রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৩২ পূর্বাহ্ন

কাজিপুরে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক গাছ বিক্রির অভিযোগ

রিপোর্টারের নাম : / ১২৪ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৪

গোলাম কিবরিয়া খান, স্টাফ রিপোর্টার: কাজিপুর উপজেলার গান্ধাইল ইউনিয়নের আঞ্চলিক মহিলা কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের অর্ধশতাধিক গাছ অবৈধভাবে কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। নেই বন কর্মকর্তার মূল্যায়ন ও মুল্য নির্ধারণ কিংবা উপজেলা ক্রয় বিক্রয় কমিটির অনুমোদন। প্রতিষ্ঠানে চাকরি প্রদানে অসমর্থ হয়ে প্রার্থীর টাকা ফেরত দিতে এই গাছ বিক্রি দাবি অধ্যক্ষের।

সরেজমিনে, গত রোববার কাজিপুর উপজেলার উদগাড়ী গ্ৰামে ১৯৯৯ সালে স্থাপিত হয় আঞ্চলিক মহিলা কলেজ। প্রতিষ্ঠাকালে রোপনকৃত অর্ধশতাধিক ইউক্যালিপটাস, আকাশমণি, শিলকড়ই, বটগাছসহ অর্ধশতাধিক গাছ কাটতে দেখা যায়। স্থানীয়রা জানান, পাঁচ লক্ষাধিক টাকার অধিক মূল্যের গাছ দেড় লাখ টাকায় অবৈধ ভাবে বিক্রি করছে অধ্যক্ষ, এতে করে প্রতিষ্ঠানটি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া ছাড়াও অধ্যক্ষের অনৈতিক কার্যকলাপের শিকারে পরিণত হয়েছে, গাছ বিক্রিতে অধ্যক্ষের ব্যক্তিগত হিস্যা থাকার কথা জানান তারা। এ সময় তারা স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ কর্তন করতে হলে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক গঠিত ক্রয় বিক্রয় কমিটির নিকট গাছ বিক্রির উপযুক্ত কারণ উল্লেখ করে আবেদন করার বিধান রয়েছে, পরবর্তীতে কমিটির সদস্য উপজেলা বন বিভাগ গাছ সরেজমিনে পরিদর্শন ও মূল্যায়ন সাপেক্ষে মূল্য নির্ধারণ করবে, উপজেলা কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন বা মাইকিংয়ের মাধ্যমে জনসাধারণকে অবগত করে প্রকাশ্য নিলামের মাধ্যমে বিক্রি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার বিধান রয়েছে। উপজেলা বন কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, উল্লেখিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো আবেদন পাইনি।

গাছ কর্তন ও বিক্রির অভিযোগ স্বীকার করে আঞ্চলিক মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সুলতান মাহমুদ বলেন, ইউএনও বরাবর আবেদন করা আছে, চাকরি দেয়ার শর্তে প্রতিষ্ঠানে জমি দানকারী একজনের জমির মূল্য পরিশোধ করতে গাছ বিক্রি করা হচ্ছে। ঢাকা বসবাসকারী প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মোঃ পলাশ জানান, গত ডিসেম্বরে পরিচালনা কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, চলাচলে সুবিধার জন্য রাস্তার একটি গাছ কাটার কথা বলা হয়েছিল, বিধিসম্মতভাবে গাছ কাটার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গাছ কর্তন করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অনুমোদন নিতে হবে, অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর