বলেন,

বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখলে দেখবেন একেকটা টাওয়ার থেকে ৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। আর টাওয়ারের জন্যও কম জায়গা লাগে। এটার একটা বড় সুবিধা হচ্ছে যখন বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদন করি তখন আশপাশে মাছের চাষ, ধানের চাষসহ সবধরনের চাষ হচ্ছে। ফলে বায়ুবিদ্যুৎ অর্থনীতিতে বিরূপ কোনো প্রভাব ফেলছে না। এ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের জাতীয় গ্রিডে একটি ক্লিন এনার্জি সরবরাহ করতে পারছি।

আর কক্সবাজার ৬০ মেগাওয়াট বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুল কাদের গণি বলেন, এ মুহূর্তে কক্সবাজার ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে প্রতিদিনই জাতীয় গ্রিডে ১৫ থেকে ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পরীক্ষামূলকভাবে সরবরাহ করা হচ্ছে। ১০টি টারবাইনের কাজ শেষ হলেও এখন চালু রয়েছে ৭টি। বাকি ৩টির সংযোগ কাজের কিছু অংশ বাকি রয়েছে। তা দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ হবে। তবে ৭টি টারবাইন থেকে দেখা গেছে বিকেলের দিকে বাতাস বেশি থাকাতে প্রতিটি থেকে ৩ মেগাওয়াট করে ২১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। যা কক্সবাজার পাওয়ার স্টেশনে যুক্ত হচ্ছে।

তিনি বলেন,

মোট ২২টি টারবাইনের মধ্যে ১০টির কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ১২টি টারবাইন স্থাপনের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। আশা করি, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর বা নভেম্বরের মধ্যে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। এ কাজ শেষ হলে কক্সবাজার বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প হতে জাতীয় গ্রিডে ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

75


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর