রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:০১ অপরাহ্ন

ড. ইউনূসের আপিল দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ হাইকোর্টের

রিপোর্টারের নাম : / ৪৫ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০২৪

শ্রম আইন লঙ্ঘনে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের দ-ের বিরুদ্ধে আপিল মামলাটি যত দ্রুত সম্ভব অন মেরিটে (মামলার গুণাগুণ) শুনানি করে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। ঢাকার শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

হাইকোর্ট বলেছে, আপিল বিচারাধীন অবস্থায় দন্ড স্থগিতের কোনো বিধান নেই। এটি কেবল আপিল নিষ্পত্তি করে বাতিল, বহাল বা সংশোধন হতে পারে। এ মামলায় চারজনের দন্ড স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশ বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায়ে এমন নির্দেশনা ও মন্তব্য করেছে হাইকোর্ট। আদালত বলেছে, ড. ইউনূসসহ চারজনের দন্ড স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর (চলমান) থাকবে।

গত ১৮ মার্চ বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চের দেওয়া ৫০ পৃষ্ঠার রায়টি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করার অভিযোগে গত ১ জানুয়ারি ড. ইউনূস, প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, দুই পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে ছয় মাস করে কারাদন্ড ও অর্থদন্ডাদেশ দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে গত ২৮ জানুয়ারি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে আপিল করে জামিন চান চারজন। আদালত আপিলটি শুনানির জন্য গ্রহণ করে তাদের জামিন দেয়। একই সঙ্গে আপিল নিষ্পত্তি পর্যন্ত শ্রম আদালতের দেওয়া রায়ে কারাদন্ড ও অর্থদন্ডের অংশটুকু স্থগিত করে ট্রাইব্যুনাল। পরে এ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ফৌজদারি রিভিশন আবেদন করে বাদীপক্ষ কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট চারজনের দন্ড স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে কেন এ আদেশ বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল দেয়। একই সঙ্গে চারজনকে বিদেশে যেতে হলে আপিল ট্রাইব্যুনালকে অবহিত করতে হবে বলে আদেশ দেয় আদালত। এর  ধারাবাহিকতায় গত ১৮ মার্চ হাইকোর্ট রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দিয়ে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশটিকে বাতিল করে।

হাইকোর্ট বলেছে, ‘যেহেতু শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল থেকে চারজন জামিন পেয়েছেন তাই দন্ড স্থগিত কিংবা সাসপেন্ড (মুলতবি) আদেশের প্রয়োজন নেই। জামিনের পর সাজা সংক্রান্ত আদেশ ও রায় স্বয়ংক্রিয় এবং অন্তর্নিহিতভাবে সাসপেন্ড হয়ে যায়। যতদিন পর্যন্ত চারজন জামিনে থাকবেন ততদিন পর্যন্ত সাজা স্থগিত থাকবে। জরিমানাও আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। আদেশে আদালত গত ১ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাসের দন্ড দিয়ে শ্রম আদালতের দেওয়া আদেশ ও রায় স্থগিত করে এবং ২৮ জানুয়ারি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের স্থগিতাদেশ বাতিল করে দেয়। এছাড়া দন্ডের বিরুদ্ধে চারজনের আপিল যত দ্রুত সম্ভব নিষ্পত্তি করতে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।

বাদীপক্ষের  আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান রায়ের অনুলিপি হাতে পাওয়ার কথা বললেও ড. ইউনূসের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে আজ (গতকাল) আবেদন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এখনো সেকশন থেকে অনুলিপি দেওয়া হয়নি।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর