ওসির অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন, হামলায় পুলিশসহ আহত ৫ জন

স্টাফ রিপোর্টার: সিরাজগঞ্জের কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলমের বিরুদ্ধে একটি হামলা ও ভাচুরের মামলায় পক্ষপাতের অভিযোগে অপসারণের দাবিতে স্থানীয় এলাকাবাসীর আয়োজনে মানববন্ধনের প্রস্তুতিকালে প্রতিপক্ষ আসামীর লোকজন হামলা করেছে।
এতে এক পুলিশ সদস্য সহ ৫ জন আহত হয়েছে। হামলা চলাকালে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে কাজিপুর উপজেলার মেঘাই পুরাতন বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে জানা যায়, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৪ ডিসেম্বর কাজিপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবলুর সিংড়াবাড়ি বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এতে বাবলুর স্ত্রী-পুত্র সহ ৬ জন আহত হয়।
এঘটনায় বাবলুর পুত্র মেহেদী হাসান সুমন বাদী হয়ে কাজিপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আসাদুলসহ ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে আসাদুলও হামলা ভাংচুরের অভিযোগ এনে গত ১৬ ডিসেম্বর বাবলুর চার পুত্রসহ ১৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর থেকে কাজিপুর থানার ওসি নূরে আলমের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তোলেন বাবলু। এমতবস্থায় গত ৫ মার্চ আসাদুলের দায়ের করা মামলায় আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে পুলিশ। এতে ক্ষুব্ধ হন বিএনপি নেতা বাবলুর কর্মী সমর্থক ও এলাকাবাসী, ওসির পক্ষপাতমূলক আচারন ও অপসারনের দাবীতে শনিবার (৮মার্চ) সকালে এলাকাবাসীর উদ্যেগে মেঘাই বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনের আয়োজন করে তারা। মানববন্ধনের খবর পেয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আসাদুলের লোকজন লাঠি সোটা নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় ডিএসবির দায়িত্বরত এক পুলিশ কনষ্টবেলসহ ৫ জন আহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে।
এবিষয়ে মিজানুর রহমান বাবলু বলেন, মামলা দায়েরের পর থেকে ওসি পক্ষপাতমূলক আচারন করে আসছেন, আমার বাড়িতে হামলা-ভাংচুরের ঘটনায় আমার ছেলে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন, এই মামলার খবর পেয়ে আসাদুল দুই দিন পর কাউন্টার মামলা দায়ের করে। অথচ আমার মামলার অভিযোগ পত্র না দিয়ে আগে আসাদুলের মামলার অভিযোগ পত্র দিয়েছে। বিষয়টি কাজিপুরের সবাই জানে। এই পক্ষপাত আচারনের কারনে এলাকাবাসী ওসির অপসারনের জন্য মানববন্ধনের প্রস্তুতি নেয়। এমন সময় লাঠি সোটা এনে হামলা করা হয়। এতে আমার ৪-৫ জন ছেলে আহত হয়েছে।
কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম বলেন, পক্ষপাতের অভিযোগ সঠিক না। দুজন অফিসারকে দুটি মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আসাদুলের মামলার তদন্ত কাজ শেষ হয়েছে। বিএনপি নেতা বাবলুর ছেলের মামলাও তদন্ত কাজ শেষ পর্যায়ে। কোনটিই আদালতে পাঠনো হয়নি।
ব্যক্তিগত কারনে তারা এমনটা ঘটাতে পারে, এই ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে, আহত পুলিশ সদস্য সুস্থ্য আছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
এবিষয়ে জানতে কাজিপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আসাদুলকে ফোনে পাওয়া যায়নি।