রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন

কাজিপুরে দুই শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা; ধর্ষক ছাত্রদলের কেউ না 

রিপোর্টারের নাম : / ৪৪০ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫

কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি :সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে আব্দুল মজিদ মিনু নামের এক বখাটে যুবকের বিরুদ্ধে ৫ বছর বয়সী ২ টি শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্ত মিনু উপজেলার সদর ইউনিয়নের মেঘাই গ্ৰামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। মিনু নিজেকে ছাত্রদলের নেতা পরিচয় বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ড করে আসলেও সে সংগঠনটির কেউ না জানিয়েছেন দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় ধর্ষককে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন স্থানীয়রা।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে কাজিপুর থানা পুলিশের ওসি নূরে আলম জানান, শুক্রবার (৩০ মে) আব্দুল মজিদ মিনুর বিরুদ্ধে ২ টি শিশুকে একসাথে ধর্ষণের চেষ্টা ঘটনায় দেশের প্রচলিত নারী শিশু আইনে মামলা লিপিবদ্ধ হয়েছে, যেহেতু মামলা একটি, তাই ওপর শিশুটির পরিবারের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ নেয়া হয়েছে, আসামীকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

এর আগে গত ২৩ মে মেঘাই গ্ৰামের ৫ বছর বয়সী দুটি শিশুকে আম খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে অভিযুক্ত মিনু পার্শ্ববর্তী যমুনা নদীর তীরের ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় একজন শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করে, স্থানীয়রা ধর্ষক মিনুর গ্ৰেফতারের দাবিতে সংক্ষুব্ধ রয়েছে , এর আগেও তার বিরুদ্ধে এ ধরনের একাধিক অভিযোগ সামাজিকভাবে মিমাংসা হয়। এ বিষয়ে গত ২৯ মে অনলাইন নিউজ পোর্টাল কলমের বার্তা’য় সংবাদ প্রকাশিত হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর থেকে দিনমজুর রফিকুলের ছেলে আব্দুল মজিদ মিনু নিজেকে ছাত্রদলের নেতা পরিচয় দিয়ে একটি কিশোর গ্যাং তৈরি করে, তার এই গ্যাং সদর ইউনিয়নের ব্যবসায়ী, চাকুরিজীবী, কৃষকসহ একাধিক ব্যক্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদাবাজি করে আসছিলো, না দিলে অপদস্থ, মারধরের একাধিক ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে প্রচলিত আছে। তার কথা না শুনলে নিষিদ্ধ ঘোষিত আগামী লীগ হিসেবে আইনী হেনস্থার ভয় দেখাতো। তার অনৈতিক প্রভাবের কারণে ভুক্তভোগী কেউই মুখ খুলতে চাইছে না। জানা গেছে, গত ২৯ মে তারিখেও মিনু একটি বিদ্যালয়ে গিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটায়। কাজিপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাশেদুল হাসান রিপন বলেন, মিনু ছাত্রদলের কেউ না, উপজেলার কোনো ইউনিটে তার নাম নেই, আমরা জানি অতীতে সে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সদর ইউনিয়ন শাখার উপ প্রচার সম্পাদক ছিলো, বর্তমানে পিঠ বাঁচাতে অনেকেই অনেক কিছু করছে।

স্থানীয়রা আরো জানান, মিনুর পিতা রফিকুল ইসলাম একজন দিনমজুর হিসেবে পরিচিত, ছেলের প্রভাবে  তিনি মেঘাই মাছের আড়ৎ থেকে স্থানীয় ৭ জন জেলেকে মারধর করে তারিয়ে দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করছে।  নিরাপত্তা জনিত কারণে ভুক্তভোগীরা নাম প্রকাশে অপারগতা প্রকাশ করেন। একাধিক বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে একজন সাবেক জনপ্রতিনিধিসহ একাধিক ব্যক্তি বিভিন্নভাবে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এতে করে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, ধর্ষককে আটক ও বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠছে। এবং তারা প্রশাসনের উপর মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর