শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
গাজীপুরে দুর্নীতিবাজ ভূমি কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ বারি’তে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন ব্রিতে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত ভাষা শহীদদের প্রতি নিসআ’র গাজীপুর মহানগর শাখার শ্রদ্ধা নিবেদন সলঙ্গায় আহত রিয়াজকে দেখতে গেলেন বিএনপি নেতা আমিরুল বিভাগীয় ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড পেলেন বেতাগীর খাইরুল ইসলাম মুন্না বেস্ট অর্গানাইজার এওয়ার্ড পেলেন আপেল রাজশাহীতে এনজিও ফেডারেশনের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন টায়ার এর মধ্যে থেকে ফেনসিডিল উদ্ধার লাইট হাউজ এর উদ্দ্যেগে কুড়িগ্রামে দুযোর্গকালীন সময়ে নারী ও কিশোরীদের দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও মানসিক স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ক প্রশিক্ষণ

বেনাপোল দিয়ে এসেছে ৩৩২০ মেট্রিকটন চাল প্রভাব নেই বেনাপোলে বাজারে

রিপোর্টারের নাম : / ৪৫ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

মনির হোসেন, বেনাপোল প্রতিনিধিঃভারত থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে শুল্কমুক্ত তিন হাজার ৩২০ মেট্রিকটন চাল আসলেও যশোরের বেনাপোল বাজারে কোনো প্রভাব নেই। স্থানীয় বাজারে চালের দামতো কমেনি, বরং দু’এক টাকা বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আপাতত চালের দাম কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ফলে, কৃষকের ঘরে আমন ধান উঠলেও অসংখ্য মানুষকে বেশি দামেই চাল কিনে খেতে হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, চালের দাম এমন জায়গায় গেছে যে, ইতিপূর্বে যেসব ক্রেতা চিকন চাল কিনতেন তারা এখন বাধ্য হচ্ছেন মোটা চাল কিনতে। এক প্রকার জোর করে অভ্যাস পরিবর্তন করতে হচ্ছে তাদের।
সরকার ভারত থেকে চালে শুল্ক প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ার পর গত ২৫ দিনে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে তিন হাজার ৩২০ মেট্রিকটন চাল আমদানি হয়েছে। যদিও অনুমোদন দেয়া হয় তিন লাখ ৯২ হাজার মেট্রিকটন চাল আমদানির। এরপর ১৭ নভেম্বর থেকে আবার চাল আমদানি শুরু হয়। ১২ ডিসেম্বর ছিল আমদানির শেষ দিন।

বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আবু তাহের সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মাহবুবুল আলম ফুড প্রডাক্ট, অর্ক ট্রেডিং, সর্দার এন্টারপ্রাইজসহ আটটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বেনাপোল বন্দর দিয়ে এই চাল আমদানি করেছে।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা পর্যন্ত সর্বশেষ তিনটি ট্রাকে ১০৫ মেট্রিকটন চাল আমদানি হয়েছে। এ নিয়ে ১৭ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর রাত ১০টা পর্যন্ত ৯৭টি ট্রাকে করে তিন হাজার ৩২০ মেট্রিকটন চাল এসেছে।
এ পর্বে বেসরকারিভাবে চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয় ৯২টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে। এতে দু’লাখ ৭৩ হাজার মেট্রিকটন সিদ্ধ চাল এবং এক লাখ ১৯ হাজার মেট্রিকটন আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয়। অনেক প্রতিষ্ঠান এই স্বল্প সময়ের মধ্যে চাল আমদানি করতে পারেনি। সরকার মাত্র ২৫ দিন সময় নির্ধারণ করে দেয় আমদানিকৃত চাল বাজারজাত করার জন্য। যা গত বৃহস্পতিবার শেষ হয়ে গেছে।

এদিকে, শুল্কমুক্ত চাল বাজারে আসলেও দামে কোনো প্রভাব পড়েনি বলে বেনাপোল বাহাদুরপুর নারায়নপুর রোড়ে বড়বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন। এই বাজারের অন্যতম পাইকারি ব্যবসায়ী মোশারেফ হোসেন জানিয়েছেন, বর্তমানে মোটা চাল ৫৩-৫৫, হীরা চাল ৪৮, উনপঞ্চাশ চাল ৫৬, আঠাশ চাল ৬৮-৭০, মিনিকেট ৬৮-৭০, তেষট্টি চাল ৮০-
৮২, বাসমতি ৮০-৮৬ ও নাজিরশাইল ৮০ টাকা কেজি দরে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে সব ধরনের চাল বিক্রি হচ্ছে দু’ তিন টাকা বেশিতে। আমন ধানের অর্ধেকের বেশি কাটা হয়ে গেলেও দাম কমেনি বললেই চলে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে আমদানি করা মোটা চাল বন্দর থেকে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৫২-৫৩ টাকায়। ওই চাল পাইকাররা ৫৪ টাকায় বিক্রি করছেন। আর খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৫৬ টাকায়। আর ভারতীয় টেন চাল ৫৮ টাকায় পাইকারি বিক্রি হচ্ছে।

পাইকাররা বলছেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে হাজার হাজার মেট্রিকটন চাল আমদানি হলেও বেনাপোল খুচরা ক্রেতারা তার কোনো সুফল পাচ্ছে না। সবমিলিয়ে হতাশার মধ্যে দিন পার করছেন বিভিন্ন পর্যায়ের ভোক্তারা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর