• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
বৃষ্টির প্রত্যাশায় ইস্তিসকার নামাজ আদায় বেড়ায় তীব্র গরমে পথচারীদের মাঝে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সেবা প্রদান বারিতে সার্ক অঞ্চলে ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার টেকনোলজিস বিষয়ক সমাপনী কর্মশালা ছোনগাছা ইউনিয়নের পাটচাষীদের মাঝে বিনামূল্যে পাটবীজ ও সার বিতরণ ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে সিলেট ও কুষ্টিয়ার সেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ আমানতের মুনাফার ওপর কর দিতে হবে না চলছে কয়লা খালাস, জাহাজেই ফিরবেন সব নাবিক দুই মাসের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন চান হাইকোর্ট ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ অভিযানে শতাধিক ফিটনেসবিহীন গাড়ি আটক সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস কাতারের আমিরের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় কাতারের সঙ্গে ১০ চুক্তি-সমঝোতা প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন আশুলিয়ায় জাতীয় শ্রমিক লীগের মে দিবসের প্রস্তুতি সভা লালমনিরহাটে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের গ্রাহক সমাবেশ রায়গঞ্জে শিক্ষা বিষয়ক গ্লোবাল অ্যাকশন সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কাজিপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ

বন্দর, সড়ক ও রেলপথ নির্মাণে জাইকার ঋণ

কলমের বার্তা / ৭০ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৩

বন্দর, মহাসড়ক ও রেলপথ নির্মাণে তিন প্রকল্পের আওতায় এক দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে জাপান। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ও জাপান সরকারের মধ্যে ঋণ চুক্তি সই হয়েছে। এ ঋণের সুদহারও কম। ১০ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। ঋণে সার্ভিস চার্জ মাত্র শূন্য দশমিক শূন্য ১ শতাংশ বলে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ জানায়। শেরেবাংলা নগরস্থ অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সম্মেলন কক্ষে গতকাল বুধবার সরকার ও জাপানের মধ্যে ঋণচুক্তি সই হয়। সরকারের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব (ইআরডি) শরিফা খান। জাপানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন দেশটির রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরি ও বাংলাদেশে জাইকার প্রধান প্রতিনিধি তোমোহিদি ইচিগুচি।

ইআরডি বলছে, ২০২৬ সালের মধ্যে ‘মাতারবাড়ি পোর্ট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’-এর প্রথম পর্যায়ের নির্মাণ সম্পন্ন করতে কাজ করছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। সরকারের ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পের আওতায় মাতারবাড়ি পোর্ট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের কাজ এগিয়ে চলছে। এ লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের জন্য প্রয়োজনীয় ২৮৮ দশমিক ২৩ একর জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে প্রাথমিক কাজ শেষ হয়েছে। মাতারবাড়ি পোর্ট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টটি এ বছরের ১০ মার্চ একনেকে অনুমোদিত হয়। প্রকল্পটির অনুমোদিত প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে জাইকার ঋণ (প্রকল্প সাহায্য) ১২ হাজার ৮৯২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা, সরকারি অর্থায়ন দুই হাজার ৬৭১ কোটি ১৫ লাখ এবং নিজস্ব অর্থ দুই হাজার ২১৩ কোটি ২৫ লাখ। এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন মেয়াদকাল জানুয়ারি ২০২০ থেকে ডিসেম্বর ২০২৬ পর্যন্ত। অনুমোদিত প্রকল্পে দু’টি কম্পোনেন্ট রয়েছে।

বহুমুখী টার্মিনাল, কনটেইনার টার্মিনাল ও অন্যান্য কার্যক্রম চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও পোর্টের সাথে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সড়ক সংযোগকারী ২৬ দশমিক ১ কিলোমিটার (চার লেন) মূল সড়ক, ১ দশমিক ৬ কিলোমিটার বাঁধ-কাম-সড়ক ও ১৭টি সেতু নির্মাণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর (সওজ)। এরই মধেই ঋণচুক্তি সই হয়েছে।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যানজটমুক্ত ও বাধাহীন যোগাযোগব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সড়কের পাঁচটি স্থানে বাইপাস সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এ প্রকল্পে ৪৪ দশমিক ৩৬ কোটি ডলার ঋণ দেবে জাপান। জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (জাইকা) অর্থায়নে বাইপাস সড়ক নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ২০২৫ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে প্রকল্পের মাঠপর্যায়ের সমীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে বিস্তারিত জরিপের (ডিটেইল সার্ভে) কাজ চলছে। জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (জাইকা) ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে ক্রস বর্ডার নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (সিবিআরএনআইপি) প্যাকেজ সি-এর আওতায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চারটি পয়েন্টে সেতু নির্মাণ প্রকল্পের কাজ চলছে।

জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী রুটে রেলপথ নির্মাণে প্রথমে চীন বিনিয়োগ করার চুক্তি করেছিল। তবে চীন সরে গেছে। এখন বিনিয়োগ করবে জাপান। প্রাথমিকভাবে ৩ দশমিক ২৫ কোটি ডলার ঋণ দেবে জাপান। প্রকল্পের আওতায় জয়দেপুর থেকে যমুনা বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্ত পর্যন্ত ৮৫ দশমিক ৫২ কিলোমিটার এবং ঈশ্বরদী থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত ৭৯ দশমিক ৫ কিলোমিটার- এ দুই ভাগে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে চায় জাইকা।

এলেঙ্গায় নতুন স্টেশন নির্মাণ করা হবে। দুই অংশে সাতটি স্টেশন পুনর্নির্মাণ এবং ১৪টি স্টেশন সংস্কার করা হবে। ৬৬টি বড় ও ১৩৮টি ছোট সেতু নির্মাণ করতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে গাজীপুর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ ও নাটোরের ১০৬ একর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। নাটোরে ভূমি মালিকদের এরই মধ্যে ৭ ধারায় নোটিশ দেয়া হয়েছে। গত আগস্ট পর্যন্ত প্রকল্পের অগ্রগতি ৬ দশমিক ৬ ভাগ। প্রায় ৩৯৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে, যার পুরোটাই দিয়েছে সরকার।

92


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর