গ্রামবাসীর নিজ অর্থায়নে মাটি ভরাট! প্রকল্প দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ
নুপুর কুমার রায়,শাহজাদপুর(সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরে পোরজনা ইউনিয়নে গ্রামবাসীর নিজ অর্থায়নে মাটি ভরাটের জায়গায় মাটি ভরাটের প্রকল্প দেখিয়ে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টি, আর) প্রকল্পের ২ লক্ষ ৬ হাজার ২শ’ ৭৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বাবু ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এদিকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এবং চেয়ারম্যান দিয়েছেন পাল্টা পাল্টি বক্তব্য। অপরদিকে সংবাদটি প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ জানান প্রতিবেদককে চেয়ারম্যান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা।
এমনই ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বাচড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামে। এভাবে নিজ অর্থয়নে মটি ভরাটের জায়গায় প্রকল্প দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর হততম্ব হয়ে গেছেন গ্রামবাসী। এদিকে গ্রামবাসীর প্রশ্ন আমাদের করা কাজ দেখিয়ে কিভাবে বিল উঠলো। তবে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, এই অনিয়মের সঙ্গে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত দেখভাল কর্মচারীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতা রয়েছে বলে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের ৩য় পর্যায়ের সাধারণ প্রকল্প (টি,আর) প্রকল্পে বাচড়া পশ্চিমপাড়া চাঁদ মোল্লার বাড়ি হতে মোবাছেলের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামতের নামে ২ লক্ষ ৬ হাজার ২শ’ ৭৮ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে অত্র এলাকার চাঁদ মোল্লা, আব্দুল মতিন, আব্দুল লতিফ মোল্লা, রবিউল ইসলাম, ইমরান হোসাইন, দুলাল মোল্লাসহ একাধীক ব্যক্তি জানান, আমরা প্রায় ৩৬টি পরিবার নিজ বাড়ীর সামনের জায়গায় নিজ নিজ অর্থয়নে মাটি ভরাট করি যাতায়াতের রাস্তা তৈরীর জন্য। এই রাস্তা নির্মান ও মাটি ভরাটের সময় আমাদের কেউ সাহায্য করে নাই। প্রায় ১মাস আগে জেলা পরিষদের অনুকুলে এখানে আর.সি.সি. রাস্তা নির্মান করে। কিন্তু এখন আমরা জানতে পারছি এখানে প্রকল্প দেখিয়ে মাটি ভরাটের পুরো টাকা অত্মসাৎ করেছে। আমরা এর সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।
এবিষয়ে প্রকল্পের সভাপতি ও অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বাবু টাকা আত্মসাতের বিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি তাদের কম্বল দেই নাই তাই আমার নামে অপ্রচার করে বেড়াচ্ছে। আমি চাঁদ মোল্লার বাড়ীর আগে কিছুটা মটি ফেলেছি। আমি তো পুরোটা ফালাইনি। অপরদিকে চাঁদ মোল্লা বলছে মাটি বা টাকা কোনটাই চেয়ারম্যান দেয়নাই আমি ৭০ হাজার টাকা দিয়ে মটি ভরাট করেছি আমার বাড়ীর সামনে। এরকম যার যার বাড়ীর সামনে সে সে টাকা দিয়ে মাটি ভরাট করেছে।
অপরদিকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম এবিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, চেয়ারম্যান আমাকে বলেছেন ঐ মাটি ভরাটের মধ্যেই টাকা দিয়েছেন। এদিকে চেয়ারম্যান বলেছে মাটি ভরাট করেছে আর আপনি বলছেন টাকা দিয়েছে প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নের তিনি কোন সদুত্তর দেননি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের কোন কাজ আমি দেখি নাই। যদি প্রমানীত হয় কাজ না করে বিল তুলেছে তাহলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।